পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• { . w • প্রাচীনকালে উচ্চারণের বড়ই কঠোর নিয়ম ছিল। উচ্চারণনিয়ামক গ্রন্থের নাম শিক্ষা। শিক্ষা বেদের অন্যতম অঙ্গ। শিক্ষার এক স্থলে লিখিত ੱਝ- o ‘মন্ত্র যদি স্বর অথবা বর্ণ দ্বারা হীন হয়, তাহা হইলে সেই মিথ্যাপ্রযুক্ত বাক্যের কোন অর্থ হয় না, সেই বাগবজ যজমানকে হিংসা করে " + যদিও স্কুলকলেজের বিদ্যার্থিগণের উচ্চারণদোষে এখন আর যজমানদিগের কোনরূপ হানির সম্ভাবনা নাই, তথাপি উহাতে যে শ্রবণমুখের বিলক্ষণ ব্যাঘাত ঘটে, এ বিষয়ে বোধ হয় কাহারও মতভেদ হইতে পারে না। সাহিত্যপাঠের উদ্দেশু শুধু ভাষাজ্ঞান নহে, শ্রবণেন্দ্রিয়ের পরিতৃপ্তিও উহার অন্যতম লক্ষ্য। বিশেষ কবিতা ও সঙ্গীত একই পদার্থ সঙ্গীতের হার কবিতাও তানলয়বিশুদ্ধ স্বরে উচ্চারিত হইয়া হৃদয়ে অপূৰ্ব্ব আনন্দপ্রদান করে। যদিও ঐরূপ উচ্চারণ বিষ্ঠার্থিমাত্রেরই শক্তিসাধ্য নুহে,তথাপি পদ্ধ যথার্থপথের স্তীয় ও গল্প যথার্থ গল্পের ন্যায় পঠিত হওয়া বাহনীয়। তাহার পর ব্যাখ্যার কথা। অনেকে সংস্কৃতব্যাখ্যার বিরোধী, কেহ কেহ আবার সংস্কৃতব্যাখ্যার অনুকুল। যাহারা সংস্কৃতব্যাখ্যা পছন্দ করেন না, তাহারা বলেন – “পরীক্ষার্থিপূর্ণ ব্যাখ্যাপুস্তক মুখস্থ করিয়া পরীক্ষককে ফাকি দেয়, অতএব সংস্কৃতব্যাখ্যা শিখাইবার প্রয়োজন নাই, শুধু ইংরেজী অমুবাদের সাহান্ধুে সংস্কৃত 'শিখাইতে হইবে।” এমনকি, তাহার বাঙলার উপর এতদুর খড়গ बअमलब ।। - هد ৬ষ্ঠ বর্ষ, বৈশাখ। হস্ত যে, ক্লাসে বরি বাঙ্গাশদের উচ্চারণ পর্যান্ত মহাপাপজনক মনে করেন। এস্থলে আমাদের বক্তব্য এই যে, সংস্কৃতব্যাখ্যা পরিত্যাগ করিলে সংস্কৃত-অধ্যাপনার থাকিল কি ? সংস্কৃতব্যাখ্যা শিখে বলিয়াই যাহ-কিছু সংস্কৃতে ব্যুৎপত্তি জন্মে। প্রতিবাক্য প্রয়োগ করিতে গিয়া কতপ্রকার নূতন উৎকৃষ্ট উৎ কৃষ্ট শব্দ ও ক্রিয়াপদ শিক্ষা করে এবং ভাবার্থ ও সরলার্থ লিখিতে গিয়া রচনানৈপুণ্য লাভ করিয়া থাকে। সকলেই যে ব্যাখ্যা মুখস্থ করিয়া পরীক্ষাসাগর পার হইতে চেষ্টা করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষগণের মনে এরূপ ধারণ উৎপন্ন করিয়া দিলে প্রকৃত জ্ঞানার্থী বহুসংখ্যক ছাত্রের প্রতি অবিচার করা হইবে । বরাবরই - আমরা এমন কতকগুলি করিয়া ছাত্র পড়াইয়া আসিতেছি, যাহারা চতুর্থশ্রেণী হইতেই আত্মনির্ভর করিতে চেষ্টা করিয়া থাকে। ঐ সকল ছাত্র দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণীতে উঠিয়া ব্যাখ্যাপুস্তকের বিনা সাহায্যে সংস্কৃতে টীকারীতিতে ব্যাখ্যা ও সংস্কৃতে সরলার্থ লিখিয়া থাকে। অবগু এরূপ ছাত্রের সংখ্যা খুব অধিক ন হইলেও নিতান্ত মুষ্টিমেয় নহে। যাহাদের শিক্ষায় অনুরাগ নাই, তাহারা চিরকালই ফাকি দিয়া আসিতেছে এবং চিরকালই দিবে। যাহার ব্যাখ্যা মুখস্থ করিয়া উত্তীর্ণ হইতে পারে, তাহার কি ইংরেজী অমুবাদ মুখস্থ করিয়া উত্তীর্ণ হইতে পারে না ? এই যে ইংরেজী অনুবাদের কথা উঠিয়াছে, আমরা জিজ্ঞাসা করি, শিক্ষাসংক্রান্ত কাৰ্য্য ७मनू কতগুলি পণ্ডিত আছেন, র্যাহারা সংস্কৃs • মূল হীন ধরতে বতে বা মিথ্যাপ্রযুক্তি ন তমর্থনাই। ' o སྨ།༣མ་ཟ། বঙ্গমানং লিপ্তি ৰখেজশক্রঃ স্বরতোৎপরাধাৎ । (শিক্ষা ৫২) ।