চতুর্থ সংখ্যা । ] মোহিতচন্দ্র লেন । Yቈዓ বিষ্কৃত করিয়া দেখেন না। আমার নূতনস্থাপিত বিষ্ঠালয়ের সমস্তু দুৰ্ব্বলতা-বিচ্ছিন্নতা অতিক্রম করিয়া মোহিতচন্দ্র ইহার অনতিগোচর সম্পূর্ণতাকে উপলব্ধি করিতে পারিয়াছিলেন। তখন আমার পক্ষে এমন সহায়তা আর কিছুই হইতে পারিত না । যাহা আমার প্রয়াসের মধ্যে আছে, তাহ আর একজনের উপলব্ধির নিকট সত্য হইয়া উঠিয়াছে, উদ্যোগকর্তার পক্ষে এমন বল,—এমন আনন্দ আর কিছুই হইতে পারে না। বিশেষত তখন কেবল আমার ছইএকজনমাত্র সহায়কারী মুহৃৎ ছিলেন ; তখন অশ্রদ্ধা, অবজ্ঞ এবং বিয়ে আমার এই কৰ্ম্মের ভার আমার পক্ষে অত্যন্ত দুৰ্ব্বহ হইয়া উঠিয়াছিন । একদিন কলিকাতা হইতে চিঠি প্লাইলাম, আমার কাছে র্তাহার একটু বিশেষ প্রয়োজন আছে, তিনি বোলপুরে আসিতে চান। সন্ধ্যার গাড়িতে আসিলেন। আহারে বসিবার পূৰ্ব্বে আমাকে কোণে ডাকিয়া-লইয়া কাজের কথাটা শেষ করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন । নিভৃতে আসিয়া কুষ্ঠিতভাবে কহিলেন—“আমি মনে করিয়াছিলাম, এবারে পরীক্ষকের পারিশ্রমিক যাহা পাইব, তাহ নিজে রাখিব না। এই বিদ্যালয়ে আমি নিজে যখন খাটিবার সুযোগ পাইতেছি না, তখন আমার সাধ্যমত কিছু দান করিয়া আমি তৃপ্তিলাভ করিতে ইচ্ছা করি।” এই বলিয়া সলজ্জভাবে আমার হাতে একখানি নোট খুজিয়া দিলেন। নোট খুলিয়া দেখিলাম, হাজাটাকা। ‘यहे शंजॉब्रध्नांकांब्र भङ झर्लंड ছ"ল্য হাজারটাৰণ ইহার পূৰ্ব্বে এবং পরে আমার ९ष्ठ कांब्र श्रृंहफ़ नाहे । छैॉकांग्र बांश পাওয়া যায় না, এই হাজারটাকায় তাহ পাইলাম। আমার, সমস্ত বিদ্যালয় একটা - নুতন শক্তির আনন্দে সজীব হুইয়া উঠিল। বিশ্বের মঙ্গলশক্তি যে কিরূপ অভাবনীয়রূপে কাজ করে, তাহ এমনিই আমাদের কাছে প্রত্যক্ষ হইল যে, আমাদের মাথার উপর হইতে বিস্ত্রবাধার ভার লঘু হইয়া গেল। ঠিক তাহার পরেই পারিবারিক সঙ্কটে আমাকে দীর্ঘকাল প্রবাসে যাপন করিতে বাধ্য হইতে হইaাছিল এবং যে আত্মীয়ের উপর নির্ভর করিবার প্রয়োজন ছিল, এস এমনি অকারণে বিমুখ হইল যে, সেই সময়ের আঘাত আমার পক্ষে একেবারে অসহ হইতে পারিত। এমন সময়ে নোটের আকারে মোহিতচন্দ্র যখন অকস্মাৎ কল্যাণবর্ষণ করিলেন, তখন স্পষ্টই বুঝিতে পারিলাম যে, আমিই যে কেবল আমার সঙ্কল্পটুকুকে লইয়া জাগিবার চেষ্টা করিতেছি, তাহা নহে-মঙ্গল জাগিয়া আছে। আমার দুৰ্ব্বলতা, আমার আশঙ্কা, সমস্ত চলিয়া গেল । * e. ইহার কিছুকাল পরে মোহিতচন্দ্র বোলপুর বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষপদ গ্রহণ করিয়াছিলেন, কিন্তু কঠিনপীড়াগ্রস্ত হইয়া ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ইহাকে পুনরায় কলিকাতায় আশ্রয়গ্ৰহণ করিতে হইল”। যাহারা মানবজীবনের. ভিতরের দিকে তাকায় না, যাহারা বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে শুভদৃষ্টিবিনিময় না করিয়া, ব্যস্তভাবে ব্যবসায় চালাইয়া যায় বু অলসভাৰে দিনক্ষয় করিতে থাকে, পৃথিবীর সঙ্গে তাঁহাদের সম্বন্ধস্বত্র কতই ক্ষীণ। "তাহারা চলিয়া গেলে কতটুকু স্থানেই বা শূন্তত ঘটে। কিন্তু
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।