চতুর্থ সংখ্যা । ] তোর খাওয়াপরার কোন কষ্ট থাকিবে না ।” 翰 মোনার মা চক্ষু মুছিয়া বলিল—“বড় ঠাইরুণ, সকলে ত আমারে নিকা বসতি কয়। কিন্তু আমি তা’তে নারাজ । খোদতাল্লার কাছম কর্যা কই, আমার আর সে সাধ নাই। আমার এ জীবনের যে সুখ, তা সেই একজনের সাতে গেছে। এখন আমার এই কয়ডী নাবাল্পক মানুষ করতি পালি, আমি তারগে কামাই খায় বাঁচ তি পারব। এখন আবার কোন গোলামের কাছে যাব, সে আমার সোনার চাদগো খেদায়্যা দিবে। আর দুইখান-বছর কোনোমোতে আপনাগে। ভিটাডা কামড়ায়্যা থাকৃতি পালি আমার বড় ছাল্যা মোনা কুিছু-কিছু রোজগার কপ্তি পারবে। আমিও বারদুয়ারে বারাকুটা বান্ত একরকম চালাতি পারবো। কিন্তু এই বাষ্যার তিনড মাস— যে দইগণ্ডী বাষ্যা—কোনোমোতে চালাতি পালিই আমি বাচি । আপনার দয়া না হলি আমরা এই কয়ড মানুষ ঘরে দাপাইয়৷ মরবো ! ও আল্লা !” 翰 বড়গিল্পী বলিলেন—“আচ্ছ,তুই এক কাজ কর। আমাদের ভোলার মা কয়দিন বাড়ী গেছে। তার ছেলেটার বড় ব্যারাম --বাচে কি মরে। সে না আসা পর্য্যস্ত আমাদের বাড়ীতে बांश्लtब्र ठेिऊ । ›ፃፃ থাকিয় কাজকৰ্ম্ম কর্, তোরা কয়টি তিনবেল খেতে পাবি। পরে আমি তোকে দুইটা টাকা দিব। তুই ত ধান ভানতে পারিস, সেই টাকা দিয়া হাটে ধান কিনিয়া চলি তৈয়ারি করিয়া বেচিস্। সেই চাল বেচিলে তোর অবিশুি কিছু লাভ থাকিবে । এইরকম করিয়া কোনক্রমে কিছুদিন চালাইতে পারবি। যদি ভালভাবে কাজ চালাস, কাউকে না ঠকাস আর চাল না খেয়ে ফেলিস, তবে অামি আর পাঁচটাক দিব। গোপালকে বলিস্, সে ধান কিনিয়া দিবে।” মোনার মা এই প্রস্তাবে সন্মত হইল । বড়বে একখানা পাথরে করিয়া পাস্তাভাত বাড়িয়া দিলেন, তাহারা চাৱিজনে খাইতে বসিল । বড়বে তাহাদিগকে খাইতে দিয়া আসিয়া বলিলেন—“বড়ম, ছয়জন অতিথ এসেছেন, পণ্ডিতঠাকুর আছেন, দুধে ত কুলাইবে না । দুধ আরও চাই ।” বড়গিনী দুধের কথা বলিবার জন্ত, সরলাকে দত্তমহাশয়ের নিকট পাঠাইলেন । দত্তমহাশয় অন্দরে আসিয়া বলিলেন—“এবেলা আর দুধ ঘটিবে না। ওবেলা হাট আছে, হাটে দুধ কেনা যাবে। যে দুধ পাওয়া গিয়াছে, তাহ অতিথিদিগকে দিতে বলুন। আমাদের এবেলা হুধের দরকার নাই।”
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।