পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 জানকে ভোট দিবার জন্যই সাজিয়া আসিয়াছিলেন। এমন কি,মাহীদের অতি অল্পদিন হইল, ইংরেজী বর্ণমালার সহিত পরিচয়স্থাপন হইয়াছে, তাহারাও অতি ব্যস্তসমস্তভাবে হস্তোত্তোলন করিয়াছিলেন। কাৰ্য্যত শুধু ইংরেজী অনুবাদের দ্বারা সংস্কৃতশিক্ষা সম্ভব কি না, তাহ বিচার করিবার অবসর ইহাদের কাহারও ছিল না। ব্যাকরণের কথা । শুনিতে পাওয়া যায়, কোন খ্যাতনামা ব্যক্তি নাকি বিদ্যালয়ে ংস্কৃতব্যাকরণের পরিবর্তে হুইট্‌নিসাহেবের রচিত ইংরেজীভাষায় লিখিত সংস্কৃতব্যাকরণ প্রবৰ্ত্তিত করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর হইয়াছেন। এই প্রস্তাবটি কার্য্যে পরিণত হইলে সংস্কৃতশিক্ষা উন্নতির চরমসামায় উপনীত হইবে । আমরা এ সম্বন্ধে অদ্য কিছুই বলিব না, পরে বিশষভাবে উহার আলোচনা করিবার ইচ্ছ রহিল। স্বৰ্গীয় ভক্তিভাজন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র ‘বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সঙ্কলিত সংগ্রহপুস্তকগুলি বেশ উৎকৃষ্ট ছিল, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই ; কিন্তু তখনও অনেকে ফাকি দিয়া উত্তীর্ণ হইত। এখন ইংরেজী হইতে বাঙলা অনুবাদে ২০ নম্বর ও বাঙলা প্রবন্ধরচনায় ২• নম্বর এবং সংস্কৃতপাঠে ৮০ নম্বর আছে । কাজেই ছাত্রদিগকে সংস্কৃতব্যাকরণ ও সংস্কৃতপাঠ্য অধ্যয়ন করিতে হয়। কিন্তু পূৰ্ব্বে ইংরেজী হইতে বাঙলা অনুবাদে ৫০ নম্বর ছিল, কাজেই অনেকে সংস্কৃতপাঠ্যের পাতা না উণ্ট ইরাও সংস্কৃতে উত্তীর্ণ হই যাইত। একজন । প্রধাণ, শিক্ষিত্ৰলোকের মুখে শুনিয়াছি, তিনি ཨ་ཨཱ་ཨཱ། ཨི་ཨཱ་ দিবার সময় শুধু অনুবাদের বঙ্গদর্শন । [७é बव, टेबलाँ५ প্রশ্নপত্রের উত্তর করিয়াই বৃত্তিসহ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন। বস্তুত এখন সংস্কৃতশিক্ষার যে অবনতি ঘটতেছে, প্রশ্ননিৰ্ব্বাচনের ক্রটিই উহার অন্ততম কারণ। পূৰ্ব্বে প্রশ্নপত্রে সন্ধি, শব্দরূপ, প্রকৃতিপ্রত্যয়, বাচfস্তর, কারক, ধাতুরূপ প্রভৃতি জিজ্ঞাসিত হইত, এখন কদাচিৎ দুইএকটি ধাতুরূপ ও সমাসবাক্য জিজ্ঞাসা করা হয়, আর কোন বিষয়েরই প্রায় প্রশ্ন থাকে না। সুতরাং সাধারণ ছাত্রেরা ব্যাকরণের ঐ সকল অংশে মনোযোগ দিবে কিজান্ত ? তবে যাহারা-শিখিবার উদ্দেশে সংস্কৃত পড়ে, তাহার প্রশ্ন থাকিলেও পড়ে, না থাকিলেও পড়িয়া থাকে। তবে ঐ সকল সম্বন্ধে নিতান্ত দুরূহ কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া প্রত্যেক বিষয়েই সহজ সহজ দুইএকটি প্রশ্ন থাকা আবশুক । তা ছাড়া, প্রবেশিক পরীক্ষার পাঠ্যপুস্তকখানি কয়েকবৎসর হইতে একই আকারে প্রকাশিত হইতেছে। উহার কিছু আকারের পরিবর্তন প্রয়োজনীয়। হিতোপদেশের মিত্রলাভপ্রকরণই উৎকৃষ্ট, কিন্তু দীর্ঘচ্ছদের শ্লোকগুলি ও নীরস দুইচারিটি কঠিন পদ্য পরিহার করা কর্তব্য । রামায়ণের অযোধ্যাকাণ্ডের রচনা সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট বলিয়া অনেক পণ্ডিতই মতপ্রকাশ করিয়াছেন, কিন্তু চিরকালই কৌশল্যা ও দশরথের বিলাপ এবং দশরথের অস্ত্যেষ্টিক্ৰিয়াই যে পড়াইতে হইবে, তাহারই বা হেতু কি ? রামারণে আরও ত সহ ও সরস অংশ আছে। উহার রচনায় না. হয় একটু উনিশ-বিশ থাকুক, তাহাতে ক্ষতিই ধ কি ? মহাভারত নীতির আকর, উহাতে