Ֆե, 8
- হায় নলিনি, তোমার তবে রূপ কোথায় ? তুমি পরের আঘাত খাইয়া কতকগুলা আমার দিকে চালাইয় দিতেছ। সেই আঘাতে আমার ষে মুখ হয়, সেগুলা তোমার নিজের নয়, পরের আঘাতই তোমার সম্বল। তুমি কতকগুলা আত্মসাৎ করিয়া যেগুলা আমার মনে আঘাত লাগে, সেইগুলা বাছাই করিয়া আমার প্রতি নিক্ষেপ কর । এই বাছাই করিবার শক্তি ভিন্ন তোমার আর কিছুই নাই। নলিনি, তুমি বৃথাভিমানিনী, নইলে সুৰ্য্যের আঘাত খাইয়া এত গরবিণী হইতে না।” শব্দ কি ? শব্দ বায়ুকম্পন ভিন্ন আর কিছু নহে। বায়ুকম্পনদ্ধারা আমাদের স্বায়ুবিশেষ আলোড়িত হয় এবং সেই আলোড়ন আমাদের মস্তিষ্কের স্থানবিশেষে কি-এক বিপ্লব ঘটায়—তাহাতেই আমাদের বোধ হয় আমরা শব্দ শুনিতেছি । “হায় নলিনি, তোমার কণ্ঠে শব্দ কই ? তুমি আবার কি কথা শুনাবে? তুমি ত বায়ুটাকে এদিকেওদিকে নাড়িয়া দাও, তুমি আরার শব্দ কোথায় পাবে? শব্দটা আমার মনে । তোমাতে নাই, বায়ুতে নাই, আমার কানেও नाहे ।”
অনেকের দৃঢ় বিশ্বাস যে, বৈজ্ঞানিকের জীবন অত্যন্ত নীরয়। অনেকে মনে করেন যে, বাহার জীবন প্রকৃতির আরাধনায় উৎসর্গীকৃত, তাহার হৃদয় শাহার-মরুভূমির ন্যায় শুষ্ক। কবিত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যে কোন বিপরীত সম্বন্ধ নাই-- কবি ও বৈজ্ঞানিক উভয়েই প্রকৃতির আরাধনা করেন ও উভয়ের প্রাণই এক উন্মত্ত মাদকতায় বিভোর—তবে এতদ্বন্তরের মধ্যে প্রঙ্গে পূজার প্রণালীতে। বঙ্গদর্শন। [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, শ্রাবণ কবি ও বৈজ্ঞানিক উভয়কেই কল্পনার আশ্রয় গ্রহণ করিতে হয়—“কিন্তু কবি কল্পনা করেন মিথ্যাস্থষ্টি করিতে, বৈজ্ঞানিক করেন প্রকৃতির রাজ্যে প্রবেশ করিতে।” রাসায়নিক, জড়বিজ্ঞানবিদ, উদ্ভিদবেত্তা প্রভৃতি সকলেই প্রকৃতির গুড়রহন্ত প্রকাশ করিতে নিযুক্ত। প্রকৃতির অভ্যন্তরে কি অপূৰ্ব্ব মধুরতাময় কবিত্ব লুক্কায়িত আছে, তাহা লোকসমক্ষে প্রচার করিবার জন্ত বৈজ্ঞানিক জীবন উৎসর্গ করিয়াছেন ও কত স্থানে ব্যর্থমনোরথ হইয়াছেন। প্রকৃতি অত্যন্ত মায়াময়ী- অথচ যে সৌভাগ্যবান্ একবার তাহার অনুগ্রহের কণিকামাত্র পাষ্টয়াছে, সে কিছুতেই তাহার সঙ্গ ছাড়িবে না । বৈজ্ঞানিকের জীবন নীরস নহে— অনেকসময় কবির তুলনায় বৈজ্ঞানিকের জীবন অধিকতর সরসতীপুর্ণ বলিয়া প্রতীত হয়—তবে সেই সরসতা প্রণিধান করিতে হইলে কিঞ্চিৎ সুকৃতি আবশুক । জগতে প্রকৃত বন্ধু অত্যন্ত বিরল। চুম্বকের ও লৌহের মধ্যে যেরূপ আকর্ষণী শক্তি আছে, প্রকৃত বন্ধুদের মধ্যে সেইরূপ প্রাণের টান থাকা চাই। "চুম্বকের এমনই গুণ, তার কাছে থাকিলেই লোহ চুম্বক হইয়া পড়ে। কিন্তু লোছায় ঘা দেওয়া চাই, পেট চাই। এইজন্তই জাহাজগুলা কারখানায় ঘা খাইয়া বলশালী প্রকাও इत्रक श्डेब बाहिब इव । इहे बिरजूद्र अश একজন চুম্বক, অপরজন লোহা । কিন্তু জেনে, সংসারের জালারুপ আঘাত না পাইলে চুম্বকের গুণ প্রকাশিত হয় না, श्वां शर्रज७ एठtश्ां श्वेी ब्रि न। ।”