চতুর্থ সংখ্যা । ] প্রশস্ত বা মৃত্ন উচ্চারণ হয়, তাহার শিক্ষা শুনিয়া শুনিয়াই হয়, পুস্তকুপাঠদ্বারা হয় না, এইজন্য কেহ কেহ বলেন, বিদেশীয় লোকের শিক্ষার সুবিধার জন্য অভিধানে বর্ণবিশেষের উপর মৃত্ন বা প্রশস্ত উচ্চারণের কোন চিন্তু দেওয়া হইলে স্ববিধা হয়। ইংরেজীতে অক্ষরের অল্পতাহেতু স্থলবিশেষে বর্ণবিশেষের উচ্চারণবৈষম্য চিহ্লদ্বারা নির্দেশ করার নিয়ম,আছে। সুতরাং আমাদের অভিধানে উক্তরূপ চিছু ব্যবহার করিলে ক্ষতি নাই, কিন্তু শবিশেষের উপর চিহ্রদ্বারা উচ্চারণনির্দেশ করিতে হইলে যেন ইহাই বুঝায় যে, এই বিষয়ে আমাদের ভাষা নিয়মবজ্জিত ; কারণ, নিয়ম থাকিলে আর চিহ্লের প্রয়োজন কি ? এই প্রশ্ন করিয়া প্রণিধানপূর্বক দেখিতেছি, ইহাও নিয়মবহিভূত নহে। দেখিতেছি, অকারের পরবর্তী প্রথম স্বর যদি ইকার কিংবা উকার থাকে, তবে অকারের মৃদুচ্চারণ হয়, যথা- অনিল, অধুন, অকিঞ্চিৎ, অতুল, অম্বুজ, অসীম, অনিত্য, অবিনাশ, অনুমান ইত্যাদি। অকারের পর প্রথম স্বর যদি ই, ঈ, উ, উ ভিন্ন অন্ত স্বর থাকে, তবে তাহার প্রশস্তোচ্চারণ হয়, যথা— অখণ্ড, অব্যক্ত, অস্ত, অপহার, অভ্রান্ত, অশান্ত, অদেয়, অপেয়,. অনেক, অনৈক্য, অশেষ, অঙ্কত, অতৃপ্ত, অমোঘ, অশৌচ ইত্যাদি। আকারের পর অমুস্বার-বিসর্গ থাকিলে তাহাঙ্গের পর যে স্বর থাকে, অকারের উচ্চারণ তাহার অনুযায়ী হয়, অর্থাৎ তদন্থসারে মৃদ্ধ বা প্রশস্ত হয়, যথা—অংশ প্রশস্ত, কিন্তু অংশ মূছ। অর্থাৎ অসুস্বার-বিসর্গকে चचाग्ब्रह्म &वंङ्गङि ७ श्वब्रबंघ्छिांद्वं 为冶》 এস্থলে অগ্রাহ করিয়া তাহার পরবর্তী স্বরকেই অকারের পর প্রথম স্বর গণ্য করিতে * হয়। তাহার কারণ অনুস্বারবিসর্গশীর্ষক প্রবন্ধে পরে বিবৃত হইবে। এই সকল । নিয়ম ব্যাকরণে নাই, তাহার কারণ এই যে, ভাষায় ভাবভঙ্গি অনন্তপ্রকার, তাহাসম্যকৃরূপে ব্যাকরণে উঠিতে পারে না। উপরে আকারের প্রশস্ত ও মৃদ্ধ উচ্চারণের নিয়ম প্রদশিত হইয়াছে, কিন্তু নিয়মমাত্রেরই মূলে তাহার বৈজ্ঞানিক কারণ নিহিত থাকে। অতএব আকারের এই উচ্চারণভেদের বৈজ্ঞানিক কারণানুসন্ধান করার প্রয়োজন ; কারণ, নিয়মের মৌলিক বিজ্ঞান না জানিলে নিয়মকে অন্ধের ন্তার চালন ও পালন করিতে হয় ; বিজ্ঞান জানিলে নিয়মের দোষগুণ সমালোচনা করা যাইতে পারে। অতএব এই নিয়মের মুলামুসন্ধান করা যাইতেছে। স্বরবর্ণের মধ্যে ইকার এবং উকার সর্বাপেক্ষা মৃত্ব অর্থাৎ তাহারা অল্পায়াসে উচ্চারিত হয়, তাহাদের উচ্চারণে অধিক মুখবাদান করিতে হয় না। ইকারের প্রশস্তোচ্চারণ একার এবং উকারের প্রশস্তোচ্চারণ ওকার। হরি বলিয়৷ দীর্ঘস্বরে ডাকিলে হরি= ই, ই, ই, এ, এ হইয় আসে। এইজন্ত ই, উ বর্ণদ্বয়কে মৃদুস্বর বলা যায়, অকারের প্লর ঐ দুই মৃদ্ধশ্বর থাকিলে তাহার সহিত সামন্ত্রত রাখার জন্ত অকারের মৃদুচারণ হওয়া স্বাভাবিক। উপরোক্ত নিয়মের ইহাই বিজ্ঞান। . !گانے অকারের ম্ভায় একারেরও উচ্চারণদ্বৈধ আছে। বনে, মনে, ধনে, প্রাণে, অন্বেষণ, অশেষ, বিশেষ, অনেক, নেপাল, নেত, ক্রোত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।