তাহাকে আচ্ছন্ন করিতে চাই। বস্তুত এ ঝগড়া ত শিশুর সঙ্গে নয়, এ ঝগড়া প্রকৃতির সঙ্গে। প্রকৃতির মধ্যে যে পুরাতন জ্ঞান আছে, তাহাই কাপড় পরাইবার সময় শিশুর ক্রদনের মধ্য হইতে প্রতিবাদ করিতে থাকে—আমরাই ত তাহার কাছে শিশু। যেমন করিয়া হউক, সভ্যতার সঙ্গে একটা রফী দরকার। অন্তত একটা বয়স পর্য্যন্ত সভ্যতার এলেকাকে সীমাবদ্ধ করা চাই। আমি খুব কম করিয়া বলিতেছি,—সাতবছর। সে পৰ্য্যস্ত শিশুর সজ্জায় কাজ নাই, লজ্জায় কাজ নাই। সে পৰ্য্যস্ত বৰ্ব্বরতার যে অত্যাবশুক শিক্ষ, তাহ প্রকৃতির হাতে সম্পন্ন হইতে দিতে হইবে। বালক তখন যদি পৃথিবীমায়ের কোলে গড়াইয়া ধূল মাটি না মাখিয়া লইতে পারে, তবে কবে তাহার সে সৌভাগ্য হইবে ? সে তখন যদি গাছে চড়িয়া ফল পাড়িতে না পায়, তবে হভভাগা ভদ্রতার লোকলজ্জায় চিরজীবনের মত গাছপালার সঙ্গে অন্তরঙ্গ সখ্যসাধনে বঞ্চিত হইবে। এই সময়টায় বাতাস-আকাশ, মাঠ-গাছপালার দিকে তাহার শরীরমনের যে একটা স্বাভাবিক টান আছে—সব জায়গা হইতেই তার যে একটা নিমন্ত্রণ আসে, সেটাতে যদি কাপড়চোপড়, দরজা-দেয়ালের ব্যাঘাতস্থাপন করা যায়, তবে ছেলেটার সমস্ত উত্তম অবরুদ্ধ হইয়া তাহাকে ইচড়ে পাকায়। খোলা পাইলে যে উৎসাহ স্বাস্থ্যকর হইত, বদ্ধ হইয় তাহাই দুষিত ষ্টতে থাকে। ছেলেকে কাপড় পরাইলেই কাপড়ের জন্ত তাহাকে সাবধানে রাখিতে হয়। ছেলেটার गोमृ आँप्छ कि मा, cण कथा जब जभष्म भएन জাৰয়ণ । থাকে না-কিন্তু দরজির হিসাব ভোলা শক্ত।. ३$६ এই কাপড় ছিড়িল, এই কাপড় ময়লা হইলু, আহা সেদিন এতটাকা দিয়া এমন সুন্দর জামা করাইয়া দিলাম, লক্ষ্মীছাড়া ছেলে কোথা হইতে তাহাতে কালী মাথাইয়া আনিল, এই বলিয়া যথোচিত চপেটাঘাত ও কানমলার যোগে শিশুজীবনের সকল খেল, সকল আনন্দের চেয়ে কাপড়কে যে কিপ্রকারে খাতির করিয়া চলিতে হয়, শিশুকে তাহ শিখানো হইয়া থাকে। যে কাপড়ে তাহার কোনো প্রয়োজন নাই, সে কাপড়ের জন্ত বেচারাকে এ বয়সে এমন করিয়া দায়ী করা কেন ; বেচারাদের জন্ত ঈশ্বর বাহিরে যে কয়টা অবাধ সুখের আয়োজম, এবং মনের মধ্যে অব্যাহত মুখসম্ভোগের ক্ষমতা দিয়া । ছিলেন,অতি অকিঞ্চিৎকর পোষাকের মমতায় তাহার জীবনারম্ভের সেই সরল আনন্দের লীলাক্ষেত্রকে অকারণে এমন বিস্ত্রসস্কুল করিয়া তুলিবার কি প্রয়োজন ছিল ! মানুষ কি সকল জায়গাতেই নিজের ক্ষুদ্রবুদ্ধিও তুচ্ছ প্রবৃত্তির শাসন বিস্তার করিয়া কোথাও স্বাভাবিক মুখশাস্তির স্থান রাখিবে না ? আমার ভাল লাগে, অতএব যেমন করিয়া হৌক, উহারও ভাল লাগা উচিত, এই জবরদস্তির যুক্তিতে কি জগতের চারিদিকে কেবলি দুঃখবিস্তার করিতে হইবে ? . যাই হোক, প্রকৃতির দ্বারা যেটুকু করিবার, তাহা আমাদের দ্বারা কোনোমতেই হয় ন, অতএব মানুষের সমন্ত ভাল কেবল আমরা बूझिमात्नब्राहे कवि, अभन भ१"न। कब्रि প্রকৃতিকেও খানিকটা পথ ছাড়িয়া দেওয়া চাই । সেইটে খোড়ায় হইলেই ভদ্রতার
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।