পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] উদ্ভিজ্জের মধ্যে বড়-বড় cactus ছাড়া আর কিছুই নাই –সেই মর-গাছগুল শুধু খাড়া হইয়া রহিয়াছে ;–সমস্ত শৈলথগু উহাদের কণ্টকময় বৃত্তে কণ্টকিত । আমার দুইজন পথপ্রদর্শক পৃষ্ঠে ঢাল ও হস্তে বল্লম লইয়া অশ্বপৃষ্ঠে চলিয়াছে। বাহাদুর ও আকৃবরের আমলে, সৈনিকদের এইরূপ সাজ ছিল । অপরাত্ন পাচঘটিকার • সময় সুৰ্য্যের প্রখরকিরণে আমাদের চক্ষু যেন ঝলসিয়া গেল । অস্বরের রুদ্ধ-উপত্যকার গায়ে, যেখানে একটা সরু ফাক আছে, সেই ফাকটি অবশেষে আমাদের নেত্রগোচর হইল। একটা ভীষণ দ্বার, এই একমাত্র প্রবেশপথটিকে রুদ্ধ করিয়া কুখিয়াছে । তাহার পরেই হঠাৎ সেই প্রাচীন রাজধানীটি আমাদের নেত্ৰসমক্ষে উদঘাটিত হইল । সান-বাধানো ঢালু সোপান দিয়া আমাদের ঘোড়ার পিছলাইয়া-পিছলাইয়া লাগিল ;–এইরূপে আমরা রাজাদিগের পুরাতন প্রাসাদে আরোহণ করিলাম । বেলে-পাথর ও মাৰ্ব্বেলে গঠিত এই প্রাসাদটি শৈলরাশির উপর রাজসিংহাসনের মত সদৰ্পে বিরাজ করিতেছে ; এবং সেখানে অধিষ্ঠিত হইয়া চতুদ্দিকৃস্থ ধ্বংসাৱশেষগুলি অবলোকন করিতেছে। প্রবেশ করিয়া,—উপরে উঠতে উঠিতে, যে-ই একটা মোড় ফিরিলাম, অম্নি কৃষ্ণবর্ণ অশুভদৰ্শন একটা মন্দির দৃষ্টিপথে পতিত হইল -যাহার ভূমি শোণিতধারায় কলঙ্কিত, এবং যেখান হইতে মৃতপশুর পূতিগন্ধ সৰ্ব্বদা নিঃস্থত হইতেছে। ইহা পুরাতন পশুবলির Wy كعمضعجيكييتي তুর্ভিক্ষপীড়িত ভারতে । চলিতে . ३éॐ স্থান। মন্দিরের গর্ভদেশে, একটা কুলুঙ্গির মধ্যে, প্রচণ্ডভীষণ দুর্গ অধিষ্ঠিত ; মূৰ্ত্তিটা অতীব ক্ষুদ্র ও অক্ষুটাবয়ব ;–একটা ক্রুরকশ্ব রাক্ষসী, লাল দ্যাকৃড়ায় জড়ানো - ধ্বজস্তম্ভের স্তায় একটা প্রকাও ঢাক তাহার পদতলে স্থাপিত। ঐখানে, বহুশতাব্দী হইতে, প্রতিদিন প্রাতে, ছাগবলি হইয়া অসিতেছে ; লুই ছাগের তপ্তশোণিত একটা পিতলের গাম্লায় ও তাহার সপৃঙ্গ মুণ্ডটা একটা থালায় . রক্ষিত হইয় থাকে। আশ্চৰ্য্য ! সংহারদেবতার পত্নী দুর্গারূপে এই ভীষণ কালী কিরূপে হিন্দুদেবতাদিগের মধ্যে স্থান পাইল ? ষে দেশে জীবহিংসা নিষিদ্ধ, সেই দেশে, কিছুদিন পূৰ্ব্বে এই স্থানে, রক্তপিপাসু কালীর সম্মুখে কিনা নরবলি হইত ? না জানি, কোন পুরাকালের গর্ভ হইতে—কোন অমানিশার মধ্য হইতে এই কালীমূৰ্ত্তি নিঃস্থত হইয়াছে !... আমরা পথের প্রত্যেক আড্ডায় যেখানেই থামিতেছি, সেখানেই আমাদের সম্মুখে • “গজাল মারা” পিতলের দ্বারসমূহ উদঘাটিতু হইতেছে। তাহার পর অশ্বপৃষ্ঠ হইতে নামিয়া পদব্রজে,—প্রাঙ্গণের মধ্য দিয়া, বাগানের মধ্য দিয়া, সিঁড়ি দিয়া—বরাবর উপরে উঠতে লাগিলাম। " মোট-মোটা থামওয়ালা মাৰ্ব্বেলের দালান ; তাহাতে কত স্বল্প বিচিত্র কারুকার্য্য ; উহার খিলানমণ্ডপ পূৰ্ব্বে ছোট ছোট কাচের টুকর ও আয়নার টুকরায় মাচ্ছাদিত ছিল ; গুহাগাত্রের স্তায় এখন সমস্ত "ছাতপড়া” হইলেও, স্থানে-স্থানে এখনো ঝৰূমৰু করিতেছে। দরজাগুলী কাঠের—গজদন্ত