পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԶԵ হাত দিলে কেন ?” শিশু রাগিয়া গেল, ঠোট ফুলাইয়া নিজের হাতের বালা খুলিয়৷ মহারাণীর গায়ে ফেলিয়া দিল এবং বলিল, আর তোর কাছে আসবে না। বাড়ীতে আমার যত অলঙ্কার আছে, গায়ে দিয়ে আসবে না। চার-আনির বাড়ীর ভালবাসা ।” মার দ্যায় আমিও বুঝিলাম যে, সেদিন চারিমানির বাড়ী গিয়া তিনি যে বালিকার সাম্নে সেখানকার শিশুদের অত্যন্ত "আদর করিয়াছিলেন, তাহার প্রাপ্য স্নেহ ও সোহাগ পরের ছেলেদের অর্পণ করিয়াছিলেন, ইহাতে তাহার হিংসা হইয়াছিল । সহ করিতে না পারিয়া রাগে আজ সেই কথা অৰ্দ্ধোচ্চারিত করিল। আর একদিন প্রাতে গিয়া দেখি, মা হলে দাড়াইয়া আছেন, কুমারের ( পোষ্যপুত্র ) জ্যেষ্ঠভ্রাতা রোহিণী গোস্বামীর চরিবছরের কালোকোলে নপরদেহ ছেলেটি ক্ষুদ্ৰ দুখানি হাত দিয় তাহাকে বেড়িয়া ধরিল। বলিল, “আমায় বাড়ী পাঠাইলা দাও ।” মাত হাসিয়া তার সঙ্গে আমোদ করিতে লাগিলেন। তার পর সে বলিল, “তুমি তোমার বাড়ী চল।” মা বুঝিলেন, পূৰ্ব্বদিন বধূরাণী প্রভৃতিকে লইয়া ছোটবাড়ীর বাগানে যখন শাকসবজী তুলিতে যান, বালক তখন সঙ্গে গিয়াছিল, আজ আবার সেখানে যাইতে বলিতেছে । তিনি হাসিলেন, বলিলেন,“আগে তোমার খুড়িমাকে (বৌরাণীকে ) নিয়ে এসে, তবে ত যাব ।” বালক তখন বধূরাণীর প্রকোষ্ঠের দিকে দেড়িয়া গেল। স্বচক্ষে দেখিয়াছি, ৭৮বছরের ব্রাহ্মণেতর বর্ণের ছেলে স্থানান্তরে বাইবার সময় প্রণাম , করিতে গিয়াছে, ম৷ बब्रजर्भेन । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, ভাদ্র । তাহাকে কোলে উঠাইয়া লইয়াছেন, তাহার হাতের কণ্ডুরোগ গ্রাহ করেন নাই। নাটোরের বর্তমান লোকপূজ্য। মহারাণী যখন নিতান্ত বালিকা, আত্মীয়তাসূত্রে পিতামাতার সঙ্গে কখন-কথন তাহাকে দেখিতে যাইতেন। মাতার পায়ের কাছে বসির-বসিয়া বালিকা শৈশবসুলভ কৌতুহল ও ঔৎসুক্যের সহিত সমস্তদিন প্রায় তাহার কৰ্ম্মময় জীবন প্রত্যক্ষ করিতেন। একদিন আদরের সহিত বলিলেন, “কত্তা, (রাজশাহীতে কত্রীদের কত্তা বলে ) কত্তা, আমি আপনায় মত মহারাণী হল o মা হাসিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, “তা তুষ্ট হবি কুকী ” তদবধি অনেককে সেদিনের কথা আমোদ করিয়া এই ক্ষুদ্র লেখকের কথা উঠিলে বলিতেন, "পাগ্লাট তেন । আমার অসাক্ষতে হাকিম হবে ।” আশ্রিত বিদ্যাগীদের প্রতি হার করুণকোমল ব্যবহার আলোচনা করিলে এই মাতৃভাব আরো इट्रेग्ना डेप्थें । রাজশাহী কলেজের উন্নতিকল্পে তিনি কয়বাৱে অনেকটাক দান করিয়াছিলেন । তা ছাড়া, পুটিয়ার বঙ্গবিদ্যালয় এবং লালপুর মধ্যবিত্ত ইংরেজী স্কুল তাঙ্কারই অর্থসাহায্যে বরাবর পরিচালিত হইয়া আসিয়াছে। সংস্কৃতশিক্ষার উৎসাহ জুন -পুটিরার ও অন্যান্য স্থানের টোলেও তিনি বিস্তর সাহায্য করিতেন। এ সকলের উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী দরিদ্র বালক ও যুবকদের পুস্তকক্রয়ের ও “ফি”এর সহায়তায় প্রতি বৎসর নিঃশব্দে যেসব দান হইত, তাহাও সামান্য নহে।’ এই সকল তাহার বিস্তোৎসাহিতার প্রচুর প্রমাণ স্পষ্টীকৃত