পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

తీఆశీ কিরূপ অব্যর্থ, আমাদের নিজের মধ্যে তাহার পরিচয় পাইবার বড়ই প্রয়োজন ছিল । রাজা যে আমাদের পক্ষে কত-বড় অমুকুল, তাহ মহে, কিন্তু ইচ্ছা যে আমাদের মধ্যে কত-বড় শক্তি, ইহাই নিশ্চয় বুঝিবার জন্ত আমাদের একান্ত অপেক্ষা ছিল। বিধাতার প্রসাদে আজ কেমন করিয়া সেই পরিচয় পাইয়াছি। আজ আমরা স্পষ্ট দেখিতে পাইলাম, ইচ্ছাই ঈশ্বরের ঐশ্বৰ্য্য, সমস্ত স্বষ্টির গোড়াকার কথাটা ইচ্ছ। যুক্তি নহে, তৰ্ক নহে, সুবিধা-অসুবিধার হিসাব নহে, আজ বাঙালীর মনে কোথা হইতে একটা ইচ্ছার বেগ উপস্থিত হইল এবং পরক্ষুণেই সমস্ত বাধাবিপত্তি, সমস্ত দ্বিধাসংশয় বিদীর্ণ করিয়া অখণ্ড পুণ্যফলের দ্যায় আমাদের জাতীয়বিষ্ঠাব্যবস্থা আকারগ্রহণ করিয়া দেখা দিল । বাঙালীর হৃদয়ের মধ্যে ইচ্ছার যজ্ঞহুতাশন জ্বলিয়া উঠিয়াছিল এবং সেই অগ্নিশিখা হইতে চরু হাতে করিয়া আজ দিবাপুরুষ উঠিয়াছেন—আমাদের বহুদিনের শূন্ত আলোচনার বন্ধ্যত্ব এইবার বুঝি ঘুচিবে। যাহা চেষ্টা করিয়া, কষ্ট করিয়া, তর্ক করিয়া দীর্ঘকালেও হইবার নহে—পূৰ্ব্বতন সমস্ত হিসাবের খাতা খতাইয়া দেখিলে বিজ্ঞ ব্যক্তিমাত্রেই যাছালে অসাময়িক, অসম্ভব, অসঙ্গত বলিয়া সবলে পক্কশীর্ষ চালনা করিতেন, তাহ কত সহজে, কত স্বল্পসময়ে আজ সত্যরূপে অবিভূত হইল। অনেকদিন পরে আজ বাঙালী যথার্থভাবে aকটা কিছু পাইল। এই পাওয়ার মধ্যে কেবল যে একটা উপস্থিতলাভ আছে, তাহা नद्रश्, देशं जांमांप्लग्न ५ककेों भक्ति ॥ जांबालब्र क्ञान-नि । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, ভাত্র । যে পাইবার ক্ষমতা আছে—সে ক্ষমতাট cय कि ७द१ ८कांथांब्र, वाभद्र उांशहे বুঝিলাম। এই পাওয়ার আরম্ভ হইতে আমাদের পাইবার পথ প্রশস্ত হইল। আমরা বিদ্যালয়কে পাইলাম যে, তাহা নহে, আমরা নিজের সত্যকে পাইলাম, নিজের শক্তিকে পাইলাম । আমি আপনাদের কাছে আজ সেই আননের জয়ধ্বনি তুলিতে চাই। আজ বাংলাদেশে যাহার আবির্ভাব হইল, তাহাকে কিভাবে গ্রহণ করিতে হইবে, তাহ যেন আমরা না ভুলি। আমরা পাঁচজনে যুক্তি করিয়া কাঠখড় দিয়া কোনোমতে কোনোএকটা সুবিধার খেলনা গড়িয়া তুলি নাই—আমাদের বঙ্গমাতার স্থতিকাগৃহে আজ সজীব মঙ্গলজন্মগ্রহণ করিয়াছে—সমস্ত দেশের প্রাঙ্গণে আজ যেন আনন্দশঙ্খ বাজিয়া উঠে— আজ যেন উপঢৌকন প্রস্তুত থাকে, আজ আমরা যেন কৃপণতা না করি । সুযোগ-সুবিধার কথা কালক্রমে চিন্তা করিবার অবসর আসিবে, আজ আমাদিগকে গৌরব অনুভব করিয়া উৎসব আরম্ভ করিতে হইবে। আমি ছাত্রদিগকে বলিতেছি, আজ তোমরা গৌরবে সমুদয় হৃদয় পরিপূর্ণ করিয়া স্বদেশের বিদ্যামন্দিরে প্রবেশ কর—তোমরা অমৃতব কর, বাঙালীজাতির শক্তির একটি সফলমূৰ্ত্তি র্তাহার সিংহাসনের সম্মুখে তোমাদিগকে আহবান করিয়াছেন–র্তাহাকে যে পরিমাণে যথার্থরূপে তোমরা মানিবে, তিনি সেই পরিমাণে তেজ লাভ করিবেন এবং সেই তেজে আমরা সকলে তেজস্বী হুইক। এই ক্ষে জাতীয়শক্তির তেজ, ইহার কাছে