পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શહક আশ্রয় করিতে হইবে, তাহ ব্ৰতস্বরূপ, ধৰ্ম্মস্বরূপ গ্রহণ করিয়ো । কারণ, এ বিদ্যালয় তোমাদিগকে বাহিরের কোনো শাসনের ~ স্বার, কোনো প্রলোভনের দ্বারা আবদ্ধ করিতে পারিবে না—ইহার বিধানকে অগ্রাহ করিলে তোমরা কোনো পদ বা পদবীর ভরসা হইতে স্ৰষ্ট হইবে না—কেবল তোমাদের স্বদেশকে, তোমাদের ধৰ্ম্মকে শিরোধাৰ্য্য করিয়া,স্বজাতির গৌরব এবং নিজের চরিত্রের সম্মানকে নিয়ত স্মরণে রাখিয়া, তোমাদিগকে এই বিদ্যালয়ের সমস্ত কঠিন ব্যবস্থা স্বেচ্ছাপূর্বক অমৃদ্ধত আত্মোৎসর্গের সহিত নতশিরে বহন করিতে হইবে। আমাদের এই বিদ্যালয়সম্বন্ধে যখন চিন্তা করিবে, তখন এই কথা ভাবিয়া দেখিয়ে যে, ষে দেশে জলাশয় নাই, সে দেশে আকাশের বৃষ্টিপাত ব্যর্থ হইয়া যায়। জল ধরিবার স্থান না থাকিলে বৃষ্টিধারার অধিকাংশ ব্যবহার নষ্ট লুইতে থাকে। আমাদের দেশে যে . জ্ঞানীগুণী,ক্ষমতাসম্পন্ন লোক জন্মগ্রহণ করেন না, তাহা নহে—কিন্তু তাহাদের জ্ঞান, গুণ ও ক্ষমতা ধরিয়া রাখিবার কোনো ব্যবস্থা আমাদের দেশে নাই। র্তাহারা চাকরী করেন, ব্যবসা করেন, রোজগার করেন, পরের হুকুম মানিয়া চলেন, তাহর পরে পেনশন লইয়া ভাবিয়া পান না, কেমন করিয়া দিন কাটিবে। এমন প্রত্যহ কত রাশিরাশি সামর্থ্য দেশের উপর দি গড়াইয়া, বহিয়, উবিয়া চলিয়া rইতেছে । ইহ. মামরা নিশ্চয় জানি, বিধাতার অভিশাপে আমাদের দেশে যে শক্তির চিরন্তন অনাবৃষ্টি ঘটিয়াছে, তাহা নহে, দেশের শক্তিকে দেশের কাজে-ব্যবহারে क्छचुनि । [ ४* २१, छीज । লাগাইবার, তাহাকে কোথাও একত্রে সংগ্ৰহ করিবার কোনো বিধান আমরা করি নাই। এইজন্ত, যে শক্তি আছে, সে শক্তিকে প্রত্যক্ষ করিবার, অনুভব করিবার কোনো উপায় আমাদের হাতে নাই। যদি আমাদের প্রতি কেহ শক্তিহীনতার অপবাদ দেয়, তবে রাজসরকারের চাকরীর ইতিবৃত্ত হইতে রায়বাহাদুরের তালিকা খুজিয়া বেড়াইতে হয়, নিতান্ত তুচ্ছ সাময়িক প্রতিপত্তির উৎ খুটির নিজেদের সামর্থ্য সপ্রমাণ করিবার জন্য চেষ্টা করিতে হয়—কিন্তু তাহাতে আমরা সান্তনা পাই না এবং নিজেদের প্রতি বিশ্বাস আন্তরিক হইয়Lউঠে না । এমন দুর্দশার দিনে এই জাতীয়বিদ্যালয় আমাদের বিধিদত্ত শক্তিসঞ্চয়ের একটি উপায়স্বরূপে আবিভূত হইয়াছে। দেশের মহৰ এইখানে স্বভাবতই আকৃষ্ট হইয়া বাঙালীজাতির চিরদিনের সম্বলের মত এই ভা৩ে, এই ভাণ্ডারে রক্ষিত ও বদ্ধিত হইতে থাকিৰে । অতি অল্পকালের মধ্যেই কি তাহার প্রমাণ আমরা পাই নাই ? এই বিদ্যালয়ে দেখিতে দেখিতে দেশের যে সকল প্রভাবসম্পন্ন পূজ্য ব্যক্তিগণকে আমরা একত্রে লাভ করিয়াছি, র্তাহাদের প্রচুর সামর্থ্য কি কেবলমাত্র আহ্বানেরই অভাবে, কেবলমাত্র যজ্ঞক্ষেত্রেরই অবর্তমানে ক্ষীণভাবে বিক্ষিপ্ত হইয়া যাইত না ? একি আমাদের কম সৌভাগ্য ! দেশের গুরুজনেরা যেখানে স্বেচ্ছাপূর্বক উৎসাহের. সহিত সমবেত হইতেছেন, সেইখানেই দেশের ছাত্ৰগণের শিক্ষালাভের ব্যবস্থা হইয়াছে, একি আমাদের সামান্ড কল্যাণ 1, উপযুক্ত দাতাসকলে শ্রদ্ধার সহিত গান