পঞ্চম সংখ্যা।] छांउँौग्न बिशांजघ्न । 教岛á করিবার জন্ত প্রস্তুত হইয়া আসিতেছেন, উপযুক্ত গ্রহীতারাও শ্রদ্ধার সহিত গ্রহণ করিবার জন্য করজোড়ে দাড়াইয়াছেন, এমন শুভযোগ যেখানে, সেখানে দাতাও ধন্ত, গ্রহীতাও ধন্ত এবং সেই যজ্ঞভূমিও পুণ্যস্থান । আমরা আক্ষেপ করিয়া থাকি যে, আমাদের দেশের লোক দেশহিতকর কাজে ত্যাগস্বীকার করিতে পারে না । কেন পারে না ? তাহার কারণ, হিতকর কার্য্য তাঁহাদের সম্মুখে সত্য হইয়া দেখা দেয় না। কতকগুলি কাজের মত কাজ আমাদের নিকটে বর্তমান থাকে, ইহা আমাদের পক্ষে নিতান্ত প্রয়োজনীয়। না থাকিলে প্রতিদিনের তুচ্ছ স্বার্থ আমাদের কাছে অত্যন্ত বেশি সত্য হইয়া বড় হইয়া উঠে। স্বীকার করি, আমরা এ পর্যন্ত দেশের মঙ্গলের জন্য তেমন করিয়া ত্যাগ করিতে পারি নাই। কিন্তু মঙ্গল যদি মূর্তি ধরিয়া আমাদের প্রাঙ্গণে দাড়াইত, তবে তাহাকে না চিনিয়া এবং না দিয়া কি থাকিতে পারিতাম ? ত্যাগস্বীকার মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক, কিন্তু সেই ত্যাগে প্রবৃত্ত করাইবার উপলক্ষ্য কেবল কথার কথা হইলে চলে না—চাদার খাতা এবং অনুষ্ঠানপত্র আমাদের মন,এবং অর্থে টান দিতে পারে না । _ যে জাতি আপনার ঘরের কাছে সত্যভাৰে, প্রত্যক্ষত্ত্বাবে আত্মত্যাগের উপলক্ষ্য রচনা করিতে পারে নাই, তাহার প্রাণ ক্ষুদ্র, তাহার লাজু সামান্য। সে কোম্পানির কাগজ, . ব্যাঙ্কের ডিপজিট্র ও চাকরীর সুযোগকেই সকলের চেয়ে বড় করিয়া দেখিতে বাধ্য। সে কোনো মহৎভাবকে মনের সহিত বিশ্বাস করে না—কারণ, ভাব মেথানে কেবলই ভাবমাত্র, কৰ্ম্মের মধ্যে যাহার আকার নাই, সে সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য নহে-সম্প্রত্নসত্যের প্রবল দাবী সে করিতে পারে না । সুতরাং তাহার প্রতি আমরা অনুগ্রহের ভাব প্রকাশ করি—তাহাকে ভিক্ষুকের মত দেখি ; কখনো বা কৃপা করিয়া তাহাকে কিঞ্চিৎ দিই, কখনো বা অবজ্ঞা ও অবিশ্বাস করিয়া তাহাকে প্রত্যাখ্যান করি। যে দেশে মহৎভাব ও বৃহৎ কৰ্ত্তব্যগুলি এমন কৃপাপাত্ররূপে দ্বারে দ্বারে হাত পাতিয়া বেড়ায়, সে দেশের কল্যাণ নাই । পরিগ্রহ করিয়া আমাদের কাছে দেখা দিয়াছে। ইহার মধ্যে মন, বাক্য এবং কৰ্ম্মের পূর্ণসম্বন্ধ প্রকাশ পাইয়াছে। ইহাকে আমরা কখনই অস্বীকার করিতে পারিব না। ইহার নিকটে আমাদিগকে পুজা আহরণ করিতেই হইবে। এইরূপ পূজার বিষয় প্রতিষ্ঠার দ্বারাই জাতি বড় হইয়া উঠে। অতএব জাতীয়বিদ্যালয় যে কেবল আমাদের ছাত্রদিগকে শিক্ষা দিয়া কল্যাণসাধন করিবে, তাহা নহে—কিন্তু দেশের মাঝখানে একটি পূজার যোগ্য প্রকৃত মহৎব্যাপারের উপস্থিতিই লক্ষ্যে-অলক্ষ্যে আমাদিগকে মহত্বের দিকে লইয়া যাইবে। এই কথা মনে রাখিয়া আজ আমরা ইহাকে আবাহন ও অতুিবাদন করিব। এই কথা মনে রাখিয়া আমরা ইহাকে রক্ষা করিব ও মান্য করিব। ইহাকে রক্ষা করা আত্মब्रभ, हेशंएक भांना ब्रग्राहे श्रांज्रनषांन ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।