পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** नदषJा ॥ ] জাতীয় কিভলিয় । জামরা স্থির করিয়াছি, স্কুরোপীয় ইতিহাসের মধ্য দিয়া মে পরিণাম প্রকাশ পাইয়াছে জাতিমাজেরই সেই একমাত্র সদগতি । যাহা অল্পদেশের শাস্ত্রসম্মত, তাহাকেই আমরা হিত বলিয়া জানি এবং আগাগোড়া অন্যদেশের প্রণালী অনুসরণ করিয়া আমরা স্বদেশের হিতসাধন করিতে ব্যগ্র । মাকুৰ যদি এমন করিয়া শিক্ষার নীচে চাপ্লা পড়িয়া যায়, সেটাকে কোনোমতেই মঙ্গল বলিতে পারি না! আমাদের যে শক্তি আছে, তাহারই চরম বিকাশ হইবে, আমরা যাহা হইতে পারি, তাহাই সম্পূর্ণভাবে হইব—ইহাই শিক্ষার ফল। আমরা চলন্ত পুখি হইব, অধ্যাপকের সজীব নোটবুক্‌ হইয়া বুক ফুলাইয়া বেড়াইব, ইহা গৰ্ব্বের ৰিষয় নহে। আমরা জগতের ইতিহাসকে নিজের স্বতন্ত্রদৃষ্টিতে দেখিতে সাহস করিলাম কই, আমরা পোলিটিকাল ইকনমিকে নিজের স্বাধীনগবেষণার দ্বারা যাচাই করিলাম কোথায় ? আমরা কি, আমাদের সার্থকতা কিসে, ভারতবর্ষকে বিধাতা যে ক্ষেত্রে দাড় করাইয়া, ছেন, সে ক্ষেত্র হইত্বে মহাসত্যের কোন মূৰ্ত্তি কিভাবে দেখা যায়, শিক্ষার দ্বারা বলপ্রাপ্ত হইয় তাহা আমরা আবিষ্কার করিলাম কই ? আমরা কেবল— wog etъ बाई, ভয়ে ভয়ে চাই, ভয়ে ভয়ে শুধু পুথি আওড়াই। : হায়, শিক্ষা আমাদিগকে পরাভূত করিয়া ফেলিয়ছে। আজ আমি আশা করিতেছি, এবারে আমরা শিক্ষার নাগপাশ কাটাফেলিয়া विकोप्न बूङ अक्राङ्ग डेो4 श्हेब ! अभन्त्र সেখানে সমস্ত জগং আসিয়া দাড়াইছে, নানা জাতির ইতিহাস তাঁহার বিচিত্র অধ্যায় উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছে,দেশদেশান্তর হইতে *ン যুগান্তরের আলোকতরঙ্গ আমাদের চিন্তাকে নানাদিকে আঘাত করিতেছে--জ্ঞানসামগ্রীর সীমা নাই, ভাবের পণ্য বোঝাই হইয়া উঠিল —এখন সময় আসিয়াছে, আমাদের দ্বারের সম্মুখবত্তী এই মেলায় আমরা বালকের মত হতবুদ্ধি হইয়া কেবল পথ হারাইয়া ঘুরিয়া বেড়াইব না ;–সময় আসিয়ছে, যখন ভারতবর্ষের মন লইয়া এই সকল নানা স্থানের বিক্ষিপ্ত বিচিত্র উপকরণের উপর সাহসের সহিত গিয়া পড়িব, তাহাদিগকে সম্পূর্ণ আপনার করিয়া লইব, আমাদের চিত্ত তাহাদিগকে একটি অপূৰ্ব্ব ঐক্যদান করিবে, আমাদের চিন্তাক্ষেত্রে তাহার যথাযথস্থানে বিভক্ত হইয়া একটি অপরূপ ব্যবস্থায় পরিণত হইবে ; সেই ব্যবস্থার মধ্যে সত্য নুতন দীপ্তি, নুতন ব্যাপ্তি লাভ করিবে এবং মানবের জ্ঞানভাণ্ডারে তাহ নুতন সম্পত্তির মধ্যে গণ্য' হইয়া উঠিবে। ব্ৰহ্মবাদিনী মৈত্রেয়ী জানিয়ছিলেন, উপকরণের মধ্যে অমৃত নাই ; বিদ্যারই কি, আর বিষয়েরই কি, উপকরণ আমাদিগকে আবদ্ধ করে-আচ্ছন্ন করে ; চিত্ত যখন সমস্ত উপকরণকে জয় করিয়া অবশেষে আপনাকেই লাভ করে, তখনি সে অমৃতলাভ করে। ভাৱতবৰ্ষকেও আজ সেই সাধনা করিতে হইবে— নানা তথ্য, নানা বিদ্যার ভিতর দিয়া পূর্ণতররূপে নিজেকে উপলব্ধি করিতে হইবে ; পাণ্ডিত্যের বিদেশী বেড়ি ভাঙিয়া-কেলি পরিণতজ্ঞানে জ্ঞানী