बछे ज९थn । ] দুর্ভিক্ষপীড়িত ভারতে। Հwծ ভৃত্যগণ একটা বৃহৎ ছত্র তাহার মাথার উপর ধরিয়া আছে। আবার কখন-কখন দেখা যায়, শবযাত্রীর দল চুটিয়া চলিয়াছে: শবশরীর দৃঢ়বন্ধনে বদ্ধ —কাপড় দিয়া জড়ানো ; শববাহকের দ্রুতপদে চলায়, শবশরীর বাকাইতেছে ; সহাযত্রীরা ছাপাইতে হাপাইতে পিছনে চলিয়াছে এবং কুকুরের আকাশের দিকে মুখ তুলিয়া যেরূপ চীৎকার করে, সেইরূপ একএকবার "চীৎকার করিয়া উঠিতেছে। রাস্তার কোণে-কোণে ফকীর-সন্ন্যাসীরা গায়ে ভষ্ম মাথিয়া অপস্মাররোগাক্রাঙ্ক ব্যক্তির স্থায় ধূলায় পড়িয়া নানাপ্রকার অঙ্গবিক্ষেপ করিতেছে, এবং যেন মরণযন্ত্রণা উপস্থিত, এইভাবে কাতরস্বরে ভিক্ষা চাহিতেছে । বাজার-চত্বত্ত্বের চারিধারে স্বন্ধ খোদাই কাজে বিভূষিত কত দেবমন্দির ও চতুষ্কমণ্ডপ । যাহাদের ওড়না ইন্দ্রধমুর সমস্ত বর্ণে রঞ্জিত—সেই সব রমণী গালিচার দোকানে, রেশমি-বস্ত্রের দোকানে, ফলের দোকানে, মেঠায়ের দোকানে, শস্তের দোকানে প্রবেশ করিতেছে। আমাদের দেশে বিক্রয়ের জন্ত যাহা দোকানে সাজাইয়া স্বাখা হয়—সেই সব শবদেহের বীভৎস দৃশু,— পচা মাছ, অন্ত্র ও টুক্রা-টুক্রা মাংস, এখানে কুত্ৰাপি দৃষ্ট হয় না। তাহার কারণ, হিন্দুর আহারের জন্ত কখনই জীবছিংসা করে না। এখানে বেশীর ভাগ ৰিক্ৰী হয়—নিবৃন্ত গোলাপফুল। আতর প্রস্তুত করিবার জন্ত, কিংবা শুধু ফুলের মালী বানাইবার জন্ত রাশিরাশি গোলাপ বাজারে আনীত হয়। চুড়াসমন্বিত অতি গুঞ্জ সিংহদ্বারসমূহের মধ্য দিয়া জুবিশাল রাজপ্রাসাদাঞ্চলে প্রবেশ করিতে হয়। এই সব প্রাসাদ একেবারে তুষারগুত্র ; প্রাসাদের চারিধারে গোলাপের · কেয়ারী ; তাহার চতুর্দিকে অবসাদম্রিয়মাণ বৃহৎ তরুরাজি,—যাহার এই এপ্রিলমালেও ' শারদীয় বর্ণ ধারণ করিয়া আছে। এই সকল বিজন উপবন দিন-দিন শুকাইয়া যাইতেছে ; রাজা তাহার কোন প্রতিৰিধান করিতে পারিতেছেন না। এই সব ক্ষুদ্র হ্রদ—এখন শুষ্ক উহাদের তটদেশে চমৎকার খোদাই-কাজ-করা চতুষ্কমণ্ডপসমূহ ; যে সময়ে একটু বৃষ্টি হইয়াছিল, তাহারই একটু জল চতুষ্কপ্রাঙ্গণে এখনে জমিয়া আছে ; এবং তাহারই প্রভাবে অনভূমি এখনে নিবিড় শাখাপল্লবে বিভূষিত। গোলাপের কেয়ারীতে শরতের ভাব থাকিলেও, যত্নপ্রভাবে গাছগুলা এখনো সতেজ রহিয়াছে ; ময়ূর ও বানরেরা ৰিচরণ করিতেছে ; ভূমির এই গুফতার,—এই ছুর্তিক্ষের স্বচনায়, বানরগুলা যেন “ বিমর্ষ হইয়া পড়িয়াছে। • . . রাজ এখন জরে ভুগিতেছেন ঃ তাই আরোগ্যলাভের জন্ত তিনি এখন পার্শ্ববৰ্ত্তী কোন শৈলচুড়ায় বিশ্রাম করিতেছেন। তথাপি আমি তুহার প্রাসাদে প্রবেশ করিবার অনুমতি পাইয়াছি। অামার জন্য প্রাসাদদ্বার উদঘাটিত হইল। ঘরদালানগুলা যুরোপীয়ু ধরণে সজ্জিত ; সৰ্ব্বত্রই সোনালি-গিণ্টির কাজ, জরির কাজ ও ঝাড়-লণ্ঠন। মনে হয়, যেন• Palais. Bourbon-«itwitw fysai Elysee. প্রাসাদে আসিয়া পড়িয়াছি। কিন্তু এই সব দপ্তরমত-সাজানো ৰিলাসন্ত্রব্যের মধ্যে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।