ষষ্ঠ সংখ্যা | ] ইদানীন্তন কালে পৌত্তলিক বলিয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছেন। জ্ঞানমার্গে ও কৰ্ম্মমার্গে পার্থক্য ও প্রভেদ চিরদিনই ছিল, কিন্তু তীব্র বৈরিতা কখনো ছিল বলিয়া বোধ হয় না। জ্ঞানপন্থিগণ যুগে যুগে কৰ্ম্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করিয়াছেন ; কিন্তু প্রত্যেক যুগেই আবার এই প্রতিবাদের ফলে কৰ্ম্মকাণ্ড বিশোধিত হইয়া, একটা উন্নততর ভূমিতে জ্ঞানকৰ্ম্মের কোনে-নাকোনো প্রকারে একটা যথাযথ সামঞ্জস্ত ও মীমাংসাও হইয়াছে। যুগে যুগে . এইরূপ সমন্বয় সাধিত হইয়াই “হিন্দুধৰ্ম্ম আপনার উদারতারক্ষা ও অপূৰ্ব্ব গভীরতা ও বিশালতা লাভ করিতে পারিয়াছে। বারংবার এইরূপ বিরোধ ও এইরূপ উন্নততর মীমাংসহেতু জ্ঞানে ও কৰ্ম্মে হিন্দুদিগের মুখ্য কদাপি ঐকান্তিক বিরোধ ও বৈরিত প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। অধিকারিভেদের দ্বারা একই বিশাল ও উদার ধৰ্ম্মতন্ত্রে উচ্চ-নিম্ন সকল শ্রেণীর সাধকেরই যথাযোগ্য স্থান নির্দিষ্ট হইয়াছে। মুসলমান বুঝিয়াই হউক, আর না বুঝিয়াই হউক, হিন্দুর পৌত্তলিকতাকে পাপ বালুয়া পরিহার করিতে পারে। খৃষ্টীয়ানও আপনার সঙ্কীর্ণ আদর্শদ্বারা হিন্দুর ধৰ্ম্মকৰ্ম্মকে পরিমাপ করিয়া তাহার জন্ত নরকের ব্যবস্থা করিতে পারে। কিন্তু হিন্দু স্বয়ং প্রতিমাপূজা বর্জন করিলেও কদাপি তাহার স্বজাতির পূজোপাসনাদিকে পাপকৰ্ম্ম বলিয়া ঘৃণা করিতে
- ोंcन्न न is .
হিন্দু যখন নিরাকারবাদী হয়, তখনই সাকারোপাসনাকে বর্জন করে। বর্জন করিলেও প্রকৃত নিরাকারবাদীর কখনো সাকারোপাসকের সঙ্গে কোনো বৈরিত শিবাজী-উৎসব ও ভবানীমূৰ্ত্তি। ২৯৭ উপস্থিত হইতে পারে না। ফলত নিরাকারু বাদের ভাণ করিয়া যাহার সাকারোপাসনাকে পাপকাৰ্য্য বলিয়া গণনা করে, তাহারা মূলত নিরাকারবাদীই নহে, প্রচ্ছন্নসাকারব্লাদ । মাত্র । প্রতিমাপূজার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলিবার আছে ; আমার বিশ্বাস, সঙ্গতভাবে শাস্ত্রযুক্তিপ্রমাণে অনেক আপত্তি ইহার বিরুদ্ধে করা যাইতে পারে। প্রবন্ধান্তরে সময়মত এ সকল আপত্তির উল্লেখ করিতেও চেষ্টা করিব। কিন্তু প্রতিমাপুজায় ভগবৎস্বরূপে অসত্য আরোপিত হয়, এ আপত্তির সারবত্ত বুরিয়া উঠিতে পারি না । 酸 শাস্ত্রে ত্ৰিবিধ প্রণালীর উপাসনার কথা দেখিতে পাওয়া যায়। প্রথম স্বরূপোপাসনা, দ্বিতীয় সম্পদুপাসনা, তৃতীয় প্রতীকোপাষনা। এই ত্ৰিবিধ উপাসনার কোনো উপাসনাতেই ব্ৰহ্মস্বরূপের অবমাননা করা হয় না । আত্মরূপে,—সমাধির অবস্থায়, ব্ৰহ্মলক্ষাৎ কারে যে উপাসনা হয়, তাহারই নাম স্বরূপউপাসনা । ইন্দ্ৰিয়বৃত্তির নিরোধ ও স্বরূপ্তে অবস্থিতি ব্যতীত এ উপাসনা সন্তবে না। ব্ৰহ্মবস্তুর সঙ্গে কোনো স্বল্পবস্তুর সামান্তধৰ্ম্মদর্শনে, সেই বস্তুর সাহায্যে, সুেই-বস্তু-অবলম্বনে ব্রহ্মের যে ধ্যান বা উপাসন, তাঁহারই নাম সম্পদুপাসনা । ব্ৰহ্ম স্বপ্রকাশ ও জগৎ প্রকাশক স্বপ্রকাশত্ব ও, জগৎপ্রকাশকত্ব চৈতন্তের ধৰ্ম্ম। বহিবিষয়সম্বন্ধে স্বৰ্য্যও স্বপ্রকাশ ও জগৎপ্রকাশক। এই বিষয়ে ব্ৰহ্মের সঙ্গে স্বৰ্য্যের সামান্তধৰ্ম্ম পরিলক্ষিত্ব হয়। এই সামুন্ত্রিধর্মকে ধ্যানের বিষয় কবির স্বৰ্য্যবিগ্রন্থসাহায়ে জ্বন্ধের. উপায়ন