পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్చిపెly করা—সম্পদুপাসনা । এখানে স্বরূপের ব্যাঘাত করিয়া নহে, কিন্তু বহিরালম্বনসাহায্যে স্বরূপজ্ঞান জাগ্রত করিয়াই ব্রহ্মোপাসনা হইয়৷ থাকে । এইরূপ স্বর্ষ্যোপাসনায় নিরাকার চিন্ময় ব্ৰহ্মতত্ত্বের কোনোই ব্যাঘাত উৎপন্ন হইতে পারে না। প্রতীকোপাসনা সকলের নিকৃষ্ট উপাসনা । শাস্ত্রে ইহাকে অধ্যাসজনিত উপাসনা বলা হইয়াছে। অধ্যাসের অর্থ—পরত্র দৃষ্টেহিষ্ঠত্রাবভাস । একস্থানে কোনো-এক বস্তু দৃষ্ট হইয়াছে, অন্তস্থানে, যেখানে সত্যত তাহা নাই, সেখানে তাহাকে আরোপ করার নাম অধ্যাস । বনে সর্প দৃষ্ট হইয়াছে, গৃহপ্রাঙ্গণে পতিত রজুতে সেই সৰ্পগুণ আরোপ করাকেই অধ্যাস বলা যায়। এই অধ্যাসকার্য্যটা মিথ্যা হইলেও, ইহার মূলে সত্যবোধ বিদ্যমান আছে। যে কখনো সৰ্প দেখে নাই, রজ্জ্বতে সপাধ্যাস তাহার পক্ষে কদাপি সম্ভব হইবে না । প্রতীকোপাসনা অধ্যাসজনিত উপাসন, অতএব ইহা মিথ্যা উপাসনা, সত্য ; কিন্তু অন্যত্র দৃষ্ট ব্রহ্মস্বরূপই প্রতীকে আরোপিত হইয়া প্রতীকোপাসনা সম্ভব করে । সে স্বরূপ দৃষ্টওহয়ত হয় নাই—কেবল শ্রতমাত্র হইয়াছে। কিন্তু কোনো-নানকোনো প্রকারে, কোনো-নাকোনো আকারে ইষ্টদেবতার কিছু-না-কিছু স্বরূপজ্ঞান না হইলে, প্রতীকোপাসনাও সম্ভব হয় না"। অতএব নিকৃষ্টতম যে প্রতীকোপাসনা, তাহীতেও স্বরূপসম্পর্ক একটু না একটু থাকিবেই; এই স্বরূপ সম্পর্ক থাকে বলিয়া প্রতীকোপাসনাও কদাপি ভগবৎস্বরূপের ব্যাঘাত উৎপন্ন করিতে পারে না। আমাদের দেশপ্রচলিত মুক্তিপূজা बछलब्जैन । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, আশ্বিন। সম্পদ ও প্রতীকের সম্মিশ্রণে উৎপন্ন হইয়াছে। এই মূৰ্ত্তিপূজার প্রকৃতি ও তত্ত্ব অমুসন্ধিৎসার বিষয় হইলেও, ৰক্তমান প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় নহে। এস্থলে এইমাত্র বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, এই সকল মূৰ্ত্তিপুজায় ঈশ্বরস্বরূপের কদাপি অবমাননা হয় না । মুসলমান ও ইহুদী তন্ত্রে যে প্রতিমাপুজার বা দেবোপাসনার বিরুদ্ধে এমন তীব্র প্রতিবাদ দেখিতে পাওয়া যায়, ইহার প্রকৃত অর্থ এই যে, প্রাচীন ইহুদী কখনো নিরাকারবাদী ছিল না ; ইসলাম ইহুদীধৰ্ম্ম হইতেই একরূপ উৎপন্ন হইয়াছে। ইহুদীধৰ্ম্মের প্রভাব ইসলামে প্রভূত। ইসলামেও এইজন্ত আদিতে প্রকৃত নিরাকারতত্ত্ব প্রকাশিত হয় নাই। ইহুদী ও ইসলামু উভয়ই নিরাকারবাদী নহে, কিন্তু প্রচ্ছন্নসাকারবাদী ; এইজন্যই ইহুদী ও ইসলাম 'তন্ত্রে প্রতিমাপুজায় ঈশ্বরের অবমাননা হয় বলিয়া তাহ পাপকাৰ্য্যমধ্যে পরিগণিত হইয়াছে । যাহার নিজস্ব একটা আকার আছে, তাছাতেই অন্য আকার আরোপিত হইলে, মিথ্যা ও অসৎ কার্য্য হয়। যাহার নিজস্ব কোনো আকার নাই—তাহার কোনো আকারেরই সঙ্গে বিরোধও ঘটতে পারে না। ফলত নিরাকার ও সৰ্ব্বাকার একই কথা। উপনিষদে এইজন্য ব্রহ্মস্বরূপ বর্ণনা করিতে যাইয়া বলিতেছেন— জুগ্নিৰ্যথৈকে ভুবন প্রৰিষ্টে রূপং রূপং প্রতিরূপো বভূব। একগুধ সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মা ৰূপং রূপং প্রতিরূপে বহিস্ট । বায়ুদ্ধধৈকে ভুবনং প্রবিষ্ট