৩e e शंघ्रुतःि। [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, আঁখিন। মিশিয়া-গিয়া আপনাদের জাতীয় স্বাতন্ত্র্য ও স্বপ্রতিষ্ঠা একেবারে হারাইয়া ফেলিত। প্রতিমাপূজা অর্থেইহুদীতন্ত্রে অন্তদেবোপাসনা— strapge godfrota oigil বুঝাইত ; এবং এইজন্তই ইহুদীনীতিতে প্রতিমাপূজা ব্যভিচার বা harlotry বলিয়া বর্ণিত ও নিন্দিত হইয়াছে। ইহুদীরা ঠিক একেশ্বরবাদীও ছিল না। ইহুদীতন্ত্রকে পণ্ডিতেরা এখন প্রায় exat;** &* mofiothcistic xi একেশ্বরবাদী না বলিয়, monolatrous বা একদেবোপাসক বলিয়া থাকেন। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতিসকলের দেবগণ যাহাতে ইহুদীর উপাসনালয়ে প্রবেশাধিকার না পান, ইহুদীরা সৰ্ব্বদা প্রাণপণে তাহার চেষ্টা করিয়াছিল। এইজন্তই তাহারা একদেবোপাসক হয়। যে তত্ত্বজ্ঞানে একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়, ইহদীর প্রাচীনকালে সে তত্ত্বজ্ঞান প্রকাশিত হয় নাই। ইহদীর পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া আমাদিগের জাতীয়জীবনের স্বাতন্ত্র্য ও স্বপ্রতিষ্ঠা রক্ষা করিবার জন্য ধৰ্ম্মের বন্ধনকে দৃঢ় করিতে হইলে, প্রতিমাপূজাকে নহে, কিন্তু ইংরেজের বা যুরোপীয়ের উপাস্তদেবতার ভজনাকে পাপকাৰ্য্য বলিয়া বর্জন করা আবশুক কুইবে । আমরা মানবেতিহাসের যে যুগে জন্মিয়াছি এবং মানবীয় সাধনার যে সোপানে অবস্থিতি করিতেছি, তাহাতে জাতীয়জীবনের ঘননিবিষ্টতাসম্পাদন, র্য এরূপ বিষম পরজাতিবিদ্বেয জাওত করার কোনো প্রয়োজন উপস্থিত হয় নাই । সেরূপ প্রয়োজন থাকিলে যুরোপীয় ধৰ্ম্ম বা যুরোপীয় রীতিনীতির, সম্পর্ককে ব্যভিচার « harlotty বলিয়া প্রচার করিতে হইত। দেশপ্রচলিত প্রতিমাপূজাকে পাপাচার বলিয়া তাহার সঙ্গে সৰ্ব্বপ্রকার বাহসম্পর্ক পরিত্যাগ করা স্বধৰ্ম্ম, স্বমত, স্বজাতি বা স্বদেশ, কিছুরই রক্ষার জন্ত আবশুক নহে । সকলে ভবানীমূৰ্ত্তিকে পছন্দ না করিতে পারেন। আমরা যে ব্রহ্মোপাসনা প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, তাহাই কি সকলে পছন্দ করেন ? সকলে এই প্রতিমাপূজায় যোগদান করিতে পারেন না, -আর্মাদের উপাসনাদিতেই কি সকলে যোগ দিয়া থাকেন ? কিন্তু অধিকাংশ হিন্দু যখন ইহা পছন্দ করেন ও এরূপ পূজায় যোগ দিয়া থাকেন, তখন একটা হিন্দুজাতীয় উৎসবে এরূপ মূৰ্ত্তিপ্রতিষ্ঠা বা এরূপ মূৰ্ত্তি, পূজায় কেন এমন গুরুতর আপত্তি উঠিবে, বুঝিয় উঠত্বে পারি না। আর একটি কথা। শিবাজীমহারাজ স্বয়ং ভবানীর উপাসক ছিলেন । র্তাহীকে বুঝিতে হইলে ভবানীকে ছাড়িলে চলিবে না । শিবাজীর বীরচরিত্র ও স্বদেশপীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জনমণ্ডলীর মধ্যে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা এবং শিক্ষিতসাধারণকে যথাসম্ভব শিবাজীচরিত্রলাভে সাহায্য করা, ইহাই শিবাজী-উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশুসাধনের জন্তই এবারে উৎসবক্ষেত্রে শিবাজী, রামদাস ও সিংহবাহিনী ভবানীমূৰ্ত্তির প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। জনসাধারণে কথকতা প্রভৃতি দ্বারা শিবাজীচরিত্রসম্বন্ধে যে জ্ঞানলাভ করিবে, এই মূৰ্ত্তিত্রয়দর্শনে সেই জ্ঞান তাহাদিগের চিত্তে বদ্ধমূল হইয়া যাইবে,এই উদেশুেই মূৰ্ত্তির ব্যবস্থা করা হয়। প্রাকৃতজনের শিক্ষার জন্য ' এই বাহ আলম্বন ও অবলম্বনাদির সৰ্ব্বথাই
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।