পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

oà» বজদলি । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, অশ্বির। রূপগুণাদি ও অনেক বাঙালীর বংশে হিন্দু স্থানীর রূপগুণাদি আবির্ভূত হইয়াছে, ইহ বোধ হয় অনেকেই প্রত্যক্ষ করিয়াছেন। আমরা যদি এই সকল প্রাচীন কথার উপর নির্ভর করি, আস্থা বা বিশ্বাস স্থাপন করি, তাহা হইলে বোধ হয় যে, আমাদের “কর্ণচ্ছেদচিত্তার প্রভাবেই গর্ভিণী ছিন্নকর্ণ পুত্র প্রসব করে” এ কথা বলায় বাধা হয় না। অতঃপর একটি দৃষ্টঘটনার উল্লেখ করিতেছি । হাওড়ার সন্নিহিত কোন এক গ্রামের একটি ভদ্রলোক প্রথমাবস্থায় অনপত্য ছিলেন। শান্তিস্বস্ত্যয়ন প্রভৃতি হিন্দুশাস্ত্রোক্ত বহুবিধ ক্রিয়াঙ্গুষ্ঠানের পর তাহার একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করিল। ইনি এই পুত্ৰজন্মদিবসেই আনন্দিত হইয়া প্রতিবাসীদিগকে মিষ্টান্নপ্রদানঙ্গার প্রায় শত টাকা ব্যয় করিলেন। পরে একমাল পূর্ণ না হইতেই সস্তানাট মরিয়া গেল। সন্তানের পীড়া উপলক্ষ্যেও তাহার অর্থ কিছু ব্যয়িত হইল। বৎসরাস্তে পুনৰ্ব্বার একটি পুত্ৰ হইল। এবার তিনি আনন্দিত श्रेष्णन न। भूखsि ७वांब इब्रभान निब्राभब्र রছিল, অন্নপ্রাশন উপলক্ষ্যে কিছু ব্যয় করাইয়া সপ্তমমাসে মৃত হইল। কিছুকাল পরে পুনৰ্ব্বার পুত্র হইল। এবার সেটি ৬বৎসর জীবিত রছিল, তৎপর মরিয়া গেল। দুইবৎসর পরে আবার একটি পুত্র জন্মিল, এবার সেটি অষ্টাদশবর্ষ জীবিত রহিল। ভদ্রলোক এই অষ্টাদশবৰ্ম পুত্রের বিবাহ দিলেন, বিৰাহের পরেই পূত্রের সাংঘাতিক বাতশ্লেষ্মাবিকার উপস্থিত হইল। চিকিৎসায় কোন ফল দর্শিল ল, অবশেৰে মৃত্যুর্ঘটনা হইল। মৃত্যুর পূের্ব এই সূত্রটি নানাপ্রকার এলাপবাক্য বলিয়াছিল, তন্মধ্যে দুইটি প্রলাপ এতৎপ্রসঙ্গে বলিবার যোগ্য। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে রোগী উন্মত্তের দ্যায় হইয়া বলিতে লাগিল, “আর একটি টাকা দাও—শীঘ্র আর একটি টাকা দাও । ডাক্তারবাবুকে দাও।” পুত্রের পিতা কি করেন, ডাক্তারবাবুকে আর একটি টাকা দিলেন। এই টাকা দেওয়ার পর রোগী পিতার মুখপানে চাহিয়া খিলখিল করিয়া হাসিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে বলিল, “হইয়াছে— আমি আর আসিব না।” এই কথা বলিয়াই রোগী চক্ষু মুদ্রিত করল, ক্রমে শৰীভূত হইল। পরে দেখা গেল, রোগীর প্রাণত্যাগ হইয়াছে। অতঃপর এই ভদ্রলোকের আর কি পুত্র, কি কন্যা কিছুই হয় নাই! মনুষ্যজীবের মধ্যে সৰ্ব্বদাই এইরূপ ও অন্তরূপ ঘটনাসকল উপস্থিত হইতে দেখা যায়। সে সকলের মূল কি ? কারণ কি ? রহস্ত কি ? কেন হয় ?—ভাবিতে গেলে কেবল আকাশ বৈ আর কিছু দেখা যায় না। অবশেষে ঋষিদিগের নিম্নলিখিত বচনাবলী মনে পড়ে— গুণসম্বদ্ধিনঃ কেচিৎ কেচিন্ন্যাসাপহারকাঃ । রিপবশ প্রিয়াশেচতি স্বকৰ্ম্মৰশবৰ্ত্তিনঃ ॥ ভেদৈশ্চতুৰ্ভিঙ্গায়ন্তে পুত্রামিত্ৰাঃ স্ক্রিয়স্তথা। ভাৰ্য্যা পিতlচ মাতা চ ভূত্যt:স্বজনবান্ধবাঃ ॥ cवन cचन हि छांधtछ नवाकन मशैठtण । ভূত্যাশ্চান্যে সমাখ্যাতাঃ পশবন্তরগাস্তথা । भजां भश्प्षिा घांना=5 १भंमश्वकिनखशी ॥” তাই আমুর বক্তব্য—মৃতপুত্রক ও বিনীতপুত্রক ব্যক্তির সেই সেই অন্ত্রতাপে যেন বৃথা দণ্ড না হন । ৰল বাহুল্য যে, কেবল পুত্রেরাই ষে পৌৰ্ব্বকালিক ঋণ, ভাগ ও শক্রতার সম্পর্কে