প্রথম সংখ্যা । ] অচল, তাহা হইলে নিতান্ত অত্যুক্তি হইবে না। ইংরেজি গতিবিঠিানে একটা শব্দ আছে, মোমেণ্টম্ ; বাঙলায় উহাকে ঝোকশব্দে অনুবাদ করিতে পারি। বঙ্কিমচন্দ্র * যে কয়টা জিনিষকে ঝোক দিয়া ষ্ট্রেলিয়া দিয়া গিয়াছেৰ, সেই কয়টা জিনিষ বাঙলাদেশে চলিতেছে। সেই জিনিষগুলা গতি-উপার্জনের জন্ত যেন লঙ্কিমচন্দ্রের হস্তের প্রেরণার অপেক্ষায় ছিল ; বঙ্কিমচুন্দ্ৰ হাত দিয়া ঠেলিয়া দিলেন, আর উহা চলিতে লাগিল, তাহার পর আর উহ থামে নাই। . দৃষ্টান্তস্বরূপ প্রথমে নবেলের কথাটাই ধরা বাক্। বঙ্কিমবাবুর পূৰ্ব্বেও অনেকে বাঙলা নবেল লিখিয়াছিলেন ; তাহাতে কিসের যেন অভাব ছিল। ইংরেজিনবিশ অনেক লেখক ইংরেজি নবেলের অনুকরণে বাঙলা নবেল লিখিয়াছিলেন ; কিন্তু কিএকটা অভাবের জন্ত উহা বাঙলাসাহিত্যে লাগে নাই। বঙ্কিমচন্দ্র নবেল লিখিলেন, আর একদিনেই বাঙলার সাহিত্যের একটা নূতন.শাখার স্বষ্টি হইল। স্রোতস্বতীর যে ক্ষীণধার প্রবাহিত হইতেছিল, এখন উহ নূতন পথ পাইয়া বিপুল কায় গ্রহণ করিয়া শত উপশাখার স্বষ্টি করিয়া দেশ ভাসাইয়া জলপ্লাবন উপস্থিত করিল। সকলেই জানেন যে, এই জলপ্লাবনে সাহিত্যক্ষেত্ৰ ভাসিয়া যাইবার উপক্রম হইয়াছে। বলা বাহুল্য, বাঙলার অধিকানবেলই অপেয়, অদেয় ও অগ্রাহ; কিন্তু हेशईबछ बशिष्ठ ब्राङ्गो नरश्न । हेशप्ङ দেশের দারিদ্র্যের ও ঘরবস্থারই পরিচয় দেয় ] .बभिध्ञ्जब्र इङिरङ्ग हेशप्ङ जत्रईनि श्ब्र না।" এখুন্ন হয় ত বাধ বাধিয়া দেশকে এই বঙ্কিমচন্দ্র। $4. প্লাবন হইতে রক্ষা করিবার সময় উপস্থিত হইয়াছে, কিন্তু এই মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতার দিনে সেইরূপ বাধ বাধিবার কোন উপায় দেখি না। বঙ্কিমচন্দ্রের পর যাহারা নবেল লিথিয়াছেন, র্তাহারা যদি প্রকৃতপক্ষে বঙ্কিমচন্দ্রের অনুবৰ্ত্তী হইয়া সৌন্দৰ্য্যস্থষ্টিকেই কাব্যরচনার মুখ্য উদেহু করিতেন, তাহ হইলে আমাদের এতটা আতঙ্কিত হইবার সম্ভাবনা থাকিত না । বঙ্কিমচন্দ্রকেই আমরা এদেশে মাসিকপত্রের প্রবর্তক বলিয়া নির্দেশ করিতে পারি। বঙ্গদর্শনের পূৰ্ব্বেও অনেক মাসিকপত্রিকা বাহির হইয়াছিল, কিন্তু তাহীতেও কি-যেনকি-একটার অভাবছিল, তাই তাহারা সাহিত্যসমাজে প্রভুত্ববিস্তার করিতে পারে নাই। বঙ্গদর্শনই প্রথমে ভবিষ্যতের মাসিকপত্রের রচনাকুতি ও সঙ্কলনরীতি নির্দিষ্ট করুি দিল ; তদবধি সেই রীতি মাসিকপত্রের সম্পাদকগণকর্তৃক অনুস্থত হইয়াছে। ইহার পুৰ্ব্বে মাসিকপত্র দাড়াইয়া ছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের . হস্তের"প্রেরণা পাইয়াই মালিকপত্র বঙ্গসাহিত্যে চলিতে লাগিল । • নবেলের মত এই মাসিকসাহিত্যও বিদেশ হইতে এদেশে আমদানি। এক দেশের গাছের বীজ আনিয়া অন্ত দেশে উহার চাষের চেষ্টা বহুদিন হইতে প্রচলিত আছে। আজ ক্ষুব্ধ ভারতবর্ষ বিদেশের দ্রব্য গ্রহণ করিঞ্জনা বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিতেছে, কিন্তু বিদেশী জিনিষকে স্বদেশে স্থান দিতে ভারতবর্ষের কোনৰূলে আপত্তি ছিল না। আলুর বীজ ও পেপের বীজ বিদেশ হইতেই এদেশে আসিয়ালি ; এবং আফিমের জন্য ও তামাকের मछ ভারতবাসী বিদেশের নিকট চিরখণেমাবদ্ধ আছেন।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।