পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যা । می تکیهگحکته جاجrحجاد বিগত ১৮২৪ শকাব্দের ২রা কাৰ্ত্তিক রবিবার প্রত্যুষে বারাণসীধাম হইতে যাত্রা করিয়া সিকরোল-ষ্টেশনে গিয়া গাড়িতে উঠিলাম। মোগলসরাই হইতে লক্ষেীর দিকে যে রেলপথ গিয়াছে, উহাকে “আউড়-রোহিলখণ্ড রেলওয়ে” বলে। এই রেলপথ অনতিপ্রশস্ত ও গাড়িগুলি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র । কিদদদুর গেলেই দক্ষিণভাগে অতিদূরে মৃগদাবপত্তনের । সারনাথের) অরণ্যানীসমাকীর্ণ বৌদ্ধস্তুপের ভগ্নাবশেষগুলি নয়নপথে পতিত হইল। সময়াভাবে ঐ স্থান দেখিতে যাওয়া হয় নাই বলিয়া মনে একটা ক্ষোভ রহিয়া গেল । দেখিতে দেখিতে বাম্পশকট ভাগীরথীসঙ্গিনী বরণার তটদেশে গিয়া উপনীত হইল। বরণার বিমল প্রবাহ দ্রুতবেগে বারাণসী-অভিমুখে প্রধাবিত হইতেছে। প্রায় ১০ঘটিকার সময় বীপশকট পুণ্যসলিল গোমতীর প্রসিদ্ধ সেতু অতিক্রম করিয়া জৌনপুরে পৌছিল। জেনপুর সহরটি প্রাচীন। এখনও ইহার সমৃদ্ধি নিতান্ত অল্প নহে . চতুর্দিকে লোকের কলরব, ষ্টেশনে অত্যস্ত জনতা । কেহ নামিতেছে, কেহ উঠিতেছে। কতকগুলি লোক জিনিষপত্র লইয়া ছুটাছুটি করিতেছে। সহরটি মুসলমানপ্রধান বলিয়া বোধ হইল। অধিকাংশ আরোহীহ দীর্ঘশ্মশ্র । এ দেশের মুসলমানমহিলারাও অনেকটা স্বাধীনপ্রকৃতি,—রঙিল পরিচ্ছদে শোভিত হইয়া অনাবৃত বদনে গাড়িতে উঠিতে লাগিলেন। জৌনপুরে অনেকক্ষণ গাড়ি থামে। ষ্টেশনের কলরব কতকটা নিবৃত্ত হইলে বাশী বাজিয়া উঠিল। পুনরায় হুসহস্ শব্দ করিয়া বাস্পশকট দ্রুতবেগে দৌড়াইতে আরম্ভ করিল। যখন ভারতের আদিকবি, মহর্ষি বাল্মীকির কবিত্বশক্তিবিকাশিনী পুণ্যতেীয়া তমসার সন্নিহিত হইলাম, তখন অনেক বেলা হইয়াছে। উত্তর পশ্চিমপ্রদেশবাসী ব্রাহ্মণের গাড়িতে বসিয়া আহার করিতে কুষ্ঠিত নয়। অনেকে পুরীমিঠাই কিনিয়া খাইতে লাগিল। অযোধ্যার সন্নিহিত কোন গ্রামবাসী একটি ব্রাহ্মণ নিজেকে বশিষ্ঠগোত্র ও স্বৰ্য্যবংশের কুলপুরোহিত মহর্ষি বশিষ্ঠের অধস্তনবংশীয় বলিয়া পরিচয় দিলেন। ইনি রেজুনজেলের জমাদারের কার্য্যে নিযুক্ত আছেন। তিনমাসের ছুটি লইয়া সপরিবারে দেশে ফিরিতেছেন। সিকরোল হইতে দর্শননগর পর্য্যস্ত এক সঙ্গে ছিলাম। অনেক কথা হইল। ইনি দর্শননগরের আদিত্যসরোবরে স্নান করিবার জন্ত উপবাসী রহিলেন, কিন্তু ইহার গৃহিণী সঙ্গী মুসলমান কনেষ্টবলের দ্বারা জিলাপী কিনিয়া কস্তাদের সহিত আহার করিতে লাগিলেন। টাগুtউলি ছাড়িয়া যখন আমাদেব গাড়ি বিলহারঘাট-ষ্টেশনে পৌছিল, সেই সময় বহুলোক অবতরণ করিল। কথিত আছে, পুণ্যতেীয়া সরযুর ঐ প্রসিদ্ধ ঘাটেই ভরত