هك बत्रगञ्जन्।ि [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, বৈশাখ। অপভাষা প্রয়োগ করিতে চাহি না। কর্জনের ওতায় আমরা লিবারপুলি মুন ছাড়িয়াছি, কিন্তু আমাদের রক্তবিন্দুর রাসায়নিক বিশ্লেষণে এখনও ঐ অস্পৃশুদ্রব্যের অস্তিত্ব ধরা পড়িবে। এতদিন ধরিয়া বিলাতী হন হজম করিয়া তাহার গুণ গুহিবনা পণ ধরিয়া বসিলে নিমকহারামি হইবে। আমাদের পাশ্চাত্য বন্ধুগণ বিধাতার প্রেরণায় আমাদের হিতের জন্তই এদেশে পদার্পণ করিয়াছেন, এরূপ নির্দেশ করিয়া বিধাতার করুণাময়ত্বে লোকের সন্দেহ জন্মাইব না, কিন্তু পাশ্চাত্যশিক্ষা হইতে আমরা কোন উপকারই পাই নাই, সন্ধ্যাপত্রিকাখানি শিয়রে রাখিয়াও এ কথা পূরাদমে বলা যায় না। পাশ্চাত্যশিক্ষা হইতে কিছু লাভ করিয়াছি সত্য, কিন্তু পাশ্চাত্যশিক্ষা আমাদের সকলকেই অল্পবিস্তর মুগ্ধ ও অভিভূত করিয়াছিল, ইহাও ততোধিক সত্য। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবনেতিহাস র্যাহারা অবগত আছেন, তাহারা জানেন, বঙ্কিমচন্দ্রও এই মাক্রমণ হইতে নিস্তার পান নাই। " তবে বঙ্কিমের সহিত অন্তের এ বিষয়ে প্রভেদ আছে। নীর বর্জন করিয়া ক্ষীরগ্রহণের ক্ষমতা এক রাজহাসেরই আছে। বঙ্কিমচন্দ্ররূপী রাজহংস পাশ্চাত্যনীর হইতে ধেপরিমাণ ক্ষীর সংগ্ৰহ করিয়া স্বজাতিকে উপহার দিয়াছেন, আমাদের মত দাড়কাকের দ্বারা ততটার সম্ভাবনা নাই। বঙ্কিমচন্দ্রের মাহাত্ম্য এই স্ট্রে তিনি কেবল ক্ষীরসংগ্রহেই নিরন্তু হন নাই, তিনি পাশ্চাত্যশিক্ষার আকর্ষণ ও মোহপাশ বলে ছিন্ন করিয়া ডক্ষ বাজাইয় আপন ঘরে ফিরিয়াছিলেন ও মাছুমন্দুির আক্রমঠের প্রতিষ্ঠা করিয়া "বন্ধে মাতরম্” জয়ধ্বনি তুলিয়া আমাদিগকে সেই আনন্দমঠে আহ্বান কৰিছিলেন। বঙ্গদর্শনের বঙ্কিমচন্দ্র পাশ্চাত্যশিক্ষার মোহবন্ধন সম্পূর্ণ কাটাইয়াছিলেন কি না, বলিতে পারি না, কিন্তু প্রচারের পশ্চাতে যে বঙ্কিমচন্দ্র দাড়াইয়াছিলেন, তাহাকে রাগ্রাসমুক্ত পূর্ণচন্দ্রের মত দীপ্তিমান দেখি। তিনি তখন গীতার উক্তির আশ্রয় লইয়া স্বদেশবাসীকে ভয়াবহ পরধৰ্ম্ম হইতে স্বধৰ্ম্মে প্রত্যাবৃত্ত হইতে আহবান করিতেছিলেন । ভয়াবহ অভিধান দিয়া পরধৰ্ম্মকে নিন্দ করা আমার অভিপ্রেত নহে ; ধৰ্ম্মের একটা সাৰ্ব্বভৌমিক এবং সনাতন অংশ আছে,তাহা সকল ধৰ্ম্মেই সমান ; সে অংশটুকুতে কাহারও ভীত হইবার কোন কারণ নাই ; কিন্তু ধৰ্ম্মেয় আর একটা অংশ আছে, তাহা দেশভেদে ও কালভেদে মূর্ত্যন্তর গ্রহণ করে। ধৰ্ম্ম যখন লোকস্থিতির সহায়, এবং লোকস্থিতির নিয়মবিভিন্ন দেশে ওবিভিন্ন কালে যখন বিভিন্ন, তখন ধৰ্ম্মের এই অংশ দেশকালের অপেক্ষ না করিয়া থাকিতে পারে না। কোন দেশেই মানবসমাজের অবস্থা চিরদিন সমান থাকে না। একটা মানবসমাজ পাশ্ববৰ্ত্তী মানবসমাজের সংস্পশে বা সংঘর্ষে আসিয়া তাহার সমাজব্যবস্থা পরিবৰ্ত্তিত করিতে বাধ্য হয় । কাজেই ধৰ্ম্মের এই অংশ দেশকালামুরূপ মা হইলে উহ। তদেশে ও তৎকালে লোকস্থিতির অমুকুল হয় না। তত্ত্বৎদেশে ধৰ্ম্মের এই অংশের সহিত তত্তৎদেশের প্রাচীন ইতিহাসের যুনিষ্ঠ সন্ধ; প্রাচীনের সহিত সম্পর্ক একবারে বিছিন্ন করিয়া “কোন সমাজব্যবস্থাই কোন দেশে ८णांकििर्डन भश्ङ्ग श्ा न। ५१९ ५थन दिखिङ्गं - সমাজের ইতিহাসবিভিন্ন পথে চলিয়াছে, তখন
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।