\లిēఆ life. এই হচ্চে গ্ৰীকৃশিল্পসম্বন্ধে বিলাতের Royal Academy: fářo go অধ্যাপক R. A. সাহেবের মতামত এবং আমরা ইহাকে নিৰ্ভয়ে প্রামাণিক বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি। They aim not at a litcral trans Henry Weckcs cription of nature but at an expression of its inner significance... Directness, reticence apd restraint To present the essential quality of a are its main characteristics. scene, not its mcre outward appearance and that with best possible obtrusion of the material was its o object. জাপানিশিল্পের এই হ’ল লক্ষ্য । এখন মোট কথাটা দাড়াইতেছে এইরূপ— আৰ্য্যাবর্তের শিল্পীর কর্তব্য-চক্ষু সমস্ত পদার্থ এবং বাস্তবজগৎ হইতে আপনাকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রাগিয়া কেবল ধ্যানের দ্বার ধদয়পটে যে মূৰ্ত্তির উদয় হয়, তাহাই প্রকাশ করিতে যত্ন করা । গ্ৰীকৃশিল্পীর মতে—বাস্তবজগতের ও চাক্ষুষ পদার্থসফরে সুন্দর অংশ একত্র •করিয়া পরিপূর্ণ সৌন্দর্য্যের একটা একটা প্রতিমা খাড় করাই শিল্পের চরম উৎকর্ষ। জাপানি শিল্পীর কাছে—সুন্দর-অসুন্দর, স্বৰ্গ-মর্ত্য, সকলি সমান। গোচর-অগোচর সমস্ত পদার্থের মৰ্ম্মগ্রহণ কর এবং সেই মৰ্ম্মকথা সহজে, সুসংযতভাবে, পরিষ্কাররূপে প্রকাশ কর । o বঙ্গদর্শন । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক পৃথিবীর তিনটা মহাদেশে তিন বিভিন্ন জাতির মধ্যে শিল্পের এই তিন আদর্শ তিনটি বিজয়ুস্তম্ভের মত আজিও বিদ্যমান । হঠাৎ দেখিলে তিনটা শিল্পই সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন বোধ হয়, কিন্তু গোড়ার কথা তিনেই এক। সেই মানসপ্রতিমা ও ধ্যানের প্রভাব তিনের ভিতরেই ফন্তুনদীর ন্তায় প্রচ্ছন্ন আছে। গ্রীকৃশিল্পী যখন কোন নারীপ্রতিমা কিংবা কোন বীরমূৰ্ত্তি গড়িয়াছিল, তখন সে কোন মডেলের অপেক্ষ রাখে নাই ; সে তার মানসপটে দৃঢ়তার যে আদর্শ কিংবা সৌন্দর্য্যের যে সুকুমার ভাবটি বহু সাধনায় পরিস্ফুট করিয়াছিল, সেইটাই জড় প্রস্তরে যথাসাধ্য আরোপ করিয়াছিল। যদি তাহাকে সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর মানুষ দেখিয়া তবে গড়িতে হইত, তাহা হইলে জগতে গ্ৰীকৃশিল্পের স্বষ্টিই হইত না। . জাপানিশিল্পীও তুলির দুই টানে মুহূৰ্ত্তমধ্যে যখন অনন্ত আকাশে উড়ডীন মরালশ্রেণী আঁকিয়া ফেলিল, তখন মেৰালোকে রাজহংসগণের আনন্দকাকলি এবং অপ্রতিহত গতিবেগের একটা যে ধারণা তাহার মনে ছিল, সেইটুকু প্রকাশ করিয়াই সে ক্ষান্ত রহিল । হাসটা ঠিক ডাক্তারিমতে anator mical হাস হইল কি না, দেখিবার ইচ্ছাও রাখিল না। . o তেমনি ভারতবর্ষের শিল্পীও যখন যেটি গড়িল, যথাশাস্ত্র ধ্যান ধরিয়া নিজের মানসপ্রতিমারূপেই গড়িল। ব্ৰহ্মার চার মুখ, বিষ্ণুর চারি হস্ত দিতে কিছুমাত্র ইতস্তত করিল না ; শাস্ত্রোক্ত ধ্যানটুকু ধরিয়া সে যথাসাধ্য ব্ৰহ্ম-জ্যোতি কিংবা বিষ্ণুতেজের একটা
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।