ego; बछल-नि । ভিতর আনিতে পারি না, কারণ এখনও তাহার উঠিবার মুখ। w ভারতবর্ষে আর্যশিল্পের আদর্শগুলির প্রতি বিশেষ লক্ষ্য করিলে তাহাতে পর-পর প্রধানত তিনটা স্তর দেখা যায়। একটা খাটি ব্রাহ্মণ্যশিল্প, দ্বিতীয়টা বৌদ্ধশিল্প, আর তৃতীয়ট মোগলশিল্প। ব্রাহ্মণ্যশিল্পে অপ্রাকৃতের চূড়ান্ত প্রভাব দৃষ্ট হয়, সে সকল গঠন পার্থিৰ হইতে যতদূর সম্ভব বিচ্ছিন্ন। নরসিংহ, দশগ্ৰীব, চতুমুখ ব্ৰহ্মা, চতুভূজ বিষ্ণু, এমন কি ঐরামে নবদুৰ্ব্বাদল ও শ্ৰীকৃষ্ণে নবীননীরদকান্তির মধ্যেও অপ্রাকৃতের প্রভাব । যেন একটা স্বষ্টিছাড়া থাম্ খেয়ালি-গোছের, আলুথালু ভালানাথ মুক্তি। হঠাৎ দেখিলে মনে হয় ছেলেখেলা, কিন্তু তাহারও ভিতরে মহামুক্তির যে উৎকট আনন্দ-উচ্ছাস বর্তমান, সেটি জগতের কোন শিল্পে কোনকালে পাওয়া যায় না । এৰালের একএকটা মূৰ্ত্তি দৈবতেজে মানুষ হইতে যেন সম্পূর্ণ পৃথক্ হইয়া বসিয়া আছে ; অতি অভাৰনীয় ! স্পর্শ করিতে ভয় হয়, পৃথিবীর দিকে দৃকপাত নাই। বৌদ্ধযুগে শিল্পদেবতা মানুষের আর একটু কাছে আসিলেন, তাহাতে শিল্পে সম্পূর্ণ মুক্তির উদাম বেগ সংযত ব ধারণ করিল বটে, কিন্তু লে মামুষের ৰপ্ততা এখনও স্বীকার করিল না। শিল্প বুদ্ধদেবের শরণ লইল, অশোক ৰে অত-বড় সম্রাটু, তাহার দিকে দৃকপাতও করিল না— কেবল এক মনে নিৰ্ব্বিকার বুদ্ধের প্রশান্তমূৰ্ত্তির ধ্যান ধরিয়া থাকিল। শিল্প যদি সে সময় ধৰ্ম্মাশোকের পূজা করিত, তবে প্রত্যেক জেশোকস্তম্ভের শিখরদেশে অনুশাসনের [ ७छे ब३, कडिंक । পরিবর্বে অশোকের নিজমূৰ্ত্তি বিরাজ কঞ্চি তেছে দেখিতাম। অতএব বৌদ্ধযুগে আর্য্যশিল্প যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়াছে, এ কথা বলা চলে না ; ব্রাহ্মণ্যযুগে সে মেঘরাজ্যে বসিয়াছিল, এখন ধরাতলে, কিন্তু দৃষ্টি সেই উৰ্দ্ধমুখেই আছে। তার পর মোগল-আমল । সে সময় জাৰ্য্যশিল্প স্বাধীনতা হারাইয়া বাদশাহের পদামত হইয়াছে বটে, কিন্তু দাসখৎ লিখিয়া দেয় নাই। বাদশাহ-বেগমের মূৰ্ত্তিলিথিয়াছে বটে,কিন্তু ঠিক মামুটি করিয়া লিখিতে পারে নাই, তাহাতেও অপ্রাকৃতের সম্পূর্ণ প্রভাব ; স্বর্ণে, বর্ণে, ঔজ্জ্বল্যে তখনকার একএকটা মূৰ্ত্তি ঠিক বাদশীবেগমটি না হইয়া রাজীর যেন একএকটা ধ্যানমূৰ্ত্তিরূপে প্রকাশ পাইতেছে এবং শাজাহানবাদশার আমলে ধেমুনি একটু ছাড়া পাইয়াছে, অম্নি সে স্বর্গের মুখে ছুটিয়াছে এবং সেখান হইতে বিশুদ্ধ মৰ্ম্মরে মৃত্যুর এক মহাস্বপ্ন আনিয়া আগ্ৰায় যমুনাতীরে বসাইয়া দিয়াছে। দেবতা ছাড়া আৰ্য্যশিল্প আর কাহাকেও বলে নাই— ‘ত্বমসি মম শরণং ত্বমসি মম জীবনম্। এখন দেখা যাক, গ্ৰীকৃশিল্পের কতদূর কি হইল— গ্ৰীকৃসাম্রাজ্যের ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে রোষরাজত্ব মাথা তুলিল এবং রোমরাজত্বের সঙ্গে সঙ্গে সীজারগণও মাথা তুলিলেন ; সে কেঙ্গে মাথাতোলা নয়, সারা পৃথিবীর একচ্ছন্নসম্রাট্ররূপে। রোমক কাব্যে, সাহিত্যে, শিল্পে, সঙ্গীতে যেন একটা দৰ্প আর ঐখর্ব ফুটির পড়িতে লাগিল। রোমের সম্রাটু ক্রমে নরদেব বলিয়া গণ্য হইলেন এবং দেশের সমত শিল্প-সাহিত্য-কার্যকলা এই সকল নক্ষদেরঙ্গ
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।