প্রাচীন সামাজিক চিত্র। س-مم-سسه میتوان این تیمه سمس سامسس. 8 শস্তক্ষেত্র । ক্ষেত্রে উপযুক্ত জল ন হইলে শস্ত শুষ্ক হইয় যায়, আবার অতিরিক্ত হইলে নষ্ট হয়। এই উপদ্রব নিবারণের জন্য ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন আলগুক হইত। সেতু দ্বিবিধ—“খেয়’ ও ‘বন্ধা’ । যেখানে জল আনিবার জন্ত মৃত্তিক খনন করা যায়, তাহা “খেয়া ; আর যে স্থানে অতিরিক্ত জলের আগমন নিবারণ করিবার জন্ত মৃত্তিকাদির দ্বারা উচ্চস্তপ নিৰ্ম্মাণ করা যায়, তাহার নাম ‘বন্ধ্য । ( নারদ ) ক্ষেত্রস্বামী প্রয়োজনানুসারে স্বস্ব ভূমিতেই সাধারণত সেতুবন্ধন করিয়া থাকিতেন। কিন্তু যদি দেখা যাইত যে,অপর কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেতু প্রস্তুত করিলে বহু লোকের উপকার হইতে পারে, আর সেই ক্ষেত্রস্বামীর অল্প ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা থাকে, তবে পরকীয় ক্ষেত্রেও অপর লোকে সেতু প্রস্তুত করিতে পারিত। এজন্য তাহীকে কোনরূপে দণ্ডিত হইতে হইত না। তবে সেতু প্রস্তুত করিবার পূৰ্ব্বে ক্ষেত্রস্বামীকে জানাইতে হুইত, নতুবা. সেতুলন্ধ শস্তে সেতুকৰ্ত্তার অধিকার থাকিত না, তাহা ঐ ক্ষেত্রপতি গ্রহণ করিতেন, অথবা তাহার অভাবে, রাজাই তাহাতে অধিকারী হইতেন। (নারদ, যজ্ঞবল্ক্য) ক্ষেত্র সীমান্তত দুইপ্রকারে ব্যবহৃত হইত—'কৃষ্ট’ ও ‘অকৃষ্ট । যাহাতে শস্ত উৎপন্ন হইতেছে, তাহা " 'কৃষ্ট', পতিত জমি ‘অকৃষ্ট । ‘অরুষ্ট জমির অপর নাম ‘খিল', এক বৎসর জমি পতিত থাকিলে তাহা ‘অৰ্দ্ধথিল', তিনবৎসরে ‘খিল ; এবং ক্রমান্বয়ে পাঁচবৎসর পতিত থাকিলে তাঙ্কণ অরণ্যের হ্যায় গণ্য হইত। ( নারদ ) যদি কোন ক্ষেত্রপতি অশক্ত বা মৃত হয় বা স্থানান্তরে চলিয়া যায়,তবে তাহার ক্ষেত্রকে যে কর্ষণ করিত, সেই তাহার ফলভোগী হইত। আর যদি ক্ষেত্রপতি ক্ষেত্রকর্ষণের পর পুনৰ্ব্বার আসিয়া উপস্থিত হন, তবে কর্ষককে কৰ্ষণব্যয় প্রদান করিলেই তিনি শস্তের অধিকারী হইতেন ; অন্তথা লব্ধশস্তের অষ্টমভাগ মাত্র পাইতেন। ( নারদ ) যদি এতাদৃশ অবস্থার কোন ক্ষেত্রপতি অষ্টবৰ্ধ পৰ্য্যস্ত ক্ষেত্রেকর্ষণের ব্যয়ুপ্রদান না করিতেন, তবে পুৰ্ব্বোক্তনিয়মানুসারে উপভোগের পর অষ্টমবর্ষশেষে ক্ষেত্রপতিই ঐ ক্ষেত্ত্ব পাইতেন। (কাত্যায়ন ) ' যথোচিত করাদি বিতরণ করিয়া একাদি ক্রমে তিনপুরুষ কোন ক্ষেত্র উপভোগ করিলে, সেই ক্ষেত্রস্বামীকে তাছা হইতে to م
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।