পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जखम नरशां । ] বঞ্চিত করা হইত না। তবে রাজা ক্ষেত্রস্বামীকে আনন্দপুৰ্ব্বক সন্মত করিতে পারিলে এ নিয়ম অন্যথা হইত। গৃহসম্বন্ধেও এই নিয়ম ছিল । ( নারদ ) இ যদি কোন কৃষক ক্ষেত্রস্বামীর নিকট হইতে ক্ষেত্রগ্রহণের পর কেবল হলসঞ্চালন করিয়াই পরিত্যাগ করে, ও শস্তের বপন, রক্ষণ ও সংগ্রহ না করে, বা অন্তের দ্বারা না করায়, তবে সে ক্ষেত্রস্বামীকে কৃষ্টক্ষেত্রোৎপন্নের দ্যায় শস্তদান করিতে বাধ্য হইতে হইত এবং ক্ষেত্রস্বামী অন্ত ব্যক্তিকে নিজক্ষেত্র প্রদান করিতেন । এই ক্ষেত্রস্বামী ঐ কর্ষকের নিকট হইতে যে ঐ শস্ত আদায় করিতেন, তাহা ক্ষেত্রের মধ্যমরূপ ফলন অমুসারে ধর হইত, অর্থাৎ অত্যুৎকৃষ্ট বা অতিনিকৃষ্টরূপে গৃহীত হইত না । ( যাজ্ঞবল্ক্য ও বৃহস্পতি ) কথন-কখন রাজাও এই কৃষকের নিকুট হইতে তৎপরিমাণ শস্ত দণ্ডস্বরূপে গ্রহণ করিতেন । ( ব্যাস ) ক্ষেত্রে গবাদিপশু পতিত হইয়া যাহাতে শস্ত নষ্ট না করে, তজ্জন্ত গোচারভূমি প্রত্যেক লোকালয়েই নিদিষ্ট করিয়া রাখিতে হইত। এই গোচারভূমির পরিমাণ স্বয়ং গ্রামবাসিগণ নিজের ইচ্ছায় ভূমির নুনাধিকত্ব বিবেচনা করিয়া নিৰ্দ্ধারণ করিত্যুেন, অথবা রাজশাসনের দ্বারা তাহা সম্পাদিত হইত। . এই গোপ্রচারভূমি গ্রামের প্রত্যেক দিকে, গ্রাম ও ক্ষেত্রের মধ্যে শতধনু বা চারিশত হস্ত রাখিতে হইত। অথবা গ্রামের প্রাপ্ত হইতে কোন কালক (চণ্ডেশ্বর ) বা যষ্টি (কুর্কভট্ট ) বহির্দিকে নিক্ষেপ করিলে তাহ যতদুর উল্লঙ্ঘন করিয়া যায়, তাহার তিন গুণ প্রাচীন সামাজিক চিত্র। ভূমি গ্রামের প্রত্যেক দিকে নির্দিষ্ট করিয়া রাথিতে হইত। নগরসম্বন্ধে এই শেষোক্ত প্রণালীতে গ্রামের জন্ত যত ভূমি হয়, তাহার তিনগুণ অথবা চারিশত ধনু বা ষোড়শশত হস্ত রাখিবার নিয়ম ছিল। এতাদৃশ নিৰ্দ্ধারিত গোপ্রচারভূমির অপর নাম "বিবীত । (মনু, যজ্ঞবল্ক্য) পথ, গ্রাম বা এই গোপ্রচারভূমির প্রান্তেই যদি কোনু শস্তক্ষেত্র থাকে এবং তাহা যদি যথোচিত বৃতি বা বেড়া দ্বারা রক্ষিত না হয়, তাহা হইলে কোন পশু ঐ ক্ষেত্রের শস্ত নষ্ট করিলে পশুপালের কোন অপরাধ হইত না । তবে অধিককাল ধরিয়া নষ্ট করিলে তাহাকে দোষী হইতে হইত। ( নারদ, বিষ্ণু ) এই সকল স্থানে বৃতিগুলি এতদুর উচ্চ করিতে হইত, যেন উস্ত্র বৃতির অন্তর্গত শস্ত দেখিতে না পায়, অশ্ব তাহ উল্লঙ্ঘন করিতে সমর্থ না হয়, আর এতদুর দৃঢ় করিতে হইত, যাহাতে শূকর তাহা ভেদ করিয়া না যাইতে পারে। ( নারদ, শঙ্খ, লিখিত ). @ পূৰ্ব্বোক্ত ভিন্ন অপর ক্ষেত্রে পশু শস্তনাশ করিলে, সাধারণত প্রত্যেক পশুর জন্ত সওয়া-- পণ কড়ি দণ্ডস্বরূপ ক্ষেত্রপতিকে দিতে হইত। এই দণ্ড পালকেরই দেয়, গো-স্বামীর নহে । ( মন্ত্র ) • , গো প্রভৃতি কয়েকটি বিশ্যে বিশেষ পশুর সম্বন্ধে নিম্নলিখিতরূপে দণ্ডগ্রহণ হইত— মহিষ আট, গো চারি, এবং ছাগ ও মেষের দুই মাষ পরিমাণ রজতঁদগু । এই সকল পশু যথেষ্টরূপে শস্তভক্ষণ করিয়া যদি সেই ক্ষেত্রেই উপবেশনপূর্বক বিশুম করিতেছে দেখা যাইত, তবে ঐ দও দ্বিগুণপরিমাণে গৃহীত ।