નહેર માનઃ । । রাক্ততপস্বিনী । ●と》 হইজাছিল, ইহা সম্ভবত অনেকেরই জানা নাই। ঐ সভায় পর্দার অন্তরালে মহারাণী স্বয়ং অন্যান্ত সন্ত্রান্ত কুলমহিলাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এবং দেওয়ানজী সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। এই সভাধিষ্ঠানের কয়দিন পরে এদেশের ভিতর কৃষ্ণনগরে দ্বিতীয় অধিবেশনের খবর পাওয়া গেল । পুটিয়ার সভার আমুপুৰ্ব্বিক বিবরণ তখনকার সাপ্তাহিক “বেঙ্গলি’তে প্রকাশিত হইবামাত্র দেশীয় ও ইংরেজী সংবাদপত্রসমূহে মহারাণীমাতার সাধুবাদ ঘোষিত হইতে লাগিল এবং নানারূপে বৎসরাধিককাল তাহ ধ্বনিতপ্রতিধ্বনিত হইয়াছিল। মাতা ইহাতে বড় লজ্জিত হইলেন। গোপনে সৎকাৰ্য্য করাই র্তাহার অভিপ্রেত এবং প্রকৃতিগত, খবরের কাগজের ঢকানিনাদ আদৌ পছন্দ করিতেন না। ফলত এই উপলক্ষে একদিকে দেশের কল্যাণকল্পে তিনি যেমন কৰ্ত্তব্যজ্ঞান ও দৃঢ়চিত্ত তার পরিচয় দিয়াছিলেন, অপর পক্ষে তাহার স্বাভাবিক লজ্জাশীলতাও তেমনি ফুটিয়া উঠিয়াছিল । তিনি জীবনে আর কখন তেমন প্রত্যক্ষভাবে কোন সভাসমিতিতে যোগদান করেম নাই, এবং যাত্রাদি উপলক্ষে সরিকদের গৃহে কদাচিৎ নিমন্ত্রণরক্ষার্থ যাইতেন । কিন্তু এই ংস্রবে অন্ত প্রধান সরিক চারি-আনির বাটতে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া যাইতে কুষ্ঠিত হন নাই। লোকসমাগম অধিক হইবে বলিয়া চারি-আনির নূতন প্রশস্ত দ্বিতল গৃহে সভার স্থান নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিল, ইহাতে কোনরূপ আপত্তি না করিয়া তিনি বরং উৎসাহ দিয়াছিলেন এবং আরম্ভ হইতে শেষ পৰ্য্যন্ত উপস্থত ছিলেন। তাহার স্তায় অথর্যাম্পগুরুপ। W3 আদর্শ-হিন্দুবিধবার পক্ষে সাধারণ রাজনৈতিক সমিতিতে সেভাবে যোগ দেওয়া সম্ভব, ইহ{ বস্তুত তাহার পূৰ্ব্বে ইদানীন্তনকালে আর দেখা যায় নাই। ইহার পর যত দিন যাইতে লাগিল, ততই সংবাদপত্রে ও দেশের চারিদিকে অন্তান্ত সভাসমিতিতে র্তার “রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়ার” কাহিনী প্রশংসার নালামুরে অবিরত বর্ণিত হইতেছিল—তিনি কিছু ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িলেন। টাউন্ হলের বিরাটু সভায় আনন্দমোহন বস্ব মহাশয় প্রথমেই মহারাণীমাতার ও পুটিয়ার সমিতির উল্লেখ করিয়াছেন,তার পর মহারাণী স্বর্ণময়ীর কথা বলিয়। আত্মশাসনসম্বন্ধে বঙ্গের এই দুই catrojasi Matsafgita "( the two distinguished ladies of Bengal) stają s সহানুভূতির পরিচয় দিয়াছেন শুনিয়া তিনি ভারি কুষ্ঠিত হইলেন, যেন কি-একটা অন্তায় কাজ করা হইয়াছিল! সে যাহা হউক, স্বায়ত্তশাসনসম্বন্ধে কোথায় কি হইতেছে, তাহার খুটিনাটি সজ্জাদ তিনি সৰ্ব্বদা রাথির্তেনশ রাজশাহীতে মিউনিসিপালিটির প্রথম চেয়াম্যান্ কে হন জানিতে তিনি উৎসুক ছিলেন ' এবং আগ্রহে একদিন আমায় সংবাদ জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। একদিন প্রাতে আমরা কয়জনে তাহাকে প্রণাম করিতে গেলাম। মা রাজবাটীর কেরাণী ব্রজসুন্দরকে একখানি অপেক্ষাকৃত পুরাতন সাধারণী দিয়া বলিলেন, সেখানি তার কাছে ছিল। পরে আমার বলিলেন, “তুমি কি দেশে গিয়া আত্মশানের সভা করিয়াছিলে ? ( তিনি আত্মশাসনই বলিতেন । ) এই কাগঞ্জে লেখা আছে, তুমি চাৰাদিগকে আত্মশাসন বুঝাইয়াছিলে o
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।