সপ্তম সংখ্যা। ] দুর্ভিক্ষপীড়িত ভারতে। \9ులి বলিও যে, দানের কথাটা যেন গোপন থাকে, খবরের কাগজে না উঠে।” ইহার পরই তিনি বড় পীড়িত হইয়া পড়েন। চাদা পাঠান হইয়াছিল কি না, বলিতে পারি না। শ্ৰীশ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার। দুর্ভিক্ষপীড়িত ভারতে। ১২ । রাজাদের শৈলনিবাস । ভারতের এই উদাস মরুদৃষ্ঠের উপর ভাস্বর ও বিষণ্ণ মধ্যাহ্ল ক্রমশ অগ্রসর হইতেছে। হস্তী শান্তভাবে পৰ্ব্বতের উপরে উঠিতেছে ; অতিমামুষপ্রমাণ একটা খোদিত ঢালু-সিড়ি দিয়া হস্তী পৰ্ব্বতের পাশ্বদেশে আরোহণ করিল। এই স্থানটি ভগ্নাবশেষে সমাচ্ছন্ন ; যেন ইহা দেবতাদের—মন্দিরসমূহের-প্রাসাদসোঁধাবলীর একটা প্রকাও সমাধিক্ষেত্র। সহজভাবে ও মৃদুভাবে যাহাতে উপরে উঠিতে পারে, এইজন্ত হাতী ধাকা-চোরা পথ দিয়া চলিতেছে। তাহার দোদুল্যমান প্রকাণ্ড দেহপিওটা আমাদিগকেও মৃদুমৃদ্ধ দুলাইতেছে। তাহার “গোদা-পায়ের” প্রতি পদক্ষেপে ধূলা, রাশি যেরূপভাবে নিষ্পেষিত হইতেছে, তাহাতেই তাছার প্রকাও শরীরের গুরুত্ব আমি বেশ অনুভব করিতে পারিতেছি। হাতী নিঃশব্দে চলিয়াছে ; চারিদিক নিস্তব্ধ ; কেবল তাহার দুই পার্শ্বে যে দুইটি রূপার ঘস্টিক ধুলান রহিয়াছে, তাহ হইতে বিষঃগম্ভীরু ধ্বনি মধ্যে মধ্যে নিঃস্থত হইতেছে। কখন-কখন, উষ্ণ স্থির আকাশে উড়ন্ত পার্থীর পক্ষোখিত শাই-শাই শব্দ শুনা যাইতেছে ;– মাথার উপর দিয়া একটা শকুনি, একটা চিল চলিয়া গেল । পৰ্ব্বতটা একেবারে খাড়া হইয়া উঠিয়াছেঃ– উহার উপরে উঠা কষ্টকর। পৰ্ব্বতের যে পাশে ‘খদ, তাহার উপর দিয়া দুর্গবপ্র-সমন্বিত একটা প্রাচীর প্রসারিত হইয়৷ ধূলিসমাচ্ছন্ন স্বৰ্য্যরশ্মি-উদ্ভাসিত ধূসরবর্ণ দুর-দিগন্তকে বিখণ্ডিত করিয়াছে। পৰ্ব্বতের অপর পাশ্বের উপর হইতে বিরাট আকৃতি পদার্থসকলপ্ষ্টিগোচর হইতেছে ; তিনশত ফিটেরও অধিক স্থান ব্যাপিয়া একটা গগুশৈল—তাহার উপর, দুর্গপ্রাসাদসমুহ অধিষ্ঠিত ; সেরূপ সোধপ্রাসাদাদি একালে নিৰ্ম্মাণ করা দুঃসাহসেন্স কাজ,—একপ্রকার অসাধ্য বলিলেও হয়। মাথা তুলিলেই দেখিতে পাওয়া যায়—এই সব প্রাচীনকালের প্রকাণ্ড-প্রকাও প্রাসাদ কতদূর পর্যন্ত চলিয়াছে, তাহার আর শেষ নাই ; ইহাদের গঠনভঙ্গ আমাদের নিকট সম্পূর্ণরূপে অপরিচিত ; কত-কত শতাব্দী হইতে, এই সকল সৌধপ্রাসাদ অতলস্পর্শ খাতের ধারে অঘূর্ণিতমস্তকে স্কটলভাবে দণ্ডায়মান। এই নৈসর্গিক ঘুর্ণশৈলের উপর কত কত '
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।