नखज नरथा । ] বঙ্কিমবাবু ও স্বদেশী ইতিহাস । ●ጫe বীৰ্য্যেয় ভয়ে আলেকজাণ্ডার যুদ্ধে ক্ষান্ত সঙ্কুচিত, তখনও তাহাদিগের মুতাক্ষরীণ প্রভৃতি হইয়াছিলেন, এ কথা কেহ বিশ্বাস করুন আর মা করুন, ইহার সাক্ষী স্বয়ং মেগাস্থিনিস্। আমরা নুতন সাক্ষী শিখাইয়া আনিতেছি मी १* কিন্তু বাঙলা-ইতিহাসের কথা উঠিলেই মনে হয় যে, বাঙলার ইতিহাস নাই ; কেবল বাঙলার ইতিহাস নাই, তাহা নহে, ভারতবর্ষের ইতিহাস নাই। যদি কেবল বঙ্গদেশের কথা হইত,তাহা হইলে মেকলের স্তায় বাঙালীর কোন নিন্মুক চটু করিয়াখলিতেন যে,বাঙ লাদেশের এমন কোন ঘটনা নাই,যাহা ইতিহাসে লিখিবার যোগ্য, সেইজন্য বঙ্গের ইতিহাস মাই। কিন্তু প্রাচীনভারতসম্বন্ধে ত সে কথা খাটে না । তাহার ধৰ্ম্ম, দর্শন, সাহিত্যাদি জগতে অতুলনীয়, আজিও তাহ মানবজাতির সভ্যতামুকুটে হীরকের ন্তায় দীপ্তি পাইতেছে,—আজিও যে সভ্যতাভিমানী ইউরোপ ভাছ আলোচনা করিয়া পুলক-বিস্ময়ে মগ্ন হইতেছেন ! ভারতের অপেক্ষা অনেক নিকৃষ্ট্রজাতির ইতিহাস আছে ; অথচ সভ্যতার শীর্ষস্থাপীয় প্রাচীন ভারতের ইতিহাস নাহ-ইহা বড়ই আশ্চর্য্য বোধ হয় । ইহার নানা কারণ অসুমিত হইতে পারে: কেহ বলেন, যে-দেশে রাজার ক্ষমতা অব্যাহত, প্ৰজাগণের স্বাধীনতাক্ষত্তি নাই, সে দেশে ইতিহাস জন্মায় না। এ কথা সত্য ৰোধ হয় না। কারণ, তাহা যদি হইত, জুলৰমানদিগের মধ্যে ইতিহাস থাকত না । - বাঙলাদেশে যখন নবাবের শাসন অতিশয় উচ্ছঙ্খল এবং প্রজাদিগের স্বাধীনতা নিতান্ত ইতিহাস দেখিতে পাওয়া যায়। কেল কেহ বলেন, যে-জাতি অন্ত দেশ জয় করে, তাহারা নিজের বিজয়কাহিনী আবৃত্তি করিতে ভালৰাসে এবং আত্মশ্লাঘাপরবশ হুইয়া তাহা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখে এবং তাহাতেই ইতিহাসের প্রথমস্থষ্টি হয়। এ কথা যদি সত্য হইত, তাহা হইলে ভারতবাসী আর্য্যদিগের ইতিহাস অবঙ্গ থাকিত । কারণ আধুনিক পণ্ডিতগণ সকলেই স্বীকার করেন যে, আর্য্যগণ ভারতে বিজয়ডঙ্কা বাজাইয়া প্রবেশ করিয়াছিলেন এবং পুনঃপুন অনাৰ্য্যজাতিকে পরাজিত করিয়া আর্য্যাবৰ্ত্ত অধিকার করেন । - কখন-কখন ইতিহাস না থাকার আর একটা কারণ লক্ষিত হয়। যখন দীর্ঘকাল উন্নতি বা অবনতি অতি ধীরে ধীরে হইতে থাকে, অথবা সমাজ একই অবস্থায় থাকে, তখন দেশের ইতিহাস লিখিত হয় नी । এমন কি, সমাজ যদি নিরুপদ্রবে শান্ত্রিসহ দীর্ঘকাল সৌভাগ্যশালীও থাকে, তাহার ইতিহাস লিখিত হয় না । ভারতসম্বন্ধে এ কখা স্বীকার করা যায় না। এত দীর্ঘকালের মধ্যে ভারতে কোন বিপ্লব হয় নাই, সহসা কোন পরিবর্তন হয় নাই, সমাজ অতি মন্দবেগে অলক্ষিতভাবে উন্নতিলাভ . করিয়াছিল, আবার অতি মন্দবেগে তেমূনি অলক্ষিতভাবে উন্নতিশিখর হইতে অবরোহণ করিয়াছিল, এই সময়ে কোন সামাজিক दांउTांव(शृशंदांऊ शृणोप्ने নাই, সমাজ কখন কোন চিন্তা-ভাব-কাৰ্য্যউচ্ছাসে আলোড়িওঁ,ভয় নাই, ইছা বিশ্বাস कृद्भां श्वांब्र नां । *
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।