●ዊ¢ ইতিহাস কতটুকু। হিন্দুশাস্ত্র বিশ্বাস করিতে ন চাহেন, ইউরোপীয় বিজ্ঞানের কথা ধরুন । ভূৰিষ্ঠা আলোচনা করিলে, পৃথিবীর বয়স কত হয়। সে ষে গণনা করিয়া উঠা যায় না। কত জীব স্থই হইয়া লোপ পাইল, তাহার জীবন্ত নমুনা এখন পাওয়া যায় না, কঙ্কালঅস্থি পৃথিবীতে প্রোথিত দেখা যায়। আবার এটল্যাটিস্ প্রভৃতি কত বৃহৎ ভূখণ্ড সমাণৰ জলধিতলে নিমগ্ন হইয়াছে; কে বলিবে ? সেদিন জুয়ান ফানাণ্ডেজ দ্বীপ, যাহ রবিন্সন ক্রুসোর আদর্শ সেলুকার্কের বিচরণভূমি, ভূকম্পতাড়নে নরনারীসমেত সাগরতলে কোথায় তলাইয়া গেল, কে বলিবে । এই প্রকাও ব্রহ্মাণ্ডে কত গ্রহ, ধূমকেতু, নক্ষত্র অহরহ ফুটিতেছে, ছুটিতেছে, টুটিতেছে, চুর্ণ হইতেছে—এই অসীম ব্ৰহ্মাণ্ডের অবিরাম স্বক্টিলয়লীলামৃত্যের মধ্যে কোথায় ক্ষুদ্র পৃথিবীর ক্ষুদ্র নরনারীর ইতিহাস ! যোগী ব্ৰহ্মাও ও ব্রহ্মকে ভাবিতে ভাবিতে তাছার অনন্তত্বে ময় হইয়া, পৃথিবীর ইতিহাস, জীবজন্তুর ইতিবৃত্ত, মঙ্গুষ্যের ইতিহাস ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র অনুল্লেখযোগ্য ব্যাপার বিবেচনা করেন। অথচ তিনি আপনাকে ব্রহ্মের অংশ অনুভব করিয়া ‘সেহিষ্টং’ধবনিতে ব্ৰহ্মাগুকে পূরিত করেন ; এবং “স্ত্রণ সত্যং জগন্মিথ্যা ল্পীবে ব্রহ্মৈব কেবলম্” অস্তরের অন্তরে বুঝিয়। কৰে, কবে তিনি ভারতে আসিয়াছেন, কবে ম্লেচ্ছজাতি ভারতঞ্জয় করিল, তাহ লিপিবদ্ধ করার কোন প্রয়োক্তন দেখেন নাই। যে छत्रां* मिथT, ठांझांग्र इंङिछान७ भिर्थT । भिथा खुछमच्{ञ ॥ [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক । ব্যাপারের বৃত্তান্ত বিবৃত করা অপেক্ষা নির্জনে জীব ও ব্রহ্মের একত্ব যাহাতে জীবনে দেখিতে পান, তাহার চেষ্টা করা ভাল বিবেচনা করিয়াছিলেন। হিন্দুজাতির ইতিহাস না থাকার কারণ কি এই ? জানি না । কিন্তু আমরা এক্ষণে যোগপরায়ণ নহি । আমাদিগের জন্ত ইতিহাস আবশ্যক, অামাদিগের এই ঘোর নৈরাপ্ত-অন্ধকারে আলোক আনয়ন করিবার জন্ত বঙ্গের ইতিহাস আবশ্যক। কেন না, আমাদিগের এই পতিত অবস্থায়, অতীতকালের ইতিহাসে যে মহৎ বীজ আছে, তাহা বৰ্ত্তমানকালে বপন করিতে পারিলে ভবিষ্যতে এক মহাবৃক্ষ জন্মিয় আমাদিগকে আশ্রয় দিবে। - তাই বঙ্কিমবাবু বঙ্গদেশের ইতিহাসের কথা, বাঙালীর মিথ্যা-কলঙ্কের কথা আলোচনা করিয়া জুমোদিগকে আশ্বাসিত করিয়া গিয়াছিলেন। বঙ্কিমবাবু তাহার বঙ্গ-ইতিহাস চর্চায় প্রকারাস্তরে বলিতেছেন, “হে ভাই, বড় ছিলে, এখন ছোট হইয়াছ, আবার বড় হইবে । বীর ছিলে, চেষ্টা করিলে আবার বীর হইতে পার । বিজয়ী ছিলে, আবার কেন বিজয়ী হইবে না ? তুমি জলবায়ুদ্বারা পরী: ভূত ছিলে না,-তুমি জলবায়ুকে পরাজয় করিয়াছিলে, আবার পর্যুজয় করিবে । অজ্ঞতা বা বিদ্বেম জাত কুৎসার টিটুকরিতে দমি ও না । মতীতের ইতিহাস স্মরণ করিয়া, ভবিস্যতের গৌরবময় ইতিহাস মদ্য হইতে কার্য্যে রচনা করিতে, অন্তত তাহার উপক্রমণিক রচনা করিতে আরম্ভ কর।” 鬱 শ্রীজ্ঞানেন্দ্রলাল রায় ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।