లిqly বঙ্গদর্শন । [ ७छै बर्ग्, चऽयंशंझ१ ।। সখের সেনাসম্বন্ধীয় প্রস্তাবেও যে তার খুব আগ্রহ ছিল, এমন বোধ হয় নাই। তিনি প্রকাশুভাবে অস্ত্ৰ-আইন-বিষয়ক প্রস্তাবের প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। একবার নয়, দুবার ; —প্রথম মন্দ্রিাজের অধিবেশনে, পরে প্রয়াগের অধিবেশনে, তিনি এই প্রস্তাবের গুরুতর প্রতিবাদ করেন । প্রয়াগের অধিবেশন শেষ হইলে হিউম্ যখন কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন, তখন এ বিষয়ে তার সঙ্গে আমার অনেক কথাবার্তা হয় ; এবং সে সময়ে প্রসঙ্গ ক্রমে তার আপত্তির কারণ নির্দেশ করিতে যাইয়া তিনি আমাকে স্পষ্টভাবে এ কথা বলেন যে,— ধার সিপাখিবিগ্রোহের সময়, ১৮৫৭-৫৮ খৃষ্টাব্দে, ভারতবর্ষের রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন, তাদের মধ্যে কেৰই ধৰ্ব্বত ‘অস্ত্ৰ-আইন রদ হউক এই প্রস্তাব অমুমোদন করিতে পারেন না । -হিউমের এই কথাতেই কংগ্রেসের মূল আদর্শণক ছিল, ইহা বিলক্ষণ বুঝিতে পারা যায়। কংগ্রেসের জন্মবিবরণী ও এই আদশের প্রতিই নির্দেশ করে। কংগ্রেসের উদ্ভাবস্থিতা হিউম, ইহা স্বীকার করিতেই হইবে। কিন্তু সে সময়ে আর একটা মহত্তরও উন্নততর আদর্শ বাংলাদেশে অল্পে অল্পে ফুটিয়া উঠিতেছিল। স্বরেন্দ্রনাথপ্রমুখ নেতৃবর্গ তখন এক উন্মাদিনী, অমৃতময়ী কল্পনার স্বষ্টি করিয়া .বাংলার শিক্ষিত ও শিক্ষাধী যুবকমণ্ডলীর চিত্তে এক নূতন আদর্শ ও আশার উন্মেষ করিতেছিলেন। ম্যাটসিনী ও নব্য ইতালি, ডেভিস ও যুন-আয়লণ্ড, গুরুগোবিন্দু ও শিখ-খালসা ;–এ সকলই আমাদের তখনকার রাজনৈতিক শিক্ষার প্রধান বিষয় ছিল। বঙ্গে এই সকল আলোচনা হইতে এক অভিনব রাজনৈতিক স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়া উঠিতেছিল। এই আকাঙ্ক্ষা হৃদয়ে লইয়া, ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে বোম্বাইসহরে যখন কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন হয়, সে সময়ে—কলিকাতায় আলবার্টহলে হাশঙ্গাল কনফারেন্সের অধিবেশন হইয়াছিল। তখনো আমরা কংগ্রেসের কথা অনেকেই শুনি নাই। যাহারা কলিকাতার কন্ফারেন্সে যোগদান করেন, তাহদের অনেকেরই আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, ক্রমে ঐ কনফারেন্সই ভারতে প্রজাপ্রতিনিধিসভার স্বত্রপাত করিবে। র্তাহাদের অনেকেরই লক্ষ্য ছিল— রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও স্বায় স্তুশাসন । ভারতের ভবিষ্য রাজনীতিতে ইংরেজের স্থান কোথায়, ওঁ ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্রে ব্রিটিশরাজশক্তির অধিকার কতটুকু থাকিবে, তখনো এ প্রশ্ন উত্থাপিত হয় নাই । তবে স্বাধীন ও আত্মশাসিত ভারতের সঙ্গে যে ব্রিটিশরাজের কোনোপ্রকারের সম্বন্ধ থাকিবে না বা থাকিতে পারে না, --এমন ভাবটাও জাগ্রত হয় নাই। যেন-তেল-প্রকারেণ ব্রিটিশ প্রভুশক্তির সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের একটা যথাযোগ্য সঙ্গতি সাধিত হইয়া যাইবে, আমরা সকলেই মনে মনে স্বল্পবিস্তর এই বিশ্বাস পোষণ করিতাম । কিন্তু ইহাতে আমাদের মূল আদর্শ কিছুতেই সঙ্কুচিত হয় নাই। প্রত্যুত আমরা অনেকেই সেকালে মনে করিতাম যে, স্বায়ত্তশাসনই মানবসমাজে একমাত্র বিধিনির্দিষ্ট শাসন--- প্রণালী ; অন্ত কোনোপ্রকারের শাসন
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।