অষ্টম সংখ্যা । ] ংগ্রেসী কথা । ❖ፃእ» গুণালী, যাহাতে বহুলোককে সৰ্ব্ববিষয়ে একের বা অল্পলোকের বগুত স্বীকার করিয়া চলিতে হয়, যাহাতে পশুবল মামুৰী শক্তিস্বাধীনতার উপরে অযথা-আধিপত্য ভোগ করে বা যাহাঁতে দশের ভাবনা একজন বা দুজনে ভাবে, দশের বোঝা একজন বা দুজনে বহন করে ; এবং দুচারজন এরূপে রাজ্যের সকল ভাবনা ভালে ও সকল বোঝা বহন করে বলিয়া দশের শক্তিসামর্থ্যবিকাশের যাহাতে উপযুক্ত ও যথাযথ ক্ষেত্র ও অবসর থাকে না,—য়ে শাসন যতই সুখকর হউক না কেন, কদাপি কল্যাণকর হইতে পারে না ; তাহাতে যে মনুষ্যজীবনের সম্যক্ সফলতালাভ একেবারে অসম্ভব ও অসাধ্য,—তাহা যে ফলত শাসননামেরই অনুপযুক্ত এবং তৎপ্রতি ধৰ্ম্মন্ত শাসিতের যে কোনোপ্রকারের বাধ্যবাধকতা. নাই ;–এ কথা, সকলে না হউক, অনেকেই মুখ ফুটিয়া বলিতেও কুষ্ঠিত হইতেন না। তবে ধৰ্ম্মত ইংরেজশাসনকে শাসন বলিয়া না মানিলেও, দেশের বর্তমান মঙ্গলের ও ভবিষ্যৎ উন্নতির মুখ চাহিয়, এই শাসনপ্রতিষ্ঠিত আইনক মুন যথাসম্ভব মানিয়া চলা যে কৰ্ত্তব্য, ইহাও সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিতেন। এই জন্ত সম্পূর্ণ স্বাধীনতাভিমুখ হইলেও বাঙালীর এই রাজনৈতিক আদর্শ, সেকালে কোনোপ্রকারে যে বর্তমান রাজশক্তির প্রতি দ্রেীহভাব পোষণ করিতেছিল, তাহা নহে। ইহা সৰ্ব্বতে ভাবেই স্বাধীনতাভিমুখ ছিল, কিন্তু বিদ্রোহাত্মক ছিল না। খৃষ্টাম্বে কলিকাতায় যে ন্যাশন্তাল هاد . কনফারেন্স হয়, তাহার মূলে স্বল্পবিস্তর এই আকাঙ্ক্ষণ ও এই আদর্শই বিদ্যমান ছিল। বাংলাদেশে সে সময়ে শিক্ষিত ও শিক্ষার্থী যুবকমণ্ডলীর মধ্যে যে ভাব ও আদর্শ শনৈঃশনৈ বিকশিত হইয়া উঠিতেছিল, তাহারই বহিরঙ্গরূপে স্তাশন্তান্থ কন্ ফারেন্স জন্মগ্রহণ করে। দ্যাশন্তাল কন্ফারেন্সের জাতকৰ্ম্মে কোনো বিদেশীয় রাজপুরুষ বা কোনো বেসরকারী ইংরেজ ব্যবসায়ী বা রাজনীতিকের সাহচৰ্য্য ছিল না। পাশ্চাত্যসাধনার প্রভাবে, ইংরেজিশিক্ষার ফলস্বরূপ, বাংলার মাটি হইতেই ইহা স্বত ফুটিয়া বাহির হইয়াছিল। সে সময়ে কংগ্রেস জন্মগ্রহণ করিয়া আমাদের ক্ষুদ্রতর কন্ফারেন্সকে যদি আত্মসাৎ করিয়া না ফেলিত, তবে-আজ শিক্ষিতভারতে কি যে শক্তিশালী রাজনৈতিক আদর্শ ও প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিত, তাহা ভাবিলেও প্রাণে অনুপম আনন্দ ও সঞ্জীবনোৎসাহ সঞ্চারিত झश्न | যে আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষা লইয়া কলিকাতার হাশন্তাল কনফারেন্স অঙ্কুরিত হইয়া উঠিয়াছিল, কংগ্রেসও ঠিক সেই আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষা লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিল, এ কথা বলিছত পারি না । কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা হিউম্। আর ইহা এখন কাহারো জানিতে বাকি নাই যে, কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করিৰার কালে হিউম্ তদানীন্তন বড়লাট ডফারিণের সঙ্গে এ বিষয়ে অতি নিগূঢ় পরামর্শ করিয়াছিলেন ; এবং মোটামুটি কংগ্রেসপ্রতিষ্ঠাবিষয়ে লাটডফারিণের সহানুভূতি ছিল। " ভারতের প্রজাশক্তি জাগ্রত ও প্রতিষ্ঠানবদ্ধ হইয়। ক্রমে ট্রিশপ্রভূশক্তির উচ্ছেদসাধন করুক, এমন স্বজাতিদ্রোহভাব ডফারিন বা ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।