পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] যত্নবান হইয়াছেন, কিন্তু ইহাই যে শাসনের মুখ্য উদ্দেশু, প্রণালীবিশেষের প্রতিষ্ঠা বা স্থায়িত্বসাধন, শাসনের চরমলক্ষ্য নহে,— এ কথা ইহার কেহই কখনো মনে করেন নাই । ভারতের ব্রিটিশশাসনকর্তৃগণকে প্রধানত দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করিতে পারা যায়, -- একদল শক্তি-উপাসক ; আর-একদল বৈষ্ণবী মায়ার অনুচর। একদলের অস্ত্র—তরবারি ; আর-একদলের অস্ত্র--সম্মোহন-বাণ । একদল শক্তির দ্বারা ভারতের বিশাল প্রকৃতিপুঞ্জকে অভিভূত করিয়া রাথিতে চেষ্টা করিয়াছেন ; আর-একদল বুঝিয়াছেন যে— গারে হাত বুলাইয় মিষ্টবাক্যে আর বশীভূত করা যায় নরে যে প্রকার, তর্জনগর্জনজার দেখাইয়ী ভয় ° বশীভূত করা কভু সেরূপ না হয় । , তাই, তাহারা তৰ্জ্জনগর্জন বর্জন করিয়া সম্মোহনমস্ত্রে প্রজাবৰ্গকে বিবশ করিয়া রাখিতে চাহিয়াছেন । দালহৌসি, লাটন প্রভৃতি সকলেই স্বল্পবিস্তর শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত ছিলেন ; ইহারা সকলেই ভারতশাসনে শক্তিতন্ত্রপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করিয়াছেন। মেও, রিপন প্রভৃতি বৈষ্ণব,-- ভারতশাসনে বৈষ্ণবী 5মীয়া বিস্তার করিতে চাহিয়াছেন। হিউম্ও এই সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ওয়েডাবর, কটন প্রভৃতি কংগ্রেসী নেতৃবর্গ সকলেই এই দলের লোক। ভারতশাসনে বৈষ্ণবী মায়ার প্রতিষ্ঠা ইহাদের মুখ্য লক্ষ্য ছিল। ঐ লক্ষ্য ধরিয়াই কংগ্রেসেরও •ुउिल्ले श्ब्र । এইজন্ত, জন্মাবধিই কংগ্রেস ভারতে ব্রিটিশ ংগ্রেসী কথা । wor? শাসনকে কোমল ও লোকপ্রিয় করিবার জন্ত ব্যস্ত রহিয়াছে। রিপন, হিউম, ওয়েডারবরন, কটন প্রভৃতি উদারমতি ভারতবন্ধু ইংরেজগণের চিরন্তন লক্ষ্য—সুশাসন,—good কংগ্রেসেরও সনাতন আদর্শ—সুশাসন, সত্য স্বায়ত্তশাসন নহে। ইহারা স্বায়ত্তশাসন চান না, বা চান নাই যে, তা, নয়। যেখানে সুশাসনের জন্ত স্বায়ত্তশাসন অত্যাবশুক্ল, সেখানে ইহারা সকলে স্বায়ত্তশাসনও চাহিয়াছেন । কিন্তু স্বশাসন ইহাদের লক্ষ্য, স্বায়ত্তশাসন উপলক্ষ্যমাত্র। ব্যবস্থাপকসভার সংস্কার ও সম্প্রসারণ আবশুক মুশাসনপ্রতিষ্ঠার জন্ত —কংগ্রেস চিরদিনই এই কথা বলিয়া আসিয়াছে। রাজা বিদেশী, রাজপ্রতিনিধি বিদেশী, প্রধান প্রধান রাজপুরুষগণ সকলেই বিদেশী। দেশের প্রকৃতঅবস্থাসম্বন্ধে ইহারা একেবারে অজ্ঞ না হইলেও নিতান্তই যে স্বল্পজ্ঞ, ইহা তো আর অস্বীকার করা যায় না । দেশের প্রকৃত-অবস্থানভিজ্ঞ একদল বিদেশী রাজপুরুষের দ্বারা আইনকাকুন রচিত হইলে, তাহাতে কদাপি লোকের অভাবঅভিযোগ নিবারিত হইতে পারে না। অতএব সুশাসনের জন্যই ব্যবস্থাপ্রণয়নে দেশীয় লোকের সাহায্যগ্রহণ অত্যাবশ্যক। কংগ্রেসের পূৰ্ব্বে যে সকল ভারতবাসী সময়ে সময়ে ব্যবস্থাপকসভার সদস্ত নিযুক্ত হইয়াছেন, র্তাহারা অনেকেই কেবল পদমর্য্যাদাসম্পন্ন ছিলেন, দেশের প্রকৃতু অবস্থা এবং ব্রিটিশশাসনের মতিগতিসম্বন্ধে তাহীদের সম্যক জ্ঞান প্রায়ই থাকিত না; আর জ্ঞান থাকিলেও তাহার রাজপুরুষগণুের বিরাগোৎপাদনের আশঙ্কায় কখনো মুখ ফুটিয়া প্রজাবর্গের মতা-" government ;