ல்ேச “লাল পাত্র।” ঠাকুরাণীরা তামাসা করিতেন, *এই তোমার বাপ !” ইত্যাদি। শরৎমুন্দরী প্রথমে বিশ্বাস করিতেন, পরে শরীর পরীক্ষা করিতে করিতে পিতার দেহের চিহ্লবিশেষ দেখিতে না পাইয়া মাটীতে পাড়িয়া কাদিতেন এবং কাদিতে কাদিতে জ্ঞান হারাইতেন। বালক রাজা ঠাকুরাণীগণের উপর বিরক্ত হইয়া ওরূপ করিতে নিষেধ করিতেন। মহারাণীর শৈশবে স্থিরবুদ্ধির উদাহরণস্বরূপ র্তার প্রাচীনা পরিচারিকাদের বলিতে শুনিয়াছি, বিবাহের পর কাহারও নির্দেশ ব্যতীত তিনি অনেকগুলি মহিলার ভিতর হইতে শাশুড়ীকে চিনিয়া প্রণাম করিয়াছিলেন। বিবাহ রাজবাটীতে হইয়াছিল। পরদিন প্রত্যুষে বালিকা স্নেহময়ী পিতামহীকে মনে করির বলিয়াছিলেন, “রাত ত পোহাল, কিন্তু আমার *ছাওয়ালের* রাত ত থাকিয়া গেল।” পিত্রালয়ের-দাসীদের বস্ত্ৰাদিতে রাজবাটতে নিক্ষিপ্ত চুনহলুদের লাল রং দেখিয়া মুক্ত, ভাবিয়া কাদিতে কাদিতে বলিয়াছিলেন“উহাদের মারিয়া রক্ত পাড়াইয়াছে।” ১•১১বৎসর বয়সেই মহারাণীর হিন্দুধৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে অম্বুরাগ ও দীনদরিদ্রের প্রতি দয়া আত্মীয়স্বজনমধ্যে বিলক্ষণ পরিচিত হইয় উঠিয়াছিল কুমার যোগেন্দ্রনারায়ণ এই সময়ে কলিকাতার ওয়ার্ডস্ ইনষ্টিটিউটে বিদ্যাশিক্ষার্থ প্রেরিত হইয়াছিলেন এবং রাজবাটী৬ে 'আত্মীয় অভিভাবিক স্ত্রীলোক কেহ ছিলেন না। অতএব বালিকা রাণীকে পিত্রালয়ে থাকিতে হইত। পুটিয়ার রাজা জগৎনারায়ণ ও তৃহার সহধৰ্ম্মিণী রাণী छूवनमौ cनदौ कांनॆषाय्भ cष निदबनिद्र ७ यजब-नि । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, অগ্ৰছায়ণ। ছত্রের স্থাপনা করিয়াছিলেন, তাহার বলেঞ্জি খরচপত্র কোর্ট অব ওয়ার্ডসের পক্ষ হইতে প্রদত্ত হইত না। শরৎস্বন্দরী তখন নিতান্ত বালিকা হইলেও ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, তাহাকে কোর্ট অব ওয়ার্ডস্ হইতে খোরপোৰু বলিয়া যে টাকা দেওয়া হয়, তাহার দ্বার কাশীতে দেবসেবাদির ব্যয়নিৰ্ব্বাহ হইবে। ইহা ছাড়া, তিনি ষে সব নজর পাইতেন, তাহাও কখন নিজে রাখিতেন না, কাশীর খরচ জন্ত পাঠাইয়া দিতেন । ছেলেবেলায় রাজা রাণীর সঙ্গে খেলা করিতেন এবং তাহাকে বড় ভালবাসিতেন । কিন্তু সাবালক হওয়ার পর প্রথমযৌবনে এই স্নেহ স্থির ছিল না। সে সময়ে পাশ্চাত্যসভ্যতার নবীন অভু্যদয়, দেশীয় সংস্কারমাত্রই বিলাতী বস্তায় ভাসিয়া যাইতেছিল। তখন বাঙলার তাগুণন্ত স্থানের দ্যায় রাজশাহীর ভদ্রসমাজেও স্ত্রীশিক্ষার চলন ছিল না । স্ত্রীলোকে লেখাপড়া শিথিলে অল্পবয়সে বিধবা হয়, এই কুসংস্কারের বশবৰ্ত্তী হইয়া মহারাণীর পিতা তাহাকে আদে বিদ্যাভ্যাস করিতে দেন নাই। ষোগেন্দ্রনারায়ণ ১২৬৬ সালের ফাত্তনমাসে যখন সাবালক হইয়া বিযয়ভার গ্রহণ করিলেন, শরৎসুন্দরী তখন ত্রয়োদশ বর্ষে পদার্পণ করিয়াছেন । তিনি পিতৃদেবের নিকট দুঃখপ্রকাশ করিলেন যে, রাণীকে শিক্ষিত করিবার কোন বন্দোবস্ত করা হয় নাই । সেই অবধি তাহার পড়াগুনার ব্যবস্থা হইল এবং ছয়মাসের ভিতর, তিনি একরূপ লিখিতে পড়িতে শিখিলেন। . কিন্তু শুধু বিস্তাশিক্ষাই যথেষ্ট নহে।. হীকে পুরামাত্রায় মেম সাজাইতে ন পারিলে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।