శ్రీశ్రీ r— কি, রাজপুরুষভক্তিরও অভাব আছে, তাহ প্রমাণসাপেক্ষ। " এই শেষোক্ত সামগ্ৰীটার অভাব-আশঙ্কায়,কোন কোন রাজপুরুষ হয় ত বিচলিত হইয়াছেন ; কিন্তু তাহারা নিশ্চিন্ত হউন, বৰ্দ্ধমানের ও শোভাবাজারের রাজভাণ্ডারে ঐ মহাৰ্ঘ পদার্থ এত অধিক পরিমাণে সঞ্চিত আছে যে, কলসে কলসে বিলাইলেও উহা শীঘ্র নিঃশেষ হইবে না। বাঙলাদেশে এককালে ন্যায়শাস্ত্রের আতান্তিক চর্চা হইয়াছিল, সম্ভবত তাহার ফলে আমরা তার্কিকের জাতি হইয়া উঠিয়াছি। ইতিমধ্যেই আমাদের মধ্যে দুই দলে ঘোর তর্ক উপস্থিত হইয়াছে যে, আমাদের এই স্বদেশী আন্দোলনটা রাজনৈতিক আঁন্দোলন, না অর্থনীতিঘটিত আন্দোলন ? ইহার মধ্যে যে দল সুশীল ও সচ্চরিত্র, তাহারা বলেন, ইহার সহিত রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই বা থাকা উচিত নহে। আমরা কেবল স্বদেশের আর্থিক উন্নতির জন্য স্বদেশের দ্রব্য ব্যবহার করিব, কিন্তু , বয়কটের নাম পৰ্য্যন্ত মুখে আনিব না। এই “ দলের নেতাদিগের সুশীলতায় ও সচ্চরিত্রতায় আমার কিছুই সন্দেহ নাই, কিন্তু তাহার কম্লীকে ছাড়িতে প্রস্তুত থাকিলেও কমূলী তাহাদিগকে ছাড়িবে কি না, তাহ জানি না। . আমরা তাতের কাপড় পরিয়া ম্যাঞ্চেষ্টারের ব্যবসায়ের হানি ঘটাইব অথচ ম্যাঞ্চেষ্টার বেদান্তবেদ্য প্রত্যগাত্মার মত নিৰ্ব্বিকার ও লুক্ৰিয়ভাবে দেখিতে থাকিবেন এবং शैश्रीकूfनं । ৬ষ্ঠ বর্ম, বৈশাখ। আজিকার এই ীে আলোনের সহিত অর্থনীতির বা রাজনীতুির সম্পর্ক আছে বা না আছে, তাহার বিচারে আমি প্রবৃত্ত হইব । না। উহাকে আমি আমাদের ধৰ্ম্মনীতির অঙ্গ বলিতে চাহি। উহাই এখন আমাদের সময়োচিত যুগধৰ্ম্ম । আত্মরক্ষার জন্য এই যুগধৰ্ম্মের প্রয়োজন উপস্থিত হইয়াছে ; এবং এই যে ১৩১২ সাল আর চারিদিন পরে মহাকালের কুক্ষিতে রিলীন হইবে, ইহা যদি এই যুগধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা দেখিয়া চলিয়া যায়, তাহা হইলে ইহা বাঙলার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় থাকিবে । বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠে আর বঙ্কিমচন্দ্রের কৃষ্ণচরিত্রে আমরা এই যুগধৰ্ম্মপ্রতিষ্ঠার বিশিষ্ট চেষ্টা দেখিতে পাই । তাহার জীবনের শেষভাগের প্রত্যেক কাৰ্য্যই বোধ করি এই উদ্দেশ্যের অভিমুখ। বঙ্কিমচন্দ্রই প্রথমে আমাদিগের নিকট যুগ্ধৰ্ম্মের আবশুকতা নির্দেশ করিয়ছিলেন এবং যুগধৰ্ম্মের সংস্থাপনের জন্ত যিনি যুগে যুগে সস্তৃত হন, তাহার মহৈশ্বৰ্য্যমণ্ডিত মূৰ্ত্তি আমাদের দেবমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । তিনিই আমাদের জন্য মাতৃমন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া এবং তাহাতে আনন্দমঠের প্রতিষ্ঠা করিয়া, সেই মঠের মধ্যে সুজলা সুফলা শস্তশ্যামল, সুখদা বরদা সুস্মিত ভূষিতা, জননীর মূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। কুরুক্ষেত্রের মহাহবে যে পাঞ্চজন্য নিনাদিত হইয়াছিল, তাহার প্রতিধ্বনি আত্মহৃদয়ে অনুভব করিয়া তিনি স্বয়ং শৃঙ্খনাদ ই মাজের শাসনচক্র ও ইংরেজের সঙীন অর্থ করিয়াছিলেন। সেই শঙ্খধ্বনিতে আৰু ইয়া শায়ের ও ধৰ্ম্মণাস্ত্রের দোহাই দিয়া নিৰ্ব্বিকল্পসুমাধিযোগে মগ্ন থাকিবে, ইহা কল্পনারও অগোচর। .স্বামী আজ আমন্দমঠে প্রত্যাবর্তন করিয়া মাতৃপূজার উন্মত হইয়াছি। এই মাতৃপূজাই আমাদিগের যুগধৰ্ম্ম । ইহুদিজাতুি বহবৎসর্গ
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।