পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] उउ2 किन्। 8e & . জবং তম: প্রবিশন্তি যে অবিদ্যামুপাসতে। ততো ভুর ইব তে তমে ঘ উ বিদ্যায়াং রতাঃ । যাহার কেবলমাত্র অবিদ্যা অর্থাৎ সংসারের উপাসনা করে, তাহারা অন্ধতমসের মধ্যে প্রবেশ করে ; তদপেক্ষাও ভূয় অন্ধকারের মধ্যে প্রবেশ করে তাহার, যাহারা কেবলমাত্র ব্রহ্মবিদ্যায় নিরত । বিদ্যাঞ্চবিদ্যtঞ্চ যস্তস্বেদেtভয়ং সহ । অবিদ্যয় মৃত্যুং তত্ব বিদ্যয়ামৃতমশ্বতে । বিদ্যা এবং অবিদ্যা উভয়কেই যিনি একত্র করিয়া জানেন, তিনি অবিদ্যাদ্ধার মৃত্যু হইতে উত্তীর্ণ হইয়া বিস্তাদ্বারা অমৃত প্রাপ্ত হন । মৃত্যুকে প্রথমে উত্তীর্ণ হইতে হইবে, তাহার পরে অমৃতলাভ । সংসারের ভিতর দিয়া এই মৃত্যুকে উত্তীর্ণ হইতে হয়। কৰ্ম্মের মধ্যে প্রবৃত্তিকে যথার্থভাবে নিযুক্ত করিয়া আগে সেই প্রবৃত্তিকে ও কৰ্ম্মকে ক্ষয় করিয়া ফেলা, তার পরে ব্ৰহ্মলাভের কথা— ংসারকে বলপূৰ্ব্বক অস্বীকার করিয়া কেহ অমৃতের অধিকার পাইতে পারে না। কুৰ্ব্বল্লেবেছ কৰ্ম্মণি জিজীবিষেৎ শতং সমঃ । • এবং ত্বয়ি নানথেতোহস্তি ন কৰ্ম্ম লিপ্যতে নরে । কৰ্ম্ম করিয়৷ শতবৎসর ইহলোকে জীবিত থাকিতে ইচ্ছা করিবে;–হে নব, তোমার পক্ষে ইহার আর অন্তথা নাই ; কৰ্ম্মে লিপ্ত হইবে না, এমন পথ নাই । মানুষকে পূর্ণতালাভ করিতে হইলে পরিপূর্ণ জীব এবং সম্পূর্ণ কৰ্ম্মের প্রয়োজন হয়। জীবন, সম্পূর্ণ হইলেই জীবনের প্রয়োজন নিঃশেষ হইয়া যায়, কৰ্ম্ম সমাপ্ত হইলেই কৰ্ম্মের বন্ধন শিথিল হইয়া আসে । জীবনকে ও জীবনের অবসানকে, কৰ্ম্মকে ও কৰ্ম্মের সমাপ্তিকে এইরূপ অত্যন্ত সহজভাবে গ্রহণ করিতে হইলে যে কথাটি মনে রাথিতে হইবে, তাহ ঈশোপনিষদের প্রখমশ্লোকেই রহিয়াছে — 爵 ঈশ বাস্তমিদং সৰ্ব্বং মৃৎ কিঞ্চ জগত্যাং জগৎ । ঈশ্বরের দ্বারা এই জগতের সমস্ত যাহকিছু আচ্ছন্ন জানিবে—এবং তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জ থামা গৃধঃ কস্ত স্বিদ্ধনম্। তিনি যাহাত্যাগ করিতেছেন—তিনি যাহা দিতেছেন, তাহাই ভোগ করিবে, অন্ত কাহারো ধনে লোভ করিবে না। ংসারকে যদি ব্রহ্মের দ্বারা আচ্ছন্ন বলিয়া জানিতে পারি, তাহা হইলে সংসারের বিষ কাটিয়া যায়—তাহার সঙ্কীর্ণতা দূর হইয়া তাহার বন্ধন আমাদিগকে আঁটিয়া ধরে না । এবং সংসারের ভোগকে ঈশ্বরের দান বলিয়া গ্রহণ করিলে কাড়াকড়ি-মারামারি থামিয়া योंध्र ! 驗 穩 এইরূপে সংসারকে, সংসারের স্বথকে, কৰ্ম্মকে ও জীবনকে ব্ৰহ্ম-উপলব্ধির সঙ্গে যুক্ত করিয়া খুব বড় করিয়া জানাটা হইল সমাজরচনার, জীবননিৰ্ব্বাহের গোড়াকার কথা । ভারতবর্ষ এই ভূমার সুরেই সমাজকে বাধিবার চেষ্টা করিয়াছিল। সমাজকে বাধিয়। মানুষের আত্মাকে মুক্তি দিবার চেষ্টা করিয়াছিল । শরীরকে অপবিত্র বলিয়া পীড়া দিতে চায় নাই, সমাজকে কলুতি বলিয়া পরিহার করিতে চায় নাই,•জীবনকে অনিত্য বলিয়া অবজ্ঞা করিতে চায় নাই—সে সমস্তকেই ব্রহ্মের দ্বারা অখণ্ড-পরিপূর্ণ করিতে চাহিয়ছিল ।