63९ আবশ্বকের কাজ নহে, আমাদের খুসির কাজ হইয়া উঠিয়াছে। ইহাতে প্রকৃতির কাজের সঙ্গে আমাদের একটা মানসিক সম্বন্ধ বাড়িয়া গেছে। দেহের সঙ্গে দেহের বাহিরের শক্তির একটা সামঞ্জস্ত প্রাণের মধ্যে ঘটতেছে, আবার তাহার সঙ্গে ইচ্ছাশক্তির একটা সামঞ্জস্ত মনের মধ্যে ঘটিতেছে । ইহাতে মানুষের প্রকৃতিযন্ত্রের সাধনা বড় শক্ত হইয়া উঠিয়াছে। বিশ্বশক্তির সঙ্গে প্রাণশক্তির, স্বর অনেকদিন হইতে বাধিয়া চুকিয় গেছে, সেজন্ত বড় ভাবিতে হয় না, কিন্তু ইচ্ছাশক্তির স্বরবাধা লইয়া আমাদিগকে অহরহ ঝঞ্চট পোহাইতে হয় । খাদ্যসম্বন্ধে প্রাণশক্তির আবশুক হয় ত ফুরাইল, কিন্তু আমাদের ইচ্ছার তাগিদ শেষ হইল না—শরীরের আবশুকসাধনে সে যে আনন্দ পাইল, সেই আনন্দকে সে আবশ্বকের বাহিরেও টানিয়া লইয়া যাইতে চেষ্টা করিল— সে নানা কৃত্রিম উপায়ে বিমুখরসনাকে রসসিক্ত করিতে ও শ্রাস্ত পাকযন্ত্রকে উত্তেজিত করিতে লাগিল, এমনি করিয়া বাহিরের সহিত প্রাণের এবং প্রাণের সহিত মনের একতানত মষ্ট করিয়াসে নানা অনাবশ্যক চেষ্টা, অনাবশ্বক উপকরণ ও শাখাপল্লবায়িত দুঃখের স্বষ্টি করিয়া চলিল। আমাদের যাহা প্রয়োজন, তাহার সংগ্রহই ধথেষ্ট দুaহ, তাহার উপরে ভূরিপরিমাণ অনাবশ্বকের বোঝা চাপিয়া সেই আবণ্ডকের আয়োজনও কষ্টকর হইয়া উঠিয়াছে। শুধু তাঁহাই নয়—ইচ্ছা যখন একবার স্বভাবের সীমা লঙ্ঘন করে, তখন কোথাও তাহার আর থামিবার কারণ থাকে ন, তখন সে “ছবিৰ কৃষ্ণবক্সেব ভুয় এবাভিবৰ্বতে-কেবল সে চাই চাই করিয়া বাড়িয়াই ३छहकॉर्बे । [७é बई, ज*श** চলে। পৃথিবীতে নিজের এবং পরের পনেরুআনা দুঃখের কারণ ইহাই। অথচ এই ইচ্ছাশক্তিকেই বিশ্বশক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্তে আনাই আমাদের পরমানন্দের হেতু। এইজন্ত, ইচ্ছাকে নষ্ট করা আমাদের সাধনার বিষয় নহে, ইচ্ছাকে বিশ্ব-ইচ্ছার সঙ্গে একমুরে বাধাই আমাদের সকল শিক্ষার চরমলক্ষ্য। গোড়ায় তাহা যদি না করি, তবে আমাদের চঞ্চল মনে জ্ঞান লক্ষ্যভ্রষ্ট, প্রেম কলুষিত এবং কৰ্ম্ম বৃথা পরিভ্রান্ত হইতে থাকে। জ্ঞান, প্রেম ও কৰ্ম্ম বিশ্বের সহিত সহজ মিলনে মিলিত না হইয়া আমাদের আত্মম্ভরী ইচ্ছার কৃত্রিম স্বষ্টিসকলের মধ্যে মরীচিক-অমুসরণে নিযুক্ত হইতে থাকে। এইজন্ত আমাদের আয়ুর প্রথম ভাগে ব্ৰহ্মচৰ্য্যপালনধারা ইচ্ছাকে তাহার যথাবিহিত সীমার মধ্যে সহজে সঞ্চরণ করিবার অভ্যাস করাইতে হইবে । ইহাতেই আমাদের বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে মানসপ্রকৃতির সুর বাধা হইয়া আসিবে। তাহার পরে সেই স্বরে তোমার সাধ্যমত ও ইচ্ছামত যে-কোনো রাগিণী বাজাও না কেন, সত্যের স্বরকে, মঙ্গলের স্বরকে, আনন্দের স্বরকে আঘাত করিবে না। এইরূপে শিক্ষার • কাল যাপন করিয়া সংসারধৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইতে হইবে । মল্প বলিয়াছেন ঃ– न छtषष्ठiनि *कjtख न(निब्रड्वप्नदब्रl ॥ विषtबबू eवबूहेiनि पथ छicनन निजानः ॥ १ বিষয়ের সেবা না করিয়া সেরূপ সংযমন कब्र यांब्र न, विषtब्र मियूख थांकिब्रां ऊांप्नङ्ग षां ब्रां निखप्रभ्i cषिन ब्रिाह्म। ब्रि' षांश्नः ॥
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।