§§§ " জ্ঞানের ফলদান করে এবং সংসার হইতে সহায়তা গ্রহণ করে । এই দান-গ্ৰহণ সংসারীর মত একান্তভাবে করে না, মুক্ত ভাবে করে । অরশেষে আয়ুর চতুর্থভাগে এমন দিন আসে, যখন এই বন্ধনটুকুও ফেলিয়া একাকী সেই পরম একের সন্মুখীন হইতে হয়। মঙ্গলকৰ্ম্মের দ্বারা পৃথিবীর সমস্ত সম্বন্ধকে পুর্ণপরিণতি দান করিয়া আনন্দস্বরূপের সহিত চিরন্তন সম্বন্ধকে লাভ করিবার জন্ত প্রস্তুত হইতে হয়। পতিব্ৰতা স্ত্রী যেমন সমস্তদিন সংসারের নানা লোকের সহিত নানা সম্বন্ধ পালন করিয়া নানা কৰ্ম্ম সমাধা করিয়া স্বামীরই কৰ্ম্ম করেন, স্বামীরই সম্বন্ধ যথার্থভাবে স্বীকার করেন ; অবশেষে দিন-অবসান হইলে একে একে কাজের জিনিষগুলি তুলিয়"রাখিয়া, কাজের কাপড় ছাড়িয়া, গা ধুইয়া, কৰ্ম্মস্থানের চিন্তু মুছিয়া নিৰ্ম্মল মিলনবেশে একাকিনী স্বামীর সহিত একমাত্র পুর্ণসম্বন্ধের অধিকার গ্রহণ করিবার জন্য নির্জনগৃহে প্রবেশ করেন, সমাপ্তকৰ্ম্ম পুরুষ সেইরূপ প্রথমে একে একে কাজের জীবনের সমস্ত খণ্ডতা ঘুচাইয়া-দিয়া অসীমের সহিত সন্মিলনের জন্ত প্রস্তুত হইয় অবশেষে একাকী সেই একের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হন এবং সম্পূর্ণ জীবনকে এই পরিপূর্ণ সমাপ্তির মধ্যে অখণ্ড সার্থকতা দান করেন । এইরূপেই মানবজীবন আম্বোণাস্ত সত্য হয়,জীবন মৃত্যুকে णब्बन कब्रिप्ङ दूथ cछड़े क८ब्र ना ७ वृङ्का শঙ্কপক্ষের স্থায় জীবনকে আক্রমণ করিয়া বলপূর্বক পরাস্ত করে না। জীবনকে আর • जांबब्र cशबन पब्रिग्राहे थ७विथ७-यिक्रिखं बजचलन । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, অগ্রহারণ করি—অন্ত যে-কোনো অভিপ্রায়কেই আমরা চরম বলিয়া জ্ঞান করি এবং তাঁহাকে আমরা দেশ-উদ্ধার, লোকহিত বা যে-কোনো বড় নাম দিই না কেন, তাহার মধ্যে সম্পূর্ণত থাকে না - তাহা আমাদিগকে মাঝপথে অকস্মাৎ পরিত্যাগ করে, তাহার মধ্য হইতে এই প্রশ্নই কেবলি বাজিতে থাকে— ততঃ কিম, ততঃ কিম, ততঃ কিম্। আর ভারতবর্ষ চারি আশ্রমের মধ্য দিয়া মানুষের জীবনকে বাল্য, যৌবন, প্রৌঢ়বয়স ও বাৰ্দ্ধক্যের স্বাভাবিক বিভাগের অনুগত করিয়া অধ্যায়ে অধ্যায়ে যেরূপ একমাত্র সমাপ্তির দিকে লইয়া গিয়াছেন, তাহাতে বিশাল বিশ্বসঙ্গীতের সহিত মামুষের জীবন অবিরোধে সম্মিলিত হয়। বিদ্রোহ-বিরোধ থাকে না ; অশিক্ষিত প্রবৃত্তি আপনার উপযুক্ত স্থানকাল বিস্মৃত হইয়া যে সকল গুরুতর অশাস্তির স্বষ্টি করিতে থাকে, তাহারই মধ্যে বিভ্রান্ত ও নিখিলের সহিত সহজ-সত্যসম্বন্ধ-ভ্ৰষ্ট হইয়া পৃথিবীর মধ্যে উৎপাতশ্বরূপ হইয়া উঠিতে হয় না। আমি জানি, এইখানে একটা প্রশ্ন উদয় হইবে যে, একটা দেশের সকল লোককেই কি এই আদর্শে গড়িয়া তোলা যায় ? তাহার উত্তরে আমি এই কথা বলি যে, যখন ঘরে আলো জলে, তখন কি গিলমুজ হইতে আরম্ভ করিয়া পলিত পৰ্য্যন্ত প্রদীপের সমস্তটাই জলে । জীবনযাপনসম্বন্ধে, ধৰ্ম্মসম্বন্ধে যে দেশের যে-কোনো আদর্শই থাকু না কেন, তাহ সমস্ত দেশের মুখাগ্রভাগেই উজ্জলন্ধপে প্রকাশ পায়। কিন্তু পলিতার ডগাটাক্ষত্র জলাকেই সমস্ত দ্বীপের জল বলে। তেমনি , দেশের এক অংশমাত্র যে ভাবকে পূর্ণরূপে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।