नबश्च शश्] ।। ] . কবির সৌন্দর্য্যরসপিপাসু চিত্ত তৃপ্তিলাভ কৰিয়াছে। কুমারসম্ভবের কবি অকালবসন্থের আকস্মিক উংসবে, পুষ্পশরের মোহবর্ষণের মধ্যে হরপাৰ্ব্বতীর মিলনকে চূড়ান্ত করিরা তোলেন নাই। স্ত্রীপুরুষের উন্মত্ত সংঘাত হইতে যে আগুন জলিয়া উঠিয়াছিল, সেই প্রলয়াগ্নিতে আগে তিনি শাস্তিধারা বর্ষণ করিয়াছেন, তবে ত মিলনের প্রতিষ্ঠা করিতে পারিলেন । কবি গৌরীর প্রেমের সর্বাপেক্ষা কমনীয়মূৰ্ত্তি তপস্তার অগ্নির দ্বারাই উজ্জ্বল করিয়া দেখাইয়াছেন। সেখানে বসন্তের পুষ্পসম্পদ স্নান, কোকিলের মুখরতা স্তব্ধ। অভিজ্ঞানশকুন্তলেও প্রেয়সী যেখানে জননী হইয়াছেন, বাসনার চাঞ্চল্য যেখানে বেদনার তপস্তায় গাম্ভীৰ্য্যলাভ করিয়াছে, যেখানে অমুতাপের সঙ্গে ক্ষমা আসিয়া মিলিয়াছে, সেইখানেই রাজদম্পতির মিলন সার্থক হইয়াছে। প্রথম মিলনে প্রলর, দ্বিতীয় মিলনেই পরিত্রাণ। এই দুই কাব্যেই শান্তির মধ্যে, মঙ্গলের মধ্যে যেখানেই কবি সৌন্দর্য্যের সম্পূর্ণতা দেখাইয়াছেন, সেখানেই ঠাহীর তুলিক বর্ণবিরল, র্তাহীর বীণ অপ্ৰমত্ত । o বস্তুত সৌন্দর্য্য যেখানেই পরিণতিলাভ করিয়াছে, সেখানেই সে আপনার প্রগল্ভত৷ দূর করিয়া দিয়াছে। সেখানেই ফুল আপনার বর্ণগন্ধের বাহুল্যকে ফলের গুঢ়তর মাধুর্য্যে পরিণত করিয়াছে ; সেই পরিণতিতেই সৌন্দর্ঘ্যের সহিত মঙ্গল একাঙ্গ হইয়া উঠিয়ছে। - • সৌন্দৰ্য্য ও মঙ্গলের এই সম্মিলন যে , দেখিয়াছে, সেভোগবিলাসের সঙ্গে সৌন্দৰ্য্যকে সৌন্দৰ্য্যবোধ ! . 8లిసి কখনই জড়াইয়া রাখিতে পারে না। তাহার জীবনযাত্রার উপকরণ শাদাসিধা হইয়া থাকে ; সেটা সৌন্দর্য্যবোধের অভাব হইতে হয় না, প্রকর্ষ হইতেই হয়। অশোকের প্রমোদ-উদ্যান কোথায় ছিল ? তাহার রাজবাড়ীর ভিতের কোনো চিকুও ত দেখিতে পাই না । কিন্তু অশোকের রচিত স্ত,প ও স্তম্ভ বুদ্ধগয়ার বোধিবটমূলের কাছে দাড়াইয়ু আছে। তাহার শিল্পকলা ও সামান্ত নহে। যে পুণ্যস্থgন ভগবান বুদ্ধ মানবের দুঃখনিবৃত্তির পথ আবিষ্কার করিয়াছিলেন, রাজচক্রবর্তী অশোক সেইখানেই, সেই পরমমঙ্গলের স্মরণক্ষেত্রেই কলাসৌন্দর্যের প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। নিজের ভোগকে এই পূজার অৰ্ঘ্য তিনি এমন করিয়ী দেন নাই। এই ভারতবর্ষে কত দুৰ্গম গিরিশিখরে, কত নির্জন সমুদ্রতারে কত দেবালয়, কত কলাশোভন পুণ্যকীৰ্ত্তি দেখিতে পাই, কিন্তু হিন্দুরাজাদেয় বিলাসভবনের স্মৃতিচিহ্ল কোথায় গেল ? রাজধানী-নগর ছাড়িয়া অরণ্যপৰ্ব্বতে এই সমস্ত সৌন্দৰ্য্যস্থাপনার কারণ কি ? কারণ মুছে । সেখানে মানুষ নিজের সৌন্দৰ্য্যস্থষ্টির দ্বার নিজের চেযে বড়র প্রতিই বিস্ময়পূর্ণ ভক্তি প্রকাশ করিয়াছে। মানুষের রচিত সৌন্দর্য্য দাড়াইয় আপনার চেয়ে বড় সৌন্দৰ্য্যকে দুই হাত তুলিয়া অভিবাদন . করিতেছে ; নিজের সমস্ত মহত্ব দিয়া নিজের চেয়ে মহন্তঃকেই নীরবে প্রচার করিতেছে। মানুষ এই সকল কারুপরিপূর্ণ নিস্তব্ধভাষার দ্বার, বলিয়াছে—দেখ, চাহিয়া দেখ, যিনি সুন্দর র্তাহাকে দেখ, যিনি মহান তাহাকে দেখ! সে এ কথা বলতে চুহে নাই যে, আমি কত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।