বড় ভোগী, সেইটে দেখিয়া লও! সে বলে নাই, জীবিত অবস্থায় আমি যেখানে বিহার করিতাম সেখানে চাও, মৃত অবস্থায় আমি যেখানে মাটিতে মিশাইয়াছি সেখানেও আমার মহিমা দেখ ! জানি না, প্রাচীন হিন্দুরাজারা নিজেদের প্রমোদভবনকে তেমন করিয়া অলঙ্কত করিতেন কি না ; অন্তত ইহা নিশ্চয় যে, হিন্দুজাতি সেগুলিকে সমাদর করিয়া রক্ষা করে নাই ;–যাহাদের গৌরবপ্রচারের জন্য তাহারা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহাদের সঙ্গেই আজ সে সমস্ত ধূলায় মিশাইয়াছে! কিন্তু মানুষের শক্তি, মানুষের ভক্তি যেখানে নিজের সৌন্দৰ্য্যরচনাকে ভগবানের মঙ্গলরুপের বামপার্থে বসাইয়া ধন্ত হইয়াছে, সেখানে সেই মিলনমন্দিরগুলিকে অতি দুর্গমস্থানেও আমরা রক্ষা করিবার চেষ্টা করিয়াছি। মঙ্গলের সঙ্গেই সৌন্দর্য্যের, বিষ্ণুর সঙ্গেই লক্ষ্মীর মিলন পুর্ণ। সকল সভ্যতার মধ্যেই এই ভাবটি প্রচ্ছন্ন আছে। এক দিন নিশ্চয় আসিবে, যখন সৌন্দৰ্য্য ব্যক্তিগত স্বার্থের দ্বারা বদ্ধ, ঈর্ষার খারা বিদ্ধ, ভোগের দ্বারা জীর্ণ হইবে না, শান্তি ও মঙ্গলের মধ্যে নিৰ্ম্মলভাবে মুক্তি পাইবে। সৌন্দৰ্য্যকে আমাদের বাসনা হইতে, লোভ হইতে স্বতন্ত্র করিয়া না দেখিতে পাইলে তাহাকে পূর্ণভাবে দেখা হয় না। সেই অশিক্ষিত ‘ অসংযত ও সম্পূর্ণ দেখায় আমরা যাহা দেখি, তাহাতে আমাদিগকে তৃপ্তি দেয় না, তৃষ্ণাই দেয় ; খাদ্য দেয় না, মদ খাওয়াইয়া আহারের স্বাস্থ্যকর, অভিরুচি পৰ্যন্ত নষ্ট করিতে থাকে। to এই আশঙ্কাবশতই নীতিপ্রচারকের बजगार्मि । " (லி বর্ষ, cशौष । দেন। পাছে লোকসান হয় বলিয়া লাভের পথ মাড়াইতেই নিষেধ করেন। কিন্তু ধর্থার্থ উপদেশ এই যে, সৌন্দর্য্যের পুর্ণ অধিকার পাইব বলিয়াই সংযমসাধন করিতে হইবে । ব্ৰহ্মচর্য্য সেইজন্তই—পরিণামে শুষ্কতালাভের জন্ত নহে } সাধনার কথা যখন উঠিল, তখন প্রশ্ন হইতে পারে, এ সাধনার সিদ্ধি কি ? ইহার শেষ কোনখানে ? আমাদের অদ্যান্ত কৰ্ম্মেন্দ্রিয় ও জ্ঞানেন্দ্রিয়ের উদ্দেশু বুঝিতে পারি, কিন্তু সৌন্দর্য্যবোধ কিসের জন্ত আমাদের মনে স্থান পাইয়াছে ? ' এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হইলে সৌন্দর্য্যবোধের রাস্তাটা কোনদিকে চলিয়াছে, সে কথাটার আর একবার সংক্ষেপে আলোচনা করিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য । সৌন্দর্যবোধ যখন শুদ্ধমাত্র আমাদের ইন্দ্রিয়ের সহায়ত লয়, তখন যাহাকে আমরা সুন্দর বলিয়া বুঝি, তাহা খুবই স্পষ্ট, তাহ দেখিবামাত্রই চোখে ধরা পড়ে। সেখানে আমাদের সমুখে একদিকে মুন্দর ও আরএকদিকে অসুন্দর, এই দুইয়ের দ্বন্দ্ব একেবারে স্বনিদিষ্ট । তার পরে বুদ্ধিও যখন সৌন্দর্য্যবোধের সহায় হয়, তখন সুন্দর-অসুন্দরের ভেদটা দুরে গিয়া পড়ে। তখন যে জিনিষ আমাদের মনকে টান, সেটা হয় ত চোখ মেলিবামাত্রই দৃষ্টিতে পড়িবার যোগ্য বলিয়া মনে ন হইতেও পারে । আরম্ভের সহিত শেষের, প্রধানের সহিত অপ্রধানের, এক ংশের সহিত অন্ত অংশের গুঢ়তধ সামঞ্জস্ত দেখিয়া যেখানে আমরা আনন্দ পাই, সখানে সৌন্দর্ঘ্যকে দূর হইতে নমস্কার করিতে উপদেশ আমরা চোখণ্ডুলানো সৌন্দর্ঘ্যেরদাসখত তেমন
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।