পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मक्क्वाञ्च।1 बॉब्रांगनी-जखियूप्थ। 息楼尊 আমরা নীচে রহিয়াছি—আমাদের নিকট স্বৰ্য্য, অস্তমিত ; কিন্তু বৃহৎ মন্দিরচুড়াটি স্বৰ্য্যকে এখনো,দেখিতে পাইতেছে —উহার সমস্ত অংশই গোলাপী আভায় উদ্ভাসিত । মনে হইল, পবিত্র বানরদিগের সান্ধ্যভ্রমণের ঠিক এই সময় । উহাদের মধ্যে প্রথমটি পবিত্র প্রাচীরের উপরে আসিয়া উপস্থিত হইল, এবং প্রাচীরের একটি দস্তুর অংশের উপর উঠিয়া বসিয়া গা চুলকাইতে লাগিল। প্রাচীরের শিখরদেশে দেবদানবের ছোট ছোট মুক্তি ইতস্তত খোদিত রহিয়াছে ; বানরটা যদি না নড়িত, তাহ হইলে উহাকে উহাদেরই একটি বলিয়া মনে হইত, সন্দেহ নাই। তাহার পর, আর একটা বানর বাহির হইয়া পাশ্ববৰ্ত্তী অঙ্গ এক দস্তুর-অংশের অগ্রভাগে আসিয়া বসিল ; এইরূপে তিনটা, পরে চারিট বানর আসিয়া বসিল ; প্রাকারের দস্তুরাংশগুলি কপিবৃন্দে বিভূষিত হইল।” অতি শীঘ্রই বেলা পড়িয়া আসিল ; ধূসর ও পুরাতন মন্দিরের শুধু চুড়ার অগ্রভাগটি গোলাপী-আভার রঞ্জিত হইয়া রহিল। প্রাচীরের উপর,—প্রস্তরবর্ণের বানর, বানরবর্ণের ছোট ছোট খোদিত প্রস্তরমূৰ্ত্তি ও শকুনিবৃন্দ । আকাশে – কাক ও পায়রার ঝাকৃ বৃহৎ চক্রাকারে পাক্ দিতে দিতে, ক্রমে তাহাদের কক্ষপথ সঙ্কীর্ণ করিয়া অনিয়া, চুড়াশিখরস্থ পিত্তলবিম্বের চারিধারে ঘুরিতে আরম্ভ করিল। এইবার বানরদিগের প্রস্থান করিবার সময়। উহাদের মধ্যে একটা বানর .পিছলাইতে পিছলাইতে নীচে নামিয়া মাটার উপর লাফাইয়া পড়িল ; এবং খৃষ্টতাসহকারে রাস্ত পার হইয়া বিক্রেতাদলের মধ্যে গিয়া উপস্থিত হইল ; বিক্রেতাগণ পথ ছাড়িয়া দিল । অন্ত বানরগুলা তাহার পিছনে-পিছনে সারিবন্দি হইয়া চার পায়ে চলিতে লাগিল । দেখিলে মনে হয়, যেন কতকগুলা কুকুর,— কেবল পিছনের পা তাহীদের অপেক্ষা বেশী উচ্চ—উৰ্দ্ধপুচ্ছ হইয়া লাফাইতে লাফাইতে চলিয়াছে। যাইতে যাইতে প্রথম বামরটা বাজারের ঝুড়ি হইতে একটা কুল চf করিল ; পরবর্তী বানরগুলাও সেই একস্থান হইতেই ঐরুপ চুরি করিল ; দোকানদার প্রতিবারই কোন আপত্তি না করিয়া তাহাদের অভিবাদন করিল। এক্ষণে উহার চটুলভাবে একটা বাড়ীর গা বাহিয়া উঠিয়া দূরে চলিয়া গেল এবং ছাদের উপর দিয়া কোথায় অদৃশু হইয়া পড়িল । বহিদিকে, মন্দিরপ্রাকারের গায়ে, তালতরুর ডালপালা ও দৰ্ম্ম দিয়া নিৰ্ম্মিত প্রহরিস্থানের দ্যায় একটা ঘরে পাণ্ডবের একটা মূৰ্ত্তি—দুইমানুষপ্রমাণ উচ্চ, দেখিতে ভীষণ, , কৃষ্ণবর্ণ, লম্বা-লম্বা দাত, হা করিয়া রহিয়াছে । একজন বৃদ্ধ পুরোহিত একটা পাদপীঠের উপর উঠিয়া তাহার গলায় হলদে ফুলের

  • মালা পরাইয়া দিল ; তাঙ্গর সম্মুখে একটা

প্রদীপ জালিল, একটা ছোট ঘণ্টা বাজাইল, প্রণাম করিল, তাহার পর একটা মশারির মধ্যে বদ্ধ করিয়া, তাহাকে আবার প্রণাম করিতে করিতে প্রস্থান করিল। কি-একটা দ্রুতগামী ও ভুলক্ষ্য জিনিষ্ণুে হাওয়া অামার মুখে লাগিল! একটা বাড় অসময়ে বারি হইয়া, খুব নিম্নদেশে উড়িয়া বেড়াইতেছে ; জনতার মধ্যে বেশ বিশ্বস্তভাবে যাওয়া-জাগা করিতেছে।