পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नवृश शरैषn । ] কত দৃপ্ত নিয়ত লোকলোচনে প্রতিভাত হয় ; লোকে তাহ লক্ষ্য করিতে জানে না। জানিলে, বিশ্বনাট্যের স্তায় কোন নাট্য ;-তাহাতেই লোকসমাজের সকল শিক্ষা সুসম্পন্ন হইতে পারিত। জানে না বলিয়াই, দৃপ্তকাব্যের অভিনয়ব্যাপার তাহাদের সম্মুখে বিশ্বনাট্যের দৃগুপট উদঘাটিত করিবার চেষ্টা করিয়া পাকে। ইহাই যে ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের লক্ষ্য, নাট্যাচাৰ্য্য ভরতমুনি নাট্যশাস্ত্রের মুখবন্ধে নাট্যোৎপত্তিপ্রসঙ্গে তাহা বিশদভাবে ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন । © ."তন্মাৎ স্বজাপর বের পঞ্চম সাৰ্ব্ববর্ণিকম।” “অতএব সকল বর্ণের—সৰ্ব্বসাধারণের তুলাভাবে শিক্ষালাভের উপায়স্বরূপ—অপর ( পঞ্চম ) বেদের স্বষ্টি করুন”, এই বলিয়া দেবরাজ লোকপিতামহের শরণাপন্ন হইলে, ব্ৰহ্মা নাট্যবেদের রচনা করিরছিলেন। নাট্যশাস্ত্রের এই আখ্যায়িক কবিকল্পিত হইলেও, ইহাতেই ভারতীয় নাট্যসূচিত্যের উৎপত্তির কথা আখ্যায়িকাচ্ছলে বিবৃত রহিয়াছে । পাশ্চাত্য পণ্ডিতবর্গ নাট্যোংপত্তির অন্তরূপ ইতিহাস লিপিবদ্ধ করিয়া থাকেন। র্তাহার অনুমান করেন,—পুরাকালের অসভ্যসমাজকে যাগযজ্ঞে আকৃষ্ট ও নিবিষ্ট রাখিবার উদ্দেশ্যে নৃত্যগীতের অবতারণা করা হইত, তাহ হইতেই নাট্যের উৎপত্তি। সকল দেশেই সেই কথা,—ভারতবর্ষেও , তাহাই,-সেই জন্য নৃত্য-শব্দ হইতে নাট্য-শব্দ, তাহ অসংস্থত। এই অনুমানমূলক ব্যাখ্যা নুতন বটে। ইহা ভারতীয় সংস্কৃতসাহিত্যে অপরিজ্ঞাত। ংস্কৃত নাট্যসাহিত্যের বিশেষত্ব। §§§ এক্ষণে আমাদের শিক্ষিতসমাজেও সমাদরলাত্ত করিতেছে। নৃত্য এবং নাট্য এক নহে,—উভয়ের মধ্যে ব্যুৎপত্তিগত সংস্রব নাই, বিষয়গত আংশিক সাদৃপ্ত থাকিলেও, পার্থক্যের অভাব নাই। নাট্যে নৃত্য আছে,-তাহা নাট্যের অঙ্গীভূত । নৃত্যে নাট্য নাই। অতি পুরাতন, ভারতীয় সাহিত্যেও নৃত্য এবং নাট্য পৃথকৃভাবে উল্লিখিত রহিয়াছে। লোকব্যবহার লক্ষ্য করাইয়া লোকশিক্ষার উপায়নিৰ্দেশ করাই যে নাট্যসাহিত্যের প্রকৃত উদ্দেশু, তাহা নাট্যশাস্ত্রে সুস্পষ্ট প্রতিভাত। প্রথম নাট্যবস্তু দেবামুরের সমরকলহের লোকব্যবহার।. তাহ পাপপুণ্যের সমরলীলা। প্রথম হইতে শেষ পৰ্য্যস্ত সংস্কৃতনাট্যসাহিত্যের সকল রচনাযুগেই নানা আখ্যানবস্তুর ভিতর দিয়া সেই এক কথাই নানাভাবে বর্ণিত। এই পাপপুণ্যের মহাসমর সংসারের একমাত্র কঠিন সংগ্রাম। জীবমাত্র ইহাতে লিপ্ত হইতে বাধ্য । ইহাতে জয়লাভ করিতে পারিলে, ইছপরলোকের পরম কল্যাণ ইহাতে পরাভূত হইলে, ইং: - পরলোকের সকল কল্যাণ পরাভূত হইয়া যায়। ইহা সকলের পক্ষেই মহাশিক্ষা । যাহার গ্রন্থপাঠে অসমর্থ, তাহারা কি এই মহাশিক্ষালাভে বঞ্চিত রহিবে ? এই কথা যখনই ভারতবর্ষের ঋষিসমাজকে চিন্তাযুক্ত · করিয়াছিল, তখনই সাৰ্ব্ববর্ণিক পঞ্চমবেদের স্বষ্টি হইয়াছিল। নাট্যাচাৰ্য্য যে আখ্যায়িকার উল্লেখ করিয়াছেন, তাহাতে এই কথাই স্বচিত ইষ্টা রহিয়াছে । বিদেশীগত অভিনব পণ্যদ্রব্যের স্তায় ইহা মলভ \ ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের ন্যায় বিপুল নাট্য এবং চাকুচিক্যময় ; সুতরাং এই অক্ষমান