இல்ல बजमत्रब ।। [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, মাধ। SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS কোনো কারণ ছিল না। টানে ত টানে, আমার তাহাতে কি ? আমার তাহাতে এই, জগংচরাচরের এই ব্যাপক ব্যাপারকে আমার বুদ্ধির মধ্যে পাইলাম—সৰ্ব্বত্রই আমার বুদ্ধিকে অনুভব করিলাম। আমার বুদ্ধির সঙ্গে ধূলি হইতে স্বৰ্য্যচন্দ্রতার সবটা মিলিল। এমূনি করিয়া অন্তহীন জগৎরহস্ত মানুষের বুদ্ধিকে বাহিরে টানিয়া-অনিয়া মানুষের কাছে তাহাকে বেশি করিয়া প্রকাশ করিতেছে— নিখিল চরাচরের সঙ্গে মিলাইয়। আবার তাহা মানুষকে ফিরাইয়া দিতেছে। সমস্তের সঙ্গে এই বুদ্ধির মিলনই জ্ঞান। এই মিলনেই আমাদের বোধশক্তির আনন্দ। তেমনি সমস্ত মানুষের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে আপনার মনুষ্যত্বের মিলনকে পাওয়াই মানবাত্মার স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম এবং তাছাতেই তাহার যথার্থ আনন্দ । এই ধৰ্ম্মকে পূর্ণচেতনরূপে পাইবার জন্যই অন্তরে-বাহিরে কেবণুি বিরোধ ও বাধার ভিতর দিয়াই তাহাকে চলিতে হয়। এইজন্তই স্বার্থ এত প্রবল, আত্মাভিমান এত অটল, সংসারের পথ এত দুর্গম । এই সমস্ত বাধার ভিতর দিয়া যেখানে মানবের ধৰ্ম্ম সমুজ্জল হইয়া পুর্ণমুন্দররপে সবলে নিজেকে প্রকাশ করে, সেখানে বড় আনন। সেখানে আমর আপনাকেই বড় করিয়া পাই। মহাপুরুষদের জীবনী এইজন্তই আমরা পড়িতে চাই। র্তাহাদেৱ চরিত্রে আমাদের নিজের বাধাযুক্ত আচ্ছন্ন প্রকৃতিকেই মুক্ত ও প্রসারিত দেখিতে পাই। ইতিহাসে অমরা আমাদেরই স্বভাবকে নানা লোকের নানা পরিমাণে ও নানা আকারে দেখিয়। রস পাইতে থাকি। তখন আমি স্পষ্ট করিয়া বুঝি বা না বুঝি, মনের মধ্যে স্বীকার করিতে থাকি সকল মানুষকে লইয়াই আমি এক—সেই ঐক্য যতটা-মাত্রায় আমি ঠিকমত অনুভব করিব, ততটা-মাত্রায় আমার মঙ্গল, আমার আনন্দ । কিন্তু জীবনীতে ও ইতিহাসে আমরা সমস্তটা আগাগোড়া স্পষ্ট দেখিতে পাই না। তাহাও অনেক বাধায়ু, অনেক সংশয়ে ঢাকা পড়িয়া আমাদের কাছে দেখা দেয়। তাহার মধ্য দিয়াও আমরা মানুষেয় যে পরিচয় পাই, তাহা খুব বড়, সন্দেহ নাই ; কিন্তু সেই পরিচয়কে আবার আমাদের মনের মত করিয়া, তাহাকে আমাদের সাধ মিটাইয়। সাজাইয়া চিরকালের মত ভাষায় ধরিয়া রাখিবার জন্ত আমাদের অস্তরের একটা চেষ্টা আছে। তেমনি করিতে পারিলে তবেই সে যেন বিশেষ করিয়া আমার হইল। তাহার মধ্যে সুন্দর ভাষায়, সুরচিত নৈপুণ্যে অামার প্রতিকে প্রকাশ করিতেই সে মানুষের হৃদয়ের সামগ্ৰী হইয়া উঠিল। সে আর এই সংসারের আনাগোনার স্রোতে ভাসিয়া গেল না । • এমুনি করিয়া, বাহিরের যে সকল অপরূপ প্রকাশ,—তাহা স্বৰ্য্যোদয়ের ছটা হউকৃ ৰ৷ মহৎ চরিত্রের দীপ্তি হউকু বা নিজের অগুরের আবেগ হউক,—যাহ-কিছু ক্ষণে-ক্ষণে আমাদের হৃদয়কে চেতাইয়া তুলিয়াছে: হৃদয় তাহাকে নিজের একটা স্বষ্টির সঙ্গে জড়িত করিয়া আপনার বলিয়া তাহাকে অঁাকৃড়িয়া মধুে নানা দেশে নানা কালে নানা ঘটনায় রাখে। এমুনি করিয়া সেই সকল উপলক্ষ্যে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।