Sæb' বর বা এলিজাবেথ উপলক্ষ্যমাত্র ; যে জানে, মানুষ সমস্ত ইতিহাসের মধা দিয়া নিজের গভীরতম অভিপ্রায়কে নানা সাধনায়, নানা ভুল ও নানা সংশোধনে সিদ্ধ করিবার জন্য কেবলি চেষ্টা করিতেছে ; যে জানে, মানুষ সকল দিকেই সকলের সহিত বৃহৎভাবে যুক্ত হইয়া নিজেকে মুক্তি দিবার প্রয়াস পাইতেছে ; যে জানে, স্বতন্ত্র, নিজেকে রাজতন্ত্রে ও রাজতন্ত্র হইতে গণতন্ত্রে সার্থক করিবার জন্ত যুঝিয়া মরিতেছে ;-মানব বিশ্বমানবের মধ্যে আপনাকে ব্যক্ত করিবার জন্ত ; ব্যষ্টি, সমষ্টির মধ্যে আপনাকে উপলব্ধি করিবীর জন্য নিজেকে লষ্টয়া কেবলি ভাঙাগড়া করিতেছে ; সে ব্যক্তি মানুষের ইতিহাস হইতে, লোকবিশেষকে নহে, সেই নিত্যমানুষের নিত্যসচেষ্ট অভিপ্রায়কে দেখিবারই চেষ্টা করে। সে কেবল তীর্থের যাত্রীদের দেখিয়াই ফিরিয়া আসে না—সমস্ত যাত্রীলা যে একমাত্র, দেবতাকে দেখিবার জন্ত নানাদিকৃ इहेर्ड আসিতেছে, তাহাকে দর্শন করিয়া তবে সে ঘরে ফেরে। তেমনি সাহিত্যের মধ্যে মানুষ আপনার আনন্দকে কেমন করিয়া প্রকাশ করিতেছে, এই প্রকাশের বিচিত্রমূৰ্ত্তির মধ্যে মানুষের আত্মা আপনার কোন নিত্যরূপ দেখাইতে চায়, তাহাই বিশ্বসাহিত্যের মধ্যে যথার্থ দেখিবার জিনিষ। , সে আপনাকে রোগী, না ভোগী, না যোগী, কোন পরিচয়ে পরিচিত করিতে আনন্দযোধ করিতেছে ; জগতের মধ্যে মাঙ্গুষের আত্মীয়তা কতদূর পর্য্যস্ত সত্য হইয়া উঠিল, অর্থাৎ সত্য কতদূর পর্য্যস্ত তাছার আপনার হইয়া উঠিল, ইছাই জানিবার জন্ত बछबलॉन । [ ७छे बई, मtष । এই সাহিত্যের জগতে প্রবেশ করিতে হইবে। ইহাকে কৃত্রিম রচনা বলিয়া জানিলে হইবে না ; ইহা একটি জগৎ ; ইহার তত্ত্ব আমাদের কোনো ব্যক্তিবিশেষের আয়ত্তাধীন নহে ; বস্তুজগতের মত ইহার স্বষ্টি চলিয়াছেই ; অথচ সেই অসমাপ্ত স্বষ্টির অন্তরতম স্থানে একটি সমাপ্তির আদর্শ আচল হইয় আছে। সুৰ্য্যের ভিতরের দিকে বস্তুপিণ্ড আপনাকে তরল-কঠিন নানা ভাবে গড়িতেছে, সে আমরা দেখিতে পাই না—কিন্তু তাহাকে ঘিরিয়া আলোকের মণ্ডল সেই স্বৰ্য্যকে কেবলি বিশ্বের কাছে ব্যক্ত করিয়া দিতেছে। এইথানেই সে আপনাকে কেবলি দান করিতেছে, সকলের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করিতেছে। মানুষকে যদি আমরা সমগ্রভাবে এম্নি করিয়া দৃষ্টির বিষয় করিতে পারিতাম, তবে তাহাকে এষ্টরূপ স্বৰ্য্যের মতই দেখিতাম । দেখিতাম, তাহার বস্তুপিণ্ড ভিতরে-ভিতরে ধীরে-ধীরে নানা স্তরে বিন্যস্ত হইয়া উঠিতেছে; আর তাছাকে ঘিরিয়া একটি প্রকাশের জ্যোতিৰ্ম্মণ্ডলী নিয়তই আপনাকে চারিদিকে বিকীর্ণ করিয়াই আনন্দ পাইতেছে। সাহিত্যকে মানুষের চারিদিকে সেই ভাষারচিত প্রকাশমণ্ডলীরূপে , একবার দেখ। এখানে জ্যোতির ঝড় বহিতেছে, জ্যোতির উৎস উঠিতেছে, জ্যোতির্বাম্পের সংঘাত ঘটিতেছে। লোকালয়ের পথ দিয়া চলিতে চলিতে বখন দেখিতে পাও, মানুষের অবকাশ নাই ; মুদী দোকান চালাইতেছে ; কামার লোহ পিটিতেছে ; মজুর বোঝা লইয়া চলিয়াছে : & বিষয়ী আপনার খাতার হিসাব মিলাইতেছে ;
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।