পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९०२ बछत्रश्र्नब ।। ['७छै रं, भांषि । দেখা যায়, সদ্যোমৃত দেহের অন্ত্র সকল সচল ও খাদ্যহজমে রত। তড়িৎপ্রবাহ দিলে তখনও মাংসপেশী সঙ্কুচিত হয়। ক্রমে সমস্ত দেহের সর্বাংশের সামঞ্জস্ত অভাবে সে ক্ষমতাও ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইয়া থাকে। কোষগুলি সবই মরিয়া যায় ও আপরমাণু দেহটি জড় হইয়া পড়ে । অতএব দেখা গেল, সমস্ত দেহের জীবন যখন বাহির হইয়া গেছে—তার পরমাণুগুলি তখনও মরে নাই। যাদের লইয়া তার জীবন, তারা অনেকে সশরীরে এখনও বিদ্যমান। তবে সে দেহ ছাড়িয়া তপনি-তখনি পৃথকৃ এক আত্মা যাবে কোথা । গুনেছিলাম, এইরূপ অবস্থায় অন্ধকার ঘরে মৃতদেহের ফটো তুলিলে এক অদৃশ্য রশ্মি actinic rays. সস্তৃত তাহার প্রস্থানশীল সুক্ষশরীরের ছবি পাওয়া যায় । সিনেট সাহেব “পাইওনিয়র” কাগজের সম্পাদক ছিলেন—তিনি এই সকল ভৌতিক ব্যাপারের আলোচন৷ *fast “Spirit Photography” অর্থাৎ আত্মার ফটোগ্রাফ লওয়ার সম্বন্ধে একখানি বই লিখিয়াছেন । এই সকল মহৎ তত্ত্ব প্রমাণ করিয়া দিতে পারেন, এই রূপ উপযুক্তবোধে,কিন্তু যার কাছে গিয়াছি— নিরাশ হইয়: ফিরিতে হইয়াছে। Spirit invoke বা 'ভূতনাবান-ব্যাপারও এইরূপ। এ দুরূহ বিষয়ু, মীমাংসার জন্ত লোকের কাছ হ’তে কত আশার কথা শুনা যায়, কিন্তু কিছুই এ পর্য্যন্ত শেষ অবধি টিকে নাই। তাই নিরাশ হইয়া এ পথে আসিয়া খুঁজিরছি । g

  • , এ পথটি কি ? সেই অতি বিস্ময়কর

জীবনমৃত্যু বিষয়েরই আলোচনা । কিন্তু ভিন্ন প্রকারে আলোচিত । যে সকল প্রমাণ চক্ষু কৰ্ণ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়ের গোচর ও অকাট্য এবং যাহা দেখিলে বা শুনিলে সহজেই বুঝা যায় ।—ডাক্তার বসুর “উদ্ভিদের সাড়া” নামক পুস্তকে এ বিষয়ের বিশেয আলোচনা আছে। সাড়া পাওয়াই জীবনের প্রধান লক্ষণ । এখানে “সাড়া” মানে শব্দ করিয়া সাড়া জ্ঞাপন করা নহে । নড়িয়া বা সঙ্কুচিত হইয়া, বা তড়িৎপ্রবাহ ছটাইয়া পরিবর্তন জ্ঞাপন করা ; যখন শত ডাকে ও সাড়া পাওয়! যায় না তখনই বুঝিতে হুইবে জীবনের অবসান হইয়াছে । এই সাড়া জ্ঞাপন করিবার জন্ত তিনি একটি অদ্ভুত উপায় আবিষ্কার কুরিয়াছেন। তাহাতে স্থস্ন হইতে স্বযুদ্রতম সাড়া ও জানা যায়। সে যন্ত্রটি আর কিছুই নয়। একটি তড়িৎমান যন্ত্রের সহিত সজীব কি নিৰ্জ্জীব দেখিবার জন্ত যে পদার্থ টি পরীক্ষা করা হইতেছে সেই পদার্থ টি সংযুক্ত রাখা । এই পদার্থটির ঠিক মধুস্থিান ছাড়া কোনও স্থান উত্তেজিত করিলে তড়িৎমান যন্ত্রের কাটা নড়িয়া সাড়া জ্ঞাপন করায় । এ উত্তেজনা যত বেশ সাড়াও তত অধিক পাওয়া যায়, এবং উত্তেজনা যত কম সাড়াও তত অল্প। আবার সেই জিনিযটিরও উত্তেজনা শক্তি বাড়ান কমান যায়—বাড়াইলে অতি অল্প উত্তেজনাতেও তাহার সাড়া সুস্পষ্ট হয় । সুরা সিঞ্চন করিলে এইরূপ ঘটে—আবার ক্লোরোফরম প্রভৃতি ঔষধ দিলে সাড়া কমিয়া যায়। আর বিষপ্রয়োগে সাড়া চিরকালের জন্তু তিরোহিত• হয়—অর্থাৎ জিনিষটি মরিয়া যায়। 數