পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫১৬

ولا e &6 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা এবং মাসিক পত্র করখানি লইয়া ভিন্ন দিকে সরিয়া গেলেন,— নহিলে কবিরাজ মহাশয় দেখিতে পান। হাত দেখার কথায় গল্প উঠিল যে * * * बछनव्लैम । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, মাঘ কাছে ও সব কিছু নাই, তাহার সর্ব শরীর ভিন্ন বস্ত্রে ঢাকা হয়, তার পর হাত দেখান হয়। মহারাণী বলিলেন “উহাতে ত দেখা যায় মানুষটা মোট কি সরু ।” ॐीचै*छठा भयूमनांब्र । বারাণসী-অভিমুখে। ఎ:*Sూల-4: মোগলবিভবের ধবল প্রভা । আমাদের দেশের দ্যায় ভারতবর্ষেও, রেল-ডাকগাড়ি আজ মোকাশকে যেন দগ্ধ করিয়া চলিয়াছে । জগন্নাথ হইতে—বঙ্গোপসাগল্পের প্রাস্তদেশ হইতে ছাড়িয়া, উত্তরাঞ্চলের সেই একল্লেয়ে সমতলভূমি ভেদ করিয়া, বারাণসী অতিক্রম করিয়া, ( যাহার জন্ত আমার মন চঞ্চল হইয়া রহিয়াছে, এবং যেখানে আবার আমাকে পিছাইয়া আসিতে হইবে ) আবার আমি সেই প্রদেশে আসিয়া পড়িয়াছি,— যেখানে দুর্ভিক্ষের শুষ্কবায়ু নিশ্বসিত হইতেছে। আমি মুসলমান-আগ্ৰায় আসিয়া পৌছিয়াছি। আমার মত যে ব্যক্তি ব্ৰাহ্মণ্যিক ভারত হইতে আইসে, প্রথমেই একটা খুব পরি- , বর্তন তার চোখে ঠাকে ; ধৰ্ম্মাধিষ্ঠানসমূহের যে চিত্র তার মনে অঙ্কিত ছিল, তাহ রূপান্তর প্রাপ্ত হয়; মসজিদ, মন্দিরের স্থান অধিকার করে। বিরাট কাণ্ডের পর, অতিপ্রাচুর্ঘ্যের পর—মুসংযত ক্ষুদ্রকায়া তন্বী শিল্পকলার সহস আবির্ভাব, হয়। স্তুপাকৃতি পদার্থসমূহের বদলে, পুরাণবর্ণিত দেবদানবের উদাম প্রমোদচিত্রের বদলে, আগ্রার এই সমস্ত ভজনালয় শুভ্র মাৰ্ব্বেলপ্রস্তরে, মণ্ডিত এবং ঐ মাৰ্ব্বেলের গুন্ত্রতার মধ্যে জ্যামিতিকআকারের কতকগুলি বিশুদ্ধ নক্সা আড়াআড়িভাবে পরস্পরের মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট ; চকুচকে পাথরের গায়ে শুধু কতকগুলি সাদাসিধা ফুল ইতস্তত অঙ্কিত। মহামোগল ! আজি এই নামটি ঔপন্যাসিক বলিয়া মনে হয়—প্রাচ্যদেশীয় কোন পুরাতন গল্পের সামিল বলিয়া মনে হয়। পৃথিবীর মধ্যে বিশালতম সাম্রাজ্যের অধিস্বামী সেই মহামহিম নৃপতিগণ এইখনেই বাস করিতেন । তাহারা কতকগুলি প্রকাও প্রাসাদ পশ্চাতে রাখিয়া গিয়াছেন ;—কেবলঃ তাহাদের আমলে উহাদের এরূপ ভগ্নদশাঁও