G:૪૨ স্থাপিত। এবং ঐ পশ্চাৎ-প্রাস্তে কল্পনার আদর্শমূৰ্ত্তি এই সমাধিমন্দিরটি মহাগৌরবে রাজসিংহাসনে বিরাজমান ; এই সমস্ত হরিৎখামল উদ্ভিজ্জের মধ্যে, উহার তুষার-ধবলতা আরো যেন ফুটিয়া উঠিয়াছে। একটা ধবল প্রস্তরপীঠের উপর একটা প্রকাও গম্বুজ এবং ‘ক্যাথিড্রাল-গির্জার চুড়া অপেক্ষাও উচ্চ চারিট “মিনার-স্তম্ভ স্থাপিত রহিয়াছে'। ঐ সমস্তের রেখাবিন্যাস কি প্রশস্ত, কি বিশুদ্ধ! উহার মধ্যে কি শান্তিময় সামঞ্জস্তের ভাব ! কি উচ্চধরণের সহজ সরলতা ! উহার সমস্তই বিরাটু-পরিমাণে গঠিত ; এবং এরূপ প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত, যাহাতে লেশমাত্র দাগ নাই— ধূসর পাণ্ডু রঙের একটি শিরাও নাই। তাহার পর, নিকটে গিয়া দেখা যায়, অতি স্বকুমার-ধরণের . লতা-পাতার কাজ দেয়াল বাহিয়া উঠিয়াছে, কাৰ্ণিসের ধার দিয়া গিয়াছে, দ্বারের চারিধার ঘিরিয়া আছে ; মিনারেটের’ উপরগড়াইয়া চলিয়াছে ; খুব সরু সরু কালো মার্কেলের টুক্র বসাইয়া এই সব লতাপাত৷ রচিত হইয়াছে। যে গম্বুজটি স্বলতানার অস্তিমশয্যাকে আবৃত করিয়া রাখিয়াছে, সেই ৭৫-ফীটু-উচ্চ মধ্য-গম্বুজের নিম্নস্থ স্থানটিতে সহজ সরলতার আতিশয্য,—ধবল-মহি. মার পরাকাষ্ঠী পরিলক্ষিত হয়। আশ্চৰ্য্য! যেখানে অন্ধকার হইবার কথা, সেখানেও আলোক যেন ধৰূলতার সমস্ত কিরণ একস্থানে পুঞ্জীভূত হইয়াছে; মাৰ্ব্বেলের এই মহা-আকাশে কি-জনি কেমন একটা অপূৰ্ব্ব-অর্কুট স্বচ্ছতা বিদ্যমান। ধূসর-মুক্তবর্ণ শিরাজালে ঈষৎ , লাতিউচ্চ দেয়ালের গায়ে আর কিছুই নাই, কেবল ছোট ছোট কতকগুলা দৰৱ वछनश्चैब ।। [४ले वर्ष, मांष । খিলান এমন বেমালুমভাবে বাহির হইয়াছে - যে, উহাদিগকে রেখাচিত্র বলিয়া মনে হয়। বিশাল গম্বুজের ভিতর-পিঠে আর কিছুই নাই —কেবল জ্যামিতিক-রেখায় বিদ্যস্ত খুদিয়াবাহির করা বহুল খুবরি-কাটা ঘর। কেবল তলদেশে,—এই সব মুন্দর দেয়ালের চারিধারে পদ্মফুলের যেন একটা কেয়ারী রচিত হইয়াছে ; যেন উহার বৃন্তগুলা ভূমি হইতে উঠিয়াছে এবং উহার খুদিয়া-বাহির-করা পাপড়িগুল ঝরিয়া , পড়িতেছে...আধুনিক পাশ্চাত্য শিল্পকলা নুনাধিক পরিমাণে এই ভূষণের অনুকরণ করিয়াছে, কিন্তু সপ্তদশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে এইপ্রকার সৌধ-অলঙ্কার খুবই প্রচলিত ছিল। সমস্ত আশ্চর্ঘ্য পদার্থের মধ্যে আশ্চৰ্য্যতম পদার্থ সেই ধবল পাথরের ‘গরাদে’, যাহা স্বচ্ছ দালানের মধ্যস্থলে সমাধিপ্রস্তরটিকে বেষ্টন করিয়া রহিয়াছে ; এ সমস্ত কতকগুলি ‘খাড়া’ মাৰ্ব্বেল-ফলক ; উহাতে এত স্বশ্ন জালি-কাট কাজ যে, মনে হয়, যেন গজদন্তফলকে ফোড় কাটা ; উহার চারিধারে সেই ছোট-ছোট ফুলের মালার পাড় ; Lapis, ফিরোজ, পদ্মরাগ, porphyre প্রভৃতি মণি বসাইয়া এই সকল ফুল রচিত হইয়াছে। এই ধবল গম্বুজটির শব্দযোনিত এত অধিক যে, মনে একটু ভয়ের সঞ্চার হয় – উহার প্রতিধ্বনি যেন আর থামে না । যদি কেহ ‘আল্লা’র নাম উচ্চারণ করে, তাহার সেই অতিরৰ্দ্ধিত কণ্ঠস্বর কষ্ট্রেক সেকেও পৰ্য্যস্ত স্থায়ী হয় এবং ‘অর্গ্যানে'র - আণ্ডাজের মত আকাশে উহার :ে ' कणिाङ थांरक-८दन श्रांब्र c*रु इङ्ग नः ॥
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।