বন্ধ হ’য়ে এল স্রোতের ধারা, শৈবালেতে আটকৃ প’ল তরি নৌকা-বাওয়া এবার কর সারা, নাই রে হাওয়া, পাল নিয়ে কি করি। এখন তবে চল নদীর তটে, গোধূলিতে আকাশ হ’ল রাঙা, পশ্চিমেতে তাক আগুন-পটে বাবলাবনে ঐ দেখা যায় ডাঙা । ভেসে না আর, যেয়ে না আর ভেসে, চল এখন, যাবে যে দূরদেশে । এখন তোমায় তারার ক্ষীণালোকে চলতে হবে মাঠের পথে এক, গিরিকানন পড়বে কি আর চোখে, কুটারগুলি যাবে কি আর দেখা ? পিছন হ’তে দখিন সমীরণে ফুলের গন্ধ আসবে আঁধার বেয়ে • অসময়ে হঠাৎ ক্ষণে ক্ষণে আবেশেতে দিবে হৃদয় ছেয়ে । চল এবার কোরো না আর দেরি— মেঘের আভাস আকাশকোণে হেরি । হাটের সাথে ঘাটের সাথে আজি ব্যবসা তোর বন্ধ হ’য়ে গেল । এখন ঘরে আয় রে ফিরে মাঝি, আঙিনাতে আসনখানি মেল । ভুলে যা রে দিনের আনাগোন জালতে হবে সারারাতের আলো, শ্রাস্ত ওরে, রেখে দে জাল-বোন, গুটিয়ে ফেল সকল মন্দভালো | ফিরিয়ে আন ছড়িয়ে-পড়া মন, , সফল হোক সকল সমাপন। चैब्ररोोनुमांथ *ाइबं।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।