পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q&や যাহান্না দেশকে ভালবাসেম বলিয়া থাকেন, প্তাহীদের কি ভালবাসার গরজ নাই ? তাহার কি দেশের অন্তঃপুরে নিজে প্রবেশ করিবেন না সেখানকার সমস্ত সংবাদের জন্ত খরন্টন্‌ হাণ্টারের মুখের দিকে নিতান্ত নির্লজ্জভাবে নিরুপায় নিৰ্ব্বোধের মত তাকাইয়া থাকিবেন ? বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষৎ স্বদেশের ভাষাতত্ত্ব, প্রাচীন সাহিত্য, কথা এবং সমস্ত বিবরণ সংগ্ৰহ করিবার জন্ত প্রস্তুত হইয়াছেন। দেশের হিতসাধনের ইহাই স্থায়িভিত্তিস্থাপন । এই কারণেই, সাহিত্যপরিষদের অস্তিত্ব সৰ্ব্বসাধারণের নিকট উৎকটরূপে প্রকাশমান না হইলেও এই সভাকে আমি অন্তরের সহিত শ্রদ্ধা করি । এক এক বৎসরে পর্য্যায়ক্রমে বাংলার এক এক প্রদেশে এই সভার সাংবংসরিক অধিবেশনের . অনুষ্ঠান করিবার জন্ত আমি কিছুকাল হইল প্রস্তাব করিয়াছিলাম, সে প্রস্তাব পরিষৎ গ্রহণ করিয়াছিলেন। অন্ত বরিশাল-সাহিত্য-সম্মিলনের আহ্বানে সাহিত্যপরিষদের সেই প্রাদেশিক অধিবেশনের প্রথম , আরম্ভ হওয়াতে আমি আশান্বিত হইয়াছি। যে প্রদেশে সাহিত্যপরিষদের সাংবৎসরিক অধিবেশন হইবে, প্রধানত সেই প্রদেশের উপভাষা, ইতিহাস, প্রাকৃতসাহিত্য, লোকবিবরণ প্রভৃতি সম্বন্ধে তথ্যসংগ্রহ ও আলোচনা হইতে থাকিলে. অধিবেশনের উদ্দেশু প্রচুররূপে সফল হইবে। সেখানকুার প্রাচীন দেবালয়, দীঘি ও ইতিহাসপ্রসিদ্ধ স্থানের ফোটােগ্রাফ এবং প্রাচীন পুথি, পুরালিপি, প্রাচীনমূদ্র প্রভৃতি সংগ্ৰহ করিয়া প্রদর্শনী হইলে কত উপকার হইবে,তাহ বলা বাহুল্য। বঙ্গদর্শন। [७र्छ यसैं, कांहम । এই উপলক্ষে স্থানীয় লোকপ্রচলিত ধাত্রাগান প্রভৃতির আয়োজন করা কর্তব্য হইৰে। কিন্তু সাংবৎসরিক উৎসব উপলক্ষে একদিনেই কাজ শেষ করিলে চলিবে না। বাংলাদেশের প্রত্যেক প্রদেশেই সাহিত্যপরিষদের একটি করিয়া শাখা স্থাপিত হওয়া আবশুক। এই সকল শাখাসভা অন্তান্ত সাধারণ বিষয়ের আলোচনা ছাড়া প্রধানত তন্নতন্নরূপে স্থানীয় সমস্ত বিবরণ এবং রক্ষণযোগ্য প্রাচীন পুঁথি ও ঐতিহাসিক সামগ্ৰী সংগ্ৰহ করিবেন । স্বদেশী-বিবরণ-সংগ্রহে আমি একদিন সাহিত্যপরিষদে ছাত্রগণকে আহবান করিয়াছিলাম। এইরূপে স্বচেষ্টায় দেশের হিতসাধনের উদ্দেশে স্বদেশের ত্বাবেদন ছাত্রশালার দ্বারে উপস্থিত করিবার জন্য সাহিত্যপরিষদের ছায় প্রবীণ মণ্ডলীকে অনুরোধ করিতে আমি সাহস করিয়াছিলাম। তখনো স্বদেশী আন্দোলনের সূত্রপাত হয় নাই । সেদিনকার অভিভাষণের উপসংহারে বলিয়াছিলাম—“জননি, সময় নিকটবৰ্ত্তী হইয়াছে, স্কুলের ছুটি হইয়াছে, সভা ভাঙিয়াছে, এইবার তোমার কুটীরপ্রাঙ্গণের অভিমুখে তোমার ক্ষুধিত সস্তানের পদধ্বনি শুনা যাইতেছে! এখন বাজাও তোমার শখ, জালো তোমার প্রদীপ, তোমার প্রসারিত শীতল পাটির উপরে আমাদের ছোট-বড় সকল ভাইয়ের মিলনকে তোমার অশ্রুগাগ, আশীৰ্ব্বচনের দ্বার সার্থক করিবার জন্ত প্রস্তুত• হইয়া থাক।” তখন আমাদের সময় যে কত নিকটবর্তী হইয়াছিল, তাহা আমাদের ভাগ্যবিধাতাই