NVG দিব, এ ভাবনাটা যে একবারও মনে আসে নাই, ইহা বলিলে সত্যের মর্য্যাদারক্ষা হইবে না । অতএব এস্থলে একটা কৈফিয়ত আবখ্যক হইয়া পড়িল । আপাতত যাত্রা বন্ধ করিয়া নজির খুজিতে বসিলাম। অল্পে অল্পে মনে পড়িল, একখানি ইংরেজী কেতাবে এইরূপ একটা কথা পড়িয়াছিলাম, ম্যারাথন থাম্মপলীর বীরমাটীতে দাড়াইয়া যে পাষণ্ডের মন বীররসে আপ্নত হয় না, সে প্রকৃতই রূপার পাত্র। ঠিক কথা। এই কথাটাই ত একটু বদলাইয়া বেশ বলা চলে,—তীর্থক্ষেত্রের স্থানমাহাক্স্যে, ইংরেজীতে xf(NE cotã associationgą প্রভাবে, মনে ধৰ্ম্মভাবের সজীবতা সঞ্চারিত হয়। তখন বুঝিলাম, তীর্থযাত্রাট ঘোর কুসংস্কার নহে, reasonএর কষ্টিপাথরে কষিলেও ইহার মাহাত্ম্য অক্ষুণ্ণ থাকে। এতক্ষণে মনের বোঝা নামিল, হিতাহিতজ্ঞানের (conscience) soəs%:5] ** ***, rationalistgsı striহাসি ও নাসিকাকুঞ্চনের ভয় থাকিল না। এইবার হাফ ছাড়িয়া যাত্রা করি। বোম্বাইমেল ছাড়িতে আর বড় বিলম্ব নাই। 發 發 臺 發 আধুনিক বিজ্ঞান ভৌতিকশক্তির প্রভাবে দেশকাল লোপ করিতে বসিয়াছে। বাপীয় যান, বৈদ্যুতিক তার জগতে যুগান্তর উপস্থিত করিয়াছে। ইহাব ফলে সহস্ৰ সুবিধা ঘটয়াছে, স্বীকার করি। . কিন্তু সেটা ষে পুরা লাভ, তাহ ঠিক হলপ করিয়া বলিতে পদ । রেলের বাবুর গ্রহাট ও ফ্রীপাস পাইয়া দশাহের মধ্যে বৃদ্ধ মাতা বা পিলিমঞ্চে-, লইয়। গয়ায় পিণ্ডদান করিয়া বঙ্গদর্শন। [ ৬ষ্ঠ ধর্ষ, ফাঙ্কন আসিতেছেন ; উকীলমুনসেফ প্রভৃতি পদস্থ ব্যক্তিরা পূজার দীর্ঘ অবকাশে ‘সন্ত্রীকে ধৰ্ম্মমাচরেৎ’ করিয়া হাফ ছাড়িতেছেন ; শীঘ্ৰ, সস্তা ও সুবিধার কল্যাণে রাজা-মজুর সকলেই কাশী-গয়া-প্রয়াগ-মথুরা-বৃন্দাবন ঘুরিয়া শারীর ও মানস চক্ষু সার্থক করিতেছেন। কিন্তু সেকালে তীর্থদর্শনে যে সাত্ত্বিক ভাবটি ছিল, তাহা কি একালের এই রেলষ্টীমারের যুগে দেখিতে পাওয়া যায় ? তখনকার দিনে লোকে সুদুর বঙ্গদেশ হইতে শতশতুক্রোশদুৰ্ববৰ্ত্ত কাশগয়া-প্রয়াগ করিতে যাইত ; – কতক পথ নৌকাযোগে, কতক বা গরুর গাড়িতে, আবার কতক পদব্রজে ছয়মাস নয়মাসে পৌছিত। ইহাতে সময় অনেক লাগিত, অর্থব্যয় বিলক্ষণ হইত, শারীরিক কষ্ট্রের ত কথাই নাই, পথে বিপদাশঙ্কাও ষোল-আনা ছিল । কিন্তু সে কষ্ট, সে উদ্বেগ, সে সহস্ৰ অসুবিধার একটা আধ্যাত্মিক উপকারিত ছিল । তীর্থযাত্রার দিন হইতেই যাত্রীরা সংযম অভ্যাস করিত, সকলেই তদগতচিত্তে এক মহান উদ্দেন্তে দীর্ঘপথ বাছিয়া মনের আনন্দে চলিত। তখনকার দিনে লোকে সঙ্গী খুঞ্জিত, দশজনে একত্র হইয় এক উদ্দেশ্যে এক পথে বাহির হইয় পড়িত । তাহাতে সকলেরই প্রাণ একটা মধুর অথচ গম্ভীর সুরে বাধা হইত। পরস্পরের মধ্যে একটা অন্তরঙ্গভাব প্রমিয়া যাইত, পরের মুখেদুঃখে সমবেদন জন্মিত, সকলেই পরম্পরের সাহায্য করিত। এই প্রতি হইতে চিত্তশুদ্ধি ঘটিত, নীচ স্বার্থপরতা ঈর্ষাদ্বেষ হৃদয় হইতে: বিদায় লইত এবং তাহার ফলে তীর্থদর্শনের প্রকৃত ফল সহজেই সকলেব করায়ত্ত হইত। আর এখনকার দিনে—রেলগাড়িতে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।