○ 8b" মেঘ কাটিয়া সুখস্থৰ্য্য সমুদিত হইবে—এই তরসায় তিনি স্বামীর মৃত্যুতেও বিচলিত হন নাই। যে পুত্রের জন্ত এত সহ করিলেন, সে আসিয়া তাহার চরণচন্ধনপূর্বক স্নেহবিগলিতচক্ষ তাহাকে পূজা করিবে, তাহার মাতৃভক্তি উথলিয়া উঠিবে,—এই আশায় প্রফুল্ল হইয়া তিনি ভরতের জন্য প্রতীক্ষা করিয়া রহিলেন । ভরত আসিলেন । স্বর্ণালন হষ্টতে স্নেহার্ক্সচক্ষে দৃষ্টপাত করিয়া কৈকেয়ী পত্রের প্রীতি-উৎপাদনের ভরসায় সমস্ত সংবাদ প্রদান করিলেন। তিনি অযোধ্যার বিদ্বেষ অকুণ্ঠতচিত্তে সহ্য করিয়াছিলেন, ভরতের বিদ্রেমে আজ র্তাহার মজ্জাভেদ হৃষ্টয়া গেল। উচ্চৈঃস্বরে কঁদিতে কঁাদিতে যখন ভরত “মা” “মা” বলিয়া কৌশল্যার কণ্ঠাবলম্বনু করিলেন এবং “ধায়িক অশ্বপতির কল্প। তুনি নও” বলিয়া কৈকেয়ীকে পরিত্যাগ করিয়া গেলেন –তখন কবি ও তাঙ্কাকে ত্যাগ করলেন। অত বড় স্পৰ্দ্ধার পতন, ‘আকাশচুম্বী আত্মগরিয়ার ভূলুণ্ঠন বাল্মীকিও চিত্রিত করিতে সাহসী হন নাই,— বঙ্গদর্শন । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ ফান্ধন। অদূরান্তরতস্তৈব তন্থেী দীনমনাস্তদা ॥ ‘ব্যর্থমনোরথা, সলজ্জা, সৰ্ব্বলোকনিন্দিতা কৈকেয়ী তাহার পাদদ্বয় ধারণ করিলেন এবং সেই ভগবান মহামুনিকে প্রদক্ষিণ করিয়া হুঃখিত-অন্তরে ভরতের অনতিদূরে রছিলেন। আর একস্থলে বর্ণিত আছে, ভরত দৃষ্টিপাত করিয়া “দীনাং মাতরং”-দীন মাতাকে দেখি লেন । এই দৈন্ত ও এই লজ্জা কি ভয়ানক, তাহা আমরা কল্পনা করিতে পাবি । অযোধার বিষগ্ন, শোককরুণ, প্রভাটুন রাজপ্রাসাদের কক্ষে কক্ষে আত্মীয়দুষ্টবর্ষিত ঘুণীয়, লজ্জা ও দৈন্তে অব গুণ্ঠনবতী কি ভাবে আপনাকে লুকাইয়া ফিরিতেন, তfঙ্গর চিত্র ক্ষণে ক্ষণে আমরা কল্পনানেত্ৰে দেপিয়া শিহরিয়া উঠি । সীতার অলক্তকরাগুনর্কিন পদ্মকোষসমপ্রভ পদযুগল ੋਣ হইতেছে, এই তাশঙ্কায় যে তপ্তশ্বাস উঠিত, সেলাপরায়ণ লক্ষণের বন্ত জীবনের কঠোর কর্তব্য স্মরণ করিয়া যে অশ্রুবিন্দ প্রবুদ্ধ ইষ্টত, ইন্দববঙ্গাম রামচন্দ্রের মলিনকাস্তি মনে করিয়া রাজ্যে যে আর্তনাদ উঠিত, প্লরিাজকবেণী ফলমূলাচারী ভরতের তাহার উপর এক সাধার যবনিকা পাত করিয়া, দৈষ্ট দেপিয়া প্রজার বাপরুদ্ধ কণ্ঠ যে তালেগে চিত্রকর বিদায় লইয়াছেন। শুধু দুইএকবার ঘটনার সুবি বায়ুবেগান্দোলিত যবনিকার অবকাশে আভাসে পরিদৃশ্বমান চিত্রপটের ছায় আমরা মহাকাব্যের নিগৃঢ়প্রদেশে দেখিতে পাই—ভবুদ্ধাজাশমে তিনি ঋষির পদে প্রণাম করিতেছেন।"সেই স্থানে এই ছত্রকৃয়টি আছে— * অসমূদ্ধে কমেন সৰ্ব্বলীকৃত গৰ্হিত । • কৈকেয়ী তস্ত জগ্ৰাহ চরণে সব্যপত্রপা ৷ তং প্রক্ষিণীগম্য ভগৱন্ত মহামুনি। অধীর হইয়া উঠিত—অযোধ্যাময়, নদীগ্ৰামময় অপার কারণের মধ্যে যে একটা উদ্ণম ঘুণ ও ক্রোধের ভাব প্রতি মুহূর্তে রোষকষায়িতচক্ষে বিধবা ‘ রাষ্ট্রীর প্রতি বিস্ফারিত হইয় অবজ্ঞাবর্ষণ করিত—সেই অবজ্ঞা ও ঘৃণা হইতে আত্মগোপন করিবার জষ্ঠ অভিমানিনী প্রবলপ্রতাপান্বিত রাষ্ট্ৰী: , কোন যবনিকার অন্তরালে, কোন নিগুঢ় কক্ষতল আশ্রয় করিয়া চতুর্দশবৎসর কি ভাবে কাটাইয়াছিলেন, - জানি 히 কবি সে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।